স্তানিসোয়াভ লেম শার্ঘ সংবাদপত্রে একটি সাক্ষাৎকার
পেম্যান ইসমাইলি: আপনি কি একজন উত্তর-আধুনিক লেখক? উত্তর-আধুনিকতার সঙ্গে আপনার উপন্যাসের সম্পর্ক কী? উত্তর-আধুনিক তত্ত্ব (ডিকনস্ট্রাকশন) সম্পর্কে আপনার মতামত কী?
স্তানিসোয়াভ লেম: আমার লেখাকে “মডেল পোস্টমডার্নিজম” হিসাবে উপস্থাপন করা সাহিত্য বিশ্লেষণ ও গবেষণাপত্র গুলির সঙ্গে আমি একমত নই। ব্যাপারটা বেশ মজার, কারণ আমি যখন আমার বইগুলি [আরো পড়ুন]
Read More
ঘূর্নিপাকের হাল হকিকত
মূল গল্প: “The Seventh Voyage”, যা “The Star Diaries” গ্রন্থের অন্তর্গত।
সোমবার, ২রা এপ্রিল, আমার মহাকাশ যান বিটলজুস নক্ষত্রের পার্শবর্তী অঞ্চলে ভেসে চলেছে। এমন সময়ে একটা সিমবিচির কাছাকাছি আকৃতির আকাশপ্রস্তর আমার রকেটের খোলে এসে ধাক্কা মারল ও আমার চলন নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা তো বিগড়ে গেলই, উপরন্তু আমার রকেটের দিক নিয়ন্ত্রণকারি হালটাও ক্ষতিগ্রস্ত [আরো পড়ুন]
Read More
মোক্সনের নিয়ন্তা
‘তুমি কি রসিকতা করছ? নাকি সত্যিই বলতে চাইছ যে একটা যন্ত্রও ভাবনাচিন্তা করতে পারে?’
আমার এই প্রশ্নের জবাব দেবার বিন্দুমাত্র চেষ্টা না করে মোক্সন একাগ্র চিত্তে একটা লোহার শলাকা হাতে ফায়ার প্লেসের ঝিমিয়ে পড়া জ্বলন্ত কাঠকয়লার টুকরোগুলোর পরিচর্যা করতে লাগল। সেগুলোও বেশ গনগনে হয়ে উঠে তার পরিচর্যার প্রতিদান দিলো। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই তার মধ্যে এই পরিবর্তনটা [আরো পড়ুন]
Read More
শতবর্ষে ‘রোবট’, চেক প্রজাতন্ত্রের শ্রেষ্ঠ উপহার
আজ থেকে প্রায় একশো বছর আগে রাশিয়ান-বেলারুশিয়ান বর্ডারের কাছে পেট্রোভিচি (Petrovichi) গ্রামে অ্যাজিমভদের (Azimovs) ইহুদি পরিবারে এক শিশুর জন্ম হয়। বাবা-মা বাচ্চাটির নাম দেন আইজ্যাক। তাঁর সঠিক জন্ম তারিখ জানা যায় না, আন্দাজ করা হয় অক্টোবর ১৯১৯ থেকে ১৯২০ এর শুরুর দিকের মধ্যে তাঁর জন্ম। ১৯২৩ সালের তেসরা ফেব্রুয়ারি, আর এম এস বাল্টিকে চড়ে অ্যাজিমভের পরিবার নব্য [আরো পড়ুন]
Read More
অতিমারী ও মানবসভ্যতা: ভূত ও ভবিষ্যৎ
১১ মার্চ, ২০২০: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গ্যানাইজেশন বা সংক্ষেপে হু) ঘোষণা করল পৃথিবীতে এক এমন ভাইরাসের দাপট শুরু হয়ে গেছে, যার কোনও প্রতিষেধক মেডিকেল সায়েন্সে এখনও নেই। অর্থাৎ এই ভাইরাসকে অকেজো করে দেওয়ার মতো ভ্যাকসিন বা ওষুধ দুটোই আপাতত মানুষের অধরা। সাধারণত কোনও দেশে বা বিশেষ কোনও গোষ্ঠী কিংবা ভূখণ্ডে এধরনের কোনও অজানা [আরো পড়ুন]
Read More
অগোচরে
“তুমি তো নিশ্চয়ই কফি খেতে যাবে না?”
প্রশ্নটার মধ্যেই উত্তরটা লুকানো আছে যেন। একটু হেসে মাথা নেড়ে “নাহ্” বলল শিরিন। সিনিয়ররা চারজন ওর জন্যে অপেক্ষা না করে বেরিয়ে গেল ল্যাবরেটরির কাচের দরজা ঠেলে।
শুক্রবার রাত আটটা। ইন্টারন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব ইনফেকশাস ডিজ়িজ়ের বারান্দাগুলো এমনিতে সুনসান হয়ে যেত এতক্ষণে। ইটালির ত্রিয়েস্তে শহরের [আরো পড়ুন]
Read More
প্রহর
(১)
আমার সামনে একদিকে দিগন্তবিস্তৃত সফেন নীল জলরাশি, অপর প্রান্তে ধূসর সবুজ স্থলভাগের ক্ষীণ রেখা। আমার জন্মভূমি, আমার স্বদেশ। প্রায় ছ-টি মাসের সুদীর্ঘ জলবাসের পর একটাই প্রতীক্ষা থাকে সবার মনে, ঠিক কবে বাড়ি ফিরতে পারব। শেষের কয়েকটি দিনের অন্তহীন অপেক্ষার প্রহর যেন ফুরাতেই চায় না। আমরা সমুদ্র যাত্রীরা, একে অপরকে এই বলে আশ্বাস দিই যে আর তো মাত্র [আরো পড়ুন]
Read More
পুস্তক পরিচিতি – চারটি অতিমারী থিমের উপন্যাস
এবারের আলোচিত গল্পগুলির থিