স্যার সত্যপ্রকাশের সন্ধানে
[ স্যার সত্যপ্রকাশ রচনার সুবর্ণজয়ন্তী বর্ষে ]
ঝিমলি চ্যাটার্জি বলল, প্রফেসার, আপনি স্যার সত্যপ্রকাশের নাম শুনেছেন?
—তা আর শুনিনি! বললেন প্রফেসার ম্যাকাও, একসময়ে কত কী কাণ্ড ঘটিয়েছেন। বুড়ো হাড়েও নানা বৈজ্ঞানিক অভিযান আর অ্যাডভেঞ্চারের ভেলকি দেখিয়ে গেছেন। কিন্তু শুনেছি, বছর পঁচিশ আগে উনি নাকি টাইম ট্রাভেলে কোনো অতীত দুনিয়ায় হারিয়ে গেছেন।
Read More
ওসানার খোঁজে
সাদর অভ্যর্থনা
—হ্যালো… হ্যালো… ইউনিভার্সাল স্পেস ফোর্স অনুসন্ধান যান জ্যানোস৩২৫৪ থেকে বলছি… শুনতে পাচ্ছেন… হ্যালো… মাইনিং পোস্ট ৭৪ শুনতে পাচ্ছেন… ধ্যত্তেরিকা… শুনতে পাচ্ছেন মাইনিং পোস্ট ৭৪…
—মাইনিং পোস্ট ৭৪ এ আপনাকে স্বাগতম… বাংলায় কথা বলতে ১ টিপুন… ফর ইংলিশ প্রেস ২… ম্যান্ডারিন আং ৩…
—ধুর ছাই… আরে আমরা ইউনিভার্সাল স্পেস ফোর্স… আপনাদের কনট্রোল [আরো পড়ুন]
Read More
উপনিবেশ
আবছা নীল একটা আলো। ঘুমে জড়িয়ে আসা চোখদুটো একবার মেলেই আবার বন্ধ করে ফেলে অনিকেত। একটানা খুব মৃদু একটা অস্পষ্ট যান্ত্রিক স্বর ভেসে আসছে। ঘুমের মধ্যেই কেমন যেন গা মাথা ঝিমঝিম করে ওঠে এই শব্দে। কিছুক্ষণ চোখ বুজে থেকে আবারও চোখ খোলে অনিকেত, ধীরে ধীরে নিজের অস্তিত্ব সম্পর্কে সচেতনতা ফিরে আসছে ওর। এখনও নিজের নাম মনে পড়েনি, কিন্তু এখন সে চোখ মেলে দেখতে শুরু করেছে নিজের চারিপাশ।
Read More
আলোকজাল
অধ্যায় ১: অব্যাখ্যাত সংকেত
অক্টোবরের সন্ধ্যার হালকা শীতল হাওয়া কলকাতার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরোনো ইটের দেয়াল ছুঁয়ে বইছিল। দোতলার জানালা দিয়ে কলেজ স্ট্রিটের বইয়ের দোকানের ফ্লুরোসেন্ট আলো ভেসে আসছিল, যেন শত বছরের জ্ঞানের আলো। কিন্তু আজ সেই আলোও ড. অভিজিৎ রায়চৌধুরীর মানসিক অশান্তি দূর করতে পারছিল না।
অভিজিতের হাত কাঁপছিল—এমন নয় যে ঠান্ডায়, [আরো পড়ুন]
Read More
দাও ফিরে সে অরণ্য
“মাটিতে যাদের পড়ে না চরণ…”
কত রকমের অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি আবিষ্কার হয়ে গিয়েছে আজকাল। এক কোপে একসঙ্গে দশ-বারোটা মোটা মোটা গাছকে একেবারে মূলসুদ্ধ উপড়ে ফেলে দিচ্ছে। মোটা শক্ত চেন ধরনের একটা যন্ত্র—মেশিন চালালেই গুল্ম জাতীয় গাছের ঝাড়কে মিনিটের মধ্যে মাটির থেকে আলাদা করে দিচ্ছে। চোখের নিমেষে দূর্ভেদ্য, [আরো পড়ুন]
Read More
বিধাতার বীজতলা
ওওঁওঁমমহ্মহ্মঅঁঅঁঅ…
বিকট ধ্বনিটা বদ্ধ করিডোরে তরঙ্গ তুলে পাক খাচ্ছিল। করিডোরের ধাতব মেঝেতে পড়ে থাকা অজস্র মৃতদেহের মধ্যে মুখ গুঁজে থাকা একটা দেহ একবার কেঁপে উঠল। দু-হাতে সে চেপে রেখেছে কান, যাতে শুনতে না হয়। তার বন্ধ চোখের পাতা কাঁপছিল তির তির করে, যাতে কিছু দেখতে না হয়। অসহ্য একটা শ্বাসরোধকারী [আরো পড়ুন]
Read More
স্বপ্নের দরজা
নির্জন সৈকতে
“সমুদ্রের কিনারা বরাবর কাউকে হেঁটে যেতে দেখেননি আপনি?” জিজ্ঞাসা করলেন অফিসার। ভাবলেশহীন দেখাচ্ছিল তাঁর মুখটা; তবে কণ্ঠস্বরে ফুটে-ওঠা কর্তৃত্বের আভাস গোপন থাকছিল না। সম্ভবত বহু পরিশ্রমে অর্জিত পদমর্যাদা আর তদন্তের গুরুত্ব—এই দুই বৈশিষ্ট্য মিলেমিশে এমন ব্যক্তিত্ব দিয়েছিল তাঁকে।
আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিতে দু-পাশে মাথা নাড়ল ঋত্বিক, [আরো পড়ুন]
Read More
সেতু
পূর্বকথা
A mind not to be changed by place or time
 The mind is its own place, and in itself
 Can make a heav’n of hell, a hell of heav’n.
 — (‘Paradise Lost’—John Milton)
স্থান বা কালভেদে নেই চেতনার অবক্ষয়—
 তার স্থিরতা আপনাতেই।
 সেই চেতনার আত্মসমন্বয়ে, স্বর্গও হতে পারে নরক
 আর নরক স্বর্গ। (অনু: অমিতাভ রক্ষিত)
সেদিন পৃথিবীর উত্তর গোলার্ধের ওপরে উঠেছিল একটি বাঁকা চাঁদ। ইদের চাঁদের মতো শীর্ণ। বাইরে থেকে দেখলে, অর্থাৎ, যে-কোনো একটি ভ্রাম্যমাণ স্পেস [আরো পড়ুন]
Read More
আল-বিরুনির চিরুনি
জেসন ধীর পদক্ষেপে গহ্বরটার পরিধি বরাবর হেঁটে চলেছিল। ওর দৃষ্টি গহ্বরের ভিতরের অন্ধকার অংশটার ওপর নিবদ্ধ। প্রায় মিনিট পনেরো হল, আইশা গহ্বরটার ভিতরে নেমেছে। জেসন ওকে নিষেধ করেছিল, কিন্তু ও শোনেনি। আইশার ধমনিতে প্রবাহিত হচ্ছে আরব বেদুইন আর মেক্সিকান যুদ্ধবাজ জনজাতির মিশ্র রক্ত। সেই কারণেই বোধহয় মেয়েটা মারাত্মক রকমের জেদি। আইশা যদি আর [আরো পড়ুন]
Read More
শ্যাওলা
I am terrified by this dark thing
That sleeps in me;
All day I feel its soft, feathery turnings, its malignity.
“Elm”, Sylvia Plath
স্বর্গদ্বার থেকে বেরিয়ে, গর্জন-করতে-থাকা সমুদ্রকে বামদিকে রেখে, এগিয়ে চলল সুস্মিতা।
এখানে সমুদ্রতট তেমন ফাঁকা নয়, অসংখ্য স্টল মাশরুমের মতো গজিয়ে রয়েছে। জামাকাপড়, গয়নাগাটি, খাবার। লোকজন গিজগিজ করছে পুরো। রাস্তার ফুটপাথ দিয়ে যে শান্তিতে হাঁটবে, সেটার উপায় নেই। ফুটপাথের দুইদিকে [আরো পড়ুন]
Read More
যারা রামধনু খুঁজেছিল
(সৌরসেনীর ডায়েরি থেকে)
‘এই হাত ছুঁয়েছে নীরার মুখ…’
আমার অজান্তেই আমার ডান পা-টা মার্বেলের ফ্লোরটার উপর আলতো ঘষে পিছনে সরে এল। বাঁ পা-টাও অল্প পিছোতে গিয়ে জানলার নীচের তাকটায় ঠুকে গেল। ধীরে ধীরে অনুভব করলাম পিঠের সমতল মসৃণ নীলচে দেওয়ালটায় ছুঁয়ে যাচ্ছে। সত্যিই কি দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে আমার? নিজের কাছ থেকে ছুটতে ছুটতে? নিজের [আরো পড়ুন]
Read More
সবুজ ট্রানজিস্টার
এক নম্বর রহস্য: ভূতুড়ে প্রাসাদে লাল চোখ
দার্জিলিংয়ের নর্থপয়েন্টে এখন যেখানে রোপওয়ে হয়েছে, তার কিছু দূরে পাহাড়ের চূড়ায় একটা পুরোনো বাড়ি আছে। ভাঙাচোরা। দরজা-জানালা কোন্ কালে উধাও হয়েছে। পাথরের দেয়ালগুলোই কেবল খাড়া আছে বছরের পর বছর।
এ বাড়ি কে করেছিল, কেউ জানে না। ঝোপঝাড় আর পাইনের জঙ্গলে প্রায় ঢেকে এসেছে। দিনের বেলাতেও কেউ [আরো পড়ুন]
Read More
মড়া
কী আছে মৃত্যুর পর? অস্তিত্ব, না, অনস্তিত্ব? ঈশ্বর না শয়তান? সর্বশক্তিমান শক্তিতরঙ্গ, না নিছকই অনন্ত তমিস্রা? অনুসন্ধিৎসু বিজ্ঞান-তাপসরা উদ্যোগী হলেন সেই হেঁয়ালির সমাধানে… তারপর…
?
দুঃস্বপ্ন ভয়ংকর জীবন্ত বিভীষিকা… না, না… ভাষায়, কোনো জাগতিক ভাষায় বর্ণনা করা যায় না… বিশ্বাস করুন সত্যি যায় না… বিশ্বাস করলেও হিম হয়ে আসে সর্বাঙ্গ… [আরো পড়ুন]
Read More
গুঞ্জন
তিন মাস আগে, সুরুলগাছা পুলিস স্টেশন
“আমার কমপ্লেইনটা নিন, স্যার।”
“সে নিচ্ছি। কিন্তু আপনার টোটো তো স্টেশনের কাছেই পাওয়া গেছে। এদিকে লোকটার নাম-ধাম কিছুই আপনি বলতে পারছেন না। যা বর্ণনা দিচ্ছেন, তার ভিত্তিতে লুক-আউট নোটিসও তো জারি করতে পারব না। কোনও বিশেষত্বই নেই যার চেহারায়, তাকে কীভাবে…। আচ্ছা, ভদ্রলোক হঠাৎ আপনার ওপর খেপলেন কেন?”
Read More
ঢেলা
[কৈফিয়ত: সঠিক প্যাশটিস কি না ঠিক বলতে পারব না। তবে এটা ঘনাদার গল্প—কারণ ঘনাদা আছেন, বাহাত্তর নম্বর বনমালী নস্কর লেনের মেসের বাসিন্দারা আছে, বনোয়ারী, রামভুজও আছে। ঘনাদা তার নিজের কৃতিত্ব জাহির করেছেন মেসের বাসিন্দাদের কাছে আর তাঁর তস্য তস্য পূর্বপুরুষদের কীর্তিকলাপ বর্ণনা করেছেন সান্ধ্যভ্রমণকালে দক্ষিণ কলকাতার কৃত্রিম হ্রদের [আরো পড়ুন]
Read More
তিস্তান
[শুরুতে: এই কাহিনি তৃতীয় সহস্রাব্দীর দ্বিতীয় দশকের। ততদিনে পৃথিবী দূষণ ও শোষণের শিকার হয়ে প্রায় পরিত্যক্ত হয়েছে। তবে তার সন্তানেরা নক্ষত্রলোক জয় করেছে মূলত দু’টি আবিষ্কারের মাধ্যমে। একটি দিয়ে নক্ষত্রের শক্তি ও ভরকে কাজে লাগিয়ে স্থান-কালের পর্দায় লুপ খোলা যায়— যার মাধ্যমে আলোকবর্ষের দূরত্বও অতিক্রান্ত হয় [আরো পড়ুন]
Read More
দ্য ট্রিনিটি
ভয়াবহ নিস্তব্ধ পরিবেশের বারোটা বাজিয়ে উচ্চ স্বরে গান বাজছে মিহিরদের সাউন্ড সিস্টেম থেকে। জনমানবহীন পরিবেশের পুরো ফায়দা লুটছে ওরা। গায়কের মুখ থেকে দ্রুতগতিতে বের হওয়া শব্দগুলোর মানে কেউ বোঝা দূরে থাক, কারও কানে ঢুকছে কি না তা নিয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে।
এই মুহূর্তে ওরা পার্টির আয়োজন করছে আর্জেন্টিনায়। চোখ জুড়ানো সবুজ [আরো পড়ুন]
Read More
অপারেশন মধুমিডা
বাঘডোগরা এয়ারপোর্ট পিছনে ফেলে মিনিট কুড়ি বড়ো জোর। দু-চারটে বাঁক। গহন বন দু-পাশ থেকে ঝাঁপিয়ে পড়ল গাড়িটার ওপর। ঝিঁঝির ডাক ডুবিয়ে আলো ছায়ায় আঁকা পাতার জাফরি মাড়িয়ে ছুটে চলেছে কন্টেসা।
পিছনের সিটে সুজন তার বাঁ দিকের জানলার কাচটা তুলে দিয়ে মাফলারটা আরেকটু সামলে নিল। কিন্তু মাঝখানে বসেও প্রায় কাঁপুনি লাগার জোগাড় নিলয়ের। [আরো পড়ুন]
Read More
পৃথিবীর শেষ পায়রা
[অধ্যায় এক]
টেবিলের উপর ঠকাস করে ট্রেটা রাখেন মিসেস আনোয়ার। ঝড়ের পূর্বাভাস বুঝতে পেরে, নজর আরো তীক্ষ্ণ করে ল্যাপটপের স্ক্রিনের দিকে ঝুঁকতে থাকেন প্রফেসর কামাল আনোয়ার। সম্ভব হলে পুরো সন্ধ্যা স্ক্রিনের দিকে অপলক তাকিয়ে থাকবেন, তবুও কোনোভাবেই স্ত্রীর সঙ্গে এই মুহূর্তে বাকবিতন্ডায় জড়াবেন না। সূর্য ডুবতে শুরু করেছে। পশ্চিম আকাশ রক্তিম [আরো পড়ুন]
Read More
ঝিঙ্গে-পোস্ত
– মৃত্যুহানা –
টক্ টক্ টক্! হরি আবার জোরে জোরে টোকা দিল ডা. যোশেফ মিত্রর দরজায়। বেশ কিছুক্ষণ ধরেই টোকা দিয়ে চলেছে সে, কিন্তু ডা. মিত্র-র সাড়া দেবার নাম নেই! ধ্রুব মল্লিক এবারে পুরোপুরি অধৈর্য হয়ে গেল। “আরে, ওইরকম পিনিপিনে টোকা মারলে কিচ্ছু হবে নি, বাবুর শরীল খারাপ ছিল রাতে, জানিস না? খুব গভীরে ঘুমুচ্চে। দরজাটায় জোরে ধাক্কা মার।” [আরো পড়ুন]
Read More
ঘুম-ঘর
এই কাহিনি ভাবীকালের। এ ভাবীকাল আমাদের জীবনে কেন আমাদের ভাবী কয়েক পুরুষের জীবনেও হয়তো আসবে কিনা সন্দেহ।
তবে ভারতের শ্বাশত বাণী— ‘চরৈবেতি’। এগিয়ে যাও। এগিয়ে যাও। মানব সভ্যতা এগিয়ে যাচ্ছে অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে। বিশ্বাস করি ধীরে ধীরে এক সময়ে আমাদের এই সভ্যতা ছড়িয়ে পড়বে গ্রহে গ্রহে, নক্ষত্রে নক্ষত্রে। মানুষের পদধ্বনি শোনা [আরো পড়ুন]
Read More
চাঁদের মাঠে ওয়ান ডে
১
“হ্যালো! আবির? আমি দিব্য বলছি!” সঙ্গে সঙ্গে সাড়া দিতে পারল না আবির। “শুনছিস? কাল সুপারটাউনের সঙ্গে ম্যাচ। ঠিক এগারোটায়…”
“সরি। কাল আমার মর্নিং ডিউটি— দুটোয় ছুটি!”
“শোন আবির!” গলাটা নামিয়ে দিব্য যেন খুব গোপনীয় খবর ফাঁস করার ভঙ্গিতে বলল, “কালকের ম্যাচটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সব কথা এখন বলা সম্ভব নয়। কিন্তু কাল যদি না খেলিস খুব ভুল করবি।”
Read More
নোবেল দিলেন ঘনাদা
১
কলকাতা শহরের দক্ষিণে একটি কৃত্রিম জলাশয় আছে, করুণ রসিকতার সঙ্গে আমরা যাকে হ্রদ বলে অভিহিত করে থাকি। জীবনে যাদের কোনও উদ্দেশ্য নেই অথবা উদ্দেশ্যের একাগ্র অনুসরণে যাঁরা পরিশ্রান্ত, উভয় জাতের সকল বয়সের স্ত্রী-পুরুষ নাগরিক প্রতি সন্ধ্যায় সেই জলাশয়ের চারিধারে এসে নিজের নিজের রুচিমাফিক স্বাস্থ্য অর্থ কাম মোক্ষ এই নব্য চতুর্বর্গের [আরো পড়ুন]
Read More
ফাটল
কালাহান একজিট পোর্ট, তিন দিন আগে, পাগল বুড়ো
“বুড়োওওও!”
তীক্ষ্ণ গলার চিৎকার কানে আসামাত্র বুঝলাম, অলস দুপুরটার বারোটা বাজাল।
আশফাক আর নীরা’র দেখাশোনা করার কেউ নেই। তাই কমিউনিটি শেল্টারে পড়তে না গিয়ে, বা রুবিক ইনক্-এর প্ল্যান্টে কাজে না ঢুকে ওরা আমার কাছে এসে ঘ্যানঘ্যান করলেও কারও কিচ্ছু বলার নেই।
নোংরা এই সমুদ্রতটের গলায় কুৎসিত [আরো পড়ুন]
Read More
হোমো ইন্ডোসেনেক্সের সন্ধানে
১
কালকে সারাদিন ধরে ব্লিজার্ড চলেছে। তাঁবু থেকে বের হতেই পারিনি। আজ সকালে ঝকঝকে আকাশ। উত্তর দিকে শতপন্থ গ্লেশিয়ার। ওপারে দুটো পিক দেখা যাচ্ছে বালাকুন আর চৌখাম্বা একটু ডান দিকে। পূর্বদিকে অলকানন্দা। ঘাটসোলের দু-নম্বর ক্যাম্প থেকে আমরা প্রায় বারো কিলোমিটার দূরে। সোজা লাইন টানলে বারো কিলোমিটারই হয়। কিন্তু মাঝখানে একটা বিশাল এক উপত্যকার [আরো পড়ুন]
Read More
বিবর
১
অতল বিবরের সঠিক ইতিহাস অজানা। কিংবদন্তীতে, জনশ্রুতিতে, দেবাসুরের সংগ্রাম থেকে আরম্ভ করে আকাশ থেকে নেমে আসা উল্কাপাত অবধি নানা ধরনের কাহিনি ছড়িয়ে থাকলেও ভূখণ্ডব্যাপী এই অতলান্ত গহ্বরের উৎপত্তি নিয়ে বিজ্ঞান এই যন্ত্রসভ্যতার যুগেও ধোঁয়াশায়।
কয়েক হাজার মাইল ব্যাসের দানবিক বৃত্তের মতো ভূখণ্ড জুড়ে ছড়িয়ে থাকা গহ্বর প্রায় [আরো পড়ুন]
Read More
হাতি
“নাঃ! সহ্যের একটা শেষ আছে। আর এই মেসে থাকা যাবে না।”
“আমিও মেস ছেড়ে দেব ভাবছি।”
“তুই ভাবছিস? আমি তো ঠিকই করে ফেলেছি।”
“আমি তো একটা মেসের ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে এসেছি। আর ক-দিন পরে সামনের মাসে একটা সিট খালি হচ্ছে। কালই অগ্রিম টাকাটা দিয়ে আসব।”
ওপরের কথাবার্তা যে বাহাত্তর নম্বর বনমালি নস্কর লেনের মেসবাড়ির দোতলার আড্ডাঘরে চলছে [আরো পড়ুন]
Read More
সময়নদীর বাঁকবদল
(এটা একটা বিকল্প ইতিহাসের কাহিনি। বাংলায় অল্টারনেট হিস্ট্রির ধারাটি নতুন। এই কাহিনিকে একটি জিও-পলিটিক্যাল কমেন্ট্রি বলা যায়। এই ধারাভাষ্য সম্পূর্ণ কাল্পনিক, অন্তত এই বিশ্বে। কোনও সমান্তরাল বিশ্বে সত্যিও হতে পারে।)
প্রাককথন
২১২০ সাল, কলকাতা
অফিসের বায়োমেট্রিক গেটে বুড়ো আঙুল ছুঁয়ে লোকটা ভিতরে ঢুকতেই [আরো পড়ুন]
Read More
লম্বগলি
“এ কোন রাস্তায় নিয়ে এলি?”
“কেন মোড়ের মাথায় ও-ই তো বলল বাঁ দিকের রাস্তায় যেতে।”
“ও বলল আর তুই চলে এলি? এটা তো সেই কুড়গুড্ডা পাহাড়ের রাস্তা মনে হচ্ছে।”
যে মোড়ের মাথায় বাঁ দিকে যেতে বলেছিল সে রুখে উঠল। “কেন কুড়গুড্ডার রাস্তা কি রাস্তা নয়? তোরাই তো বললি চটপট বাড়ি ফিরতে হবে। এ রাস্তাটা অনেক ছোট।”
“ছোট তো বটে, কিন্তু বিপদের কথাটা ভাববি না?”
Read More
বর্ণচোরা
“বুতু! অ বুতু! ওট বাবা, ওট!” কপালের ওপর কে যেন আলতো আঙুল বোলাচ্ছে। নরম, ঠান্ডা আঙুল। কার আঙুল এটা? এ ছোঁয়া তো আমার বড্ড চেনা! আহ্, কী আরাম! ইচ্ছে করছে আর-একটু শুয়ে থাকি… কিন্তু সে আর হল না। নরম হাতটা এবার ঠাঁই-ঠাঁই করে দুটো চাঁটি বাজিয়ে দিল কপালে, সঙ্গে বিষম জোর ধাক্কা! “ও মাগো!” বলে কঁকিয়ে উঠতেই কানের কাছে চাপা গলার ধমক বেজে উঠল, “আ [আরো পড়ুন]
Read More
ঈশ্বরের গণিত
অধ্যায় এক
১৭ এপ্রিল, ২০৬৪ স্যাটেলাইট গ্রাউন্ড স্টেশন; ইউএস, ক্যালিফোর্নিয়া
“এমিলি, কফি খাবে?” পেছনের সারি থেকে বলে ওঠে মাইক।
“একটু পর, একটা মজার জিনিস পেয়েছি। চাইলে তুমি একা খেয়ে আসতে পারো, আসার সময় আমার জন্যে এক কাপ নিয়ে এসো।”
এমিলি, নতুন জয়েন করেছে এই ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্রের জুনিয়র পর্যবেক্ষক হিসাবে। নতুন নতুন সবারই এমন উৎসাহ উদ্দীপনা একটু [আরো পড়ুন]
Read More
জিরো
প্রাককথন
“এই কাহিনি শ’দুয়েক বছর পরের এক পৃথিবীর।
ক্রমশ কমে আসা সবুজ আর নীলের প্রায় সবটাই তখন মুছে গেছে বিশ্বযুদ্ধের তাপ আর বিকীরণে। সেই সঙ্গেই পৃথিবীর এক মস্ত অংশ থেকে হারিয়ে গেছে জীবন। কিন্তু সর্বনাশা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে এসে সেনাবাহিনীর একাংশ বুঝতে পারল, অন্য রাষ্ট্র বা ধর্ম-জাতি-ভাষার মানুষ নয়, এই যুদ্ধ চাইছে অতিবৃহৎ বাণিজ্যিক সংস্থাগুলো। [আরো পড়ুন]
Read More
প্রত্যাবর্তন
৬ জানুয়ারি ২০৫৪, রাত দুটো
‘ওয়াটসননন’। এক ঝটকায় বিছানার উপর উঠে বসে পড়ল দীর্ঘদেহী শরীরটা। ঘরে আলো আঁধারী। একটি মাত্র বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালানো। উদ্ভ্রান্তের মতো দৃষ্টি ঘুরে বেড়াতে লাগল ঘরের প্রতিটি কোনা। কিন্তু কিছুতেই নিজেকে বন্ধনমুক্ত করতে পারছে না দীর্ঘদেহী। অসংখ্য তার জালিকার মতো ঘিরে রয়েছে তার দেহ। মাথায় অজস্র স্মৃতি হুড়মুড়িয়ে ফিরে আসছে। শত [আরো পড়ুন]
Read More
অকালচক্রের কাঁটা
অধ্যায় এক
স্থান: মেক্সিকোর সিজুলুব হসপিটাল, সময়: বিকাল ৩টা ৪২, ৫ মে ২০৭৬
হাসপাতালের ছোট্ট কেবিনে একাকী শুয়ে আছে উনিশ বছরের এক তরুণ, শূন্য দৃষ্টি ছাদের দিকে স্থির হয়ে আছে। চোখের কোণ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে বালিশ ভিজিয়ে দিচ্ছে; তরুণের ঠোঁটের কোণে তৃপ্তির হাসি। সময় ফুরিয়ে এসেছে এটি সে ঠিকঠিক বুঝতে পেরেছে। মৃদু হাসিটি আরও বিস্তৃত হয়, কিছুক্ষণ পরে সেটি অট্টহাসিতে [আরো পড়ুন]
Read More
একটি মথের মৃত্যু
১. ‘Don’t clap too hard- It’s a very old building.’
‘সভ্যতা যখন ঘুমিয়ে ছিল, আমরা প্রকৃতিকে মায়ের রূপে পুজো করতাম। পশু থেকে মানুষ হবার তাড়নায় এক সময় আমরা মাকে ভুললাম। যে সবুজে আমাদের শান্তি ছিল তাকেই দু-হাতে ছিঁড়েখুঁড়ে একসময় এই হৃদয়হীন ধূসর শহরের জন্ম দিলাম আমরা। সেই শহর আজ নখ-দাঁতে গিলে নিচ্ছে আমাদের। আমরা বিপন্ন। চারিদিকে শুধু মৃত্যুর সুর বাজছে। মরুভুমি এগিয়ে আসছে, বরফ গলছে, [আরো পড়ুন]
Read More
চরমজীবী
প্রিয়দর্শিণী হ্রদকে পিছনে ফেলে অনেকটা এগিয়ে এসেছেন ডঃ বেদ পিল্লাই। একাই এসেছেন। এই আগস্ট মাসের শেষ শীতের -২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কামড় আটকাতে চার স্তরের পোশাক পরে আছেন। গায়ে পোলার পার্কা, ফ্লিস জ্যাকেট, হাতে দস্তানা, মাথা-মুখ ঢাকতে বালাক্লাভা। শারম্যাকার মরুদ্যানের এই বরফহীন উঁচু জায়গাটা বেশ মনোরম। এখান থেকে চারদিকের দিগন্তপ্রসারী বরফের আস্তরণটা [আরো পড়ুন]
Read More
ম্যাজিক বাক্স
(এই কাহিনি সম্পূর্ণ কাল্পনিক। কোনও ব্যক্তি বা ঘটনার সঙ্গে কোনওরকম মিল একেবারেই আকস্মিক বলে ধরতে হবে।)
(১)
“এই ছেলের জন্য একদিন আমাদের গুষ্টি-সুদ্ধ জেলে যেতে হবে। একে নিয়ে যে আমি কী করি!”
“এখন আক্ষেপ করে লাভ কি বল? ওর ছোটবেলা থেকে তোমাকে আমি বার বার বলেছি, যে ছেলেকে সময় দাও। কিন্তু তুমি তোমার কোর্ট আর …”
“ছেলেকে সময় দিলে যে পেটের ভাত জুটত না সে কথা খেয়াল আছে?”
Read More
ডে-ভি
কিউব, হাভেন, এখন
“আগে আমাদের পরিচয়গুলো দিই?” নরম, একটু স্নেহময় গলাটা বলে উঠল, “আমি ডক্টর আলতাফ হোসেন, চিফ অ্যানালিস্ট। আমার ডান পাশে রয়েছেন…”
“দরকার নেই।”
“মানে?”
“কারও পরিচয় দেওয়ার দরকার নেই ডক্টর। এই চেম্বারে ঢোকার আগে, ইনফ্যাক্ট কিউব-এ ঢোকার পর থেকে আপনার, আমার, সবার সবকিছু রেকর্ডেড হয়েছে। নতুন করে এ-সব বলার কোনো দরকার নেই।”
কিছুক্ষণ চুপচাপ হয়ে রইল ঘরটা। [আরো পড়ুন]
Read More
অমানব
অমানব
লেখক – তানজিরুল ইসলাম
অলংকরণ – সুপ্রিয় দাস
(১)
আমার সঙ্গে যে ঘটনাটা ঘটেছে, আমি চাই না সেটা আর কারও সঙ্গে ঘটুক বা আমার জীবনেই আবার দ্বিতীয়বার ঘটুক। মাত্র পাঁচদিন আগে আমি ওখান থেকে বেঁচে ফিরেছি। নেহাত কপালের জোরে, নয়তো আমাকেও মরে পড়ে থাকতে হতো লাশ হয়ে। আর পত্রিকায় উঠে চলে আসতো আমার সেই ক্ষত-বিক্ষত লাশের ছবি।
ব্যাপারটা আপনারাও দেখেছেন পত্রিকায়। [আরো পড়ুন]
Read More
আঁখিশ্রী
আঁখিশ্রী
লেখক – পার্থ দে
অলংকরণ – সুমিত রায়
(১)
৯ মার্চ, ২০১৮, বিক্রমশীল পাবলিক স্কুল, কলকাতা
স্কুলের পরীক্ষার আজ শেষদিন। সকাল থেকেই ছেলেমেয়েদের মুখে আনন্দের ছাপ। আজ পরিবেশ বিজ্ঞানের পরীক্ষা, ছাত্রছাত্রীরা তাই অনেকটা চাপমুক্ত। এরপর লম্বা ছুটি তিন সপ্তাহের, স্কুল খুলে আবার নতুন ক্লাস, নতুন পড়াশোনা। বিক্রমশীল সিবিএসসি বোর্ডের পাবলিক স্কুল, উচ্চবিত্ত [আরো পড়ুন]
Read More
কৌস্তূভ
কৌস্তূভ
লেখক – সুমিত বর্ধন
অলংকরণ – সুমিত বর্ধন
(১)
দক্ষিণের আকাশের দিকে একবার তাকালো শতদল।
গাঢ় নীল আকাশের বুকে দিগন্তব্যাপি এক সাদা খিলানের মতো দাঁড়িয়ে কৌস্তূভের বলয়। দিনের আলোয় চোখে না পড়লেও শতদল জানে ওই খিলানের আশে পাশেই কোথাও অভিকর্ষের জটিল পথ বুনে চলেছে কৌস্তুভের দুটি চাঁদ, সুহাস আর উল্লাস। কৌস্তূভ আবিষ্কর্তা বিজ্ঞানী সুহাস ভদ্রের নামে [আরো পড়ুন]
Read More
তারামাছ
তারামাছ
লেখক – ত্রিদিবেন্দ্র নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়
অলংকরণ – সৌরভ দে
(১)
স্থানঃ মাদ্রাজ
সময়ঃ ১৯৬০ সালের ২১শে জানুয়ারি।
“আপনার বিনয় দেখে আমি ভুলছি না স্যার। যাই বলুন আপনি স্যার একজন মহান বিজ্ঞানী।” মাধবন এই নিয়ে বোধহয় পনেরবারের মতো কথাটা বলল। বিক্রমের বিরক্তি ক্রমশঃ বাড়ছিল। এই লোকগুলো কী নির্লজ্জের মতো তোয়াজ করতে পারে। গত পরশু ও মাদ্রাজে এসেছে। [আরো পড়ুন]
Read More
নক্ষত্রলোকে দস্তখত
নক্ষত্রলোকে দস্তখত
মূল লেখক – লী প্রিসলি
বাংলা অনুবাদ – শ্রীপর্ণা বন্দ্যোপাধ্যায়
অলংকরণ – তৃষা আঢ্য
১
আগন্তুক
মাইক আর মলি কার্সন উপগ্রহ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের দরজায় অপেক্ষা করছিল। অধ্যাপক গ্লীম তাদের ওই মস্ত দূরবীনে চোখ রেখে দেখতে দেবেন তো? গতবার তো ওই লাল দাড়িওয়ালা বিজ্ঞানীর কথাবার্তা মোটেই আশ্বাসব্যঞ্জক লাগেনি।
রোদে পোড়া হলদে অবিন্যস্ত [আরো পড়ুন]
Read More
কর্নেল এবং…
কর্নেল এবং…
লেখক – রনিন
অলংকরণ – সুমিত রায়
১
পথে হলো দেরি
সেদিন ছিল রবিবার। একটা ছিমছাম ভালো লাগার অলস অখন্ড রবিবার। খবরের কাগজে কাজ করার সূত্রে ততদিনে সপ্তাহের বাকি দিনগুলোর সঙ্গে শনি-রবির পার্থক্য ভুলেছিলাম প্রায়, কিন্তু ডাকবাংলোর খুনের কেসটা সমাধান হওয়ার পর থেকে পুরো এক সপ্তাহের ছুটি মনজুর হয়েছে অফিস থেকে। তাই আমার হাতে তখন [আরো পড়ুন]
Read More
জিগজ্যাগ ও দুজন রানী
জিগজ্যাগ ও দুজন রানী
লেখক – নীলাঞ্জন মুখার্জ্জী
অলংকরণ – সৌরভ দে
রিদমের মাথায় ভূত – ব্যান্ডেল, ২০০৮
ছন্দা নতুন বাড়িটায় এসে বেশ ঘাবড়েছিল। বাড়িটা তার কাছে নতুন হলেও এমনিতে বেশ পুরানো। প্রায় তিনশো বছরের। এক সাহেবের কাছ থেকে কিনেছিলেন ছন্দার ঠাকুর্দার বাবা। মূল কাঠামোটা একই রেখে সংস্কার করেছিলেন। বাড়িটার সামনে একটা রাধাকৃষ্ণের মন্দির [আরো পড়ুন]
Read More
মায়াশূন্যযান
মায়াশূন্যযান
লেখক – সালেহ আহমেদ মুবিন
অলংকরণ – সুপ্রিয় দাস
(১)
হুনানপু আকাশের দিকে এক নজর তাকিয়ে বলল, “আমি ব্যাপারটা টের পাচ্ছি, কাস্টিলা। মহারাজ আমাদের আর বেশিদিন সহ্য করবেন না।”
কাস্টিলা অসন্তোষের শব্দ করল মুখ দিয়ে। “বুজরুক রাজপুরোহিতদের চেয়ে লোকে তোমাকে বেশি মানলে রাজার কাছে সেটা খারাপ লাগবেই। তারা আছে সারাদিন আনন্দ তামাশা নিয়ে। রাজ্যের [আরো পড়ুন]
Read More
মীরজাফর
“ড্যাম! হাউ দিস ক্যুড হ্যাপেন?”
“সরি স্যার- ইট ওয়স মাই ফল্ট, বাট-বাট আই ডিড রেক্টিফাই ইট উইদিন সেকেন্ডস।”
“দ্যাট ডাসন’ট চেঞ্জ এনিথিং!! ইউ অয়্যার অ্যাবাউট টু জিওপারডাইস মাই এন্টায়ার লাইফ’স ওয়ার্ক – ইউ!! লাল, ইউ দেয়ার??”
“ইয়েস স্যার।”
“শ্যুট দিস বাস্টার্ড রাইট নাউ! আই ওয়ান্ট টু হিয়ার হিস স্ক্রিম!”
একটা তীক্ষ্ণ শব্দ শোনা গেল – যুগপত বন্দুকের এবং মৃতপ্রায় মানুষের গলার।
Read More
আমি নিশার আতঙ্ক
ঘরে ঢুকতেই প্রথমে নজর পড়ল টেবিলের উপর সুন্দর একটা খাম। চট্ করে তুলে নিলাম। সত্যি, অদ্ভুত মনোগ্রাম করা খাম। গভীর নীল সমুদ্র। লাল প্রবালের স্তূপ এবড়ো খেবড়ো। কিন্তু কি বিশ্ৰী। লাল প্রবাল স্তূপের পাশে রয়েছে একটা বড় ইঁল বা বাণ মাছ। চোখ দুটো চুনি। মুখটা চ্যাপ্টা জোঁকের মত সাকার লাগান। কি জীবন্ত ছবি মনে হয় এক্ষুণি যেন নড়ে উঠবে ইলটা। [আরো পড়ুন]
Read More
অর্থতৃষ্ণা
য়ুরোপের যুদ্ধের সময় নানা টানাপোড়েনের দরুন কলকাতায় দ্রব্যমূল্য অত্যধিক বৃদ্ধি পায়। তার উপর আবার চাকরির বাজারেও মন্দার ভাঁটা লেগে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে। এই দুয়ের ধাক্কায় বহু লোকে তাদের কলকাতার পাট চুকিয়ে দেশের বাড়িতে পাড়ি দিলে, কলকাতার অনেক ভাড়াবাড়ি খালি হয়ে পড়ে। আমি আর ধূর্জটি সেই সময়ে আমাদের আমহার্স্ট স্ট্রীটের পুরনো মেসবাড়িটা [আরো পড়ুন]
Read More
প্রহরণ
১২ মার্চ , ২০১৭, কলকাতা
বাইপাসের মুখটায় একটা স্পিড ব্রেকারের সামনে লোকটা মোটরবাইকে আচমকা ব্রেক কষল। সুহানির নরম বুকটা লোকটার পিঠে লেপটে গেল। মনে মনে হাসল সুহানি। হেবি হারামি লোক তো! তবে লোকটাকে মনে ধরেছে তার। শট নেওয়ার আগেই তাকে দু হাজার টাকা অ্যাডভান্স দিয়েছে! কাজ শেষ হলে বলেছে আরও তিন হাজার টাকা দেবে। বাইকের পিছনে বসে সুহানি লোকটাকে আরও নিবিড় করে [আরো পড়ুন]
Read More
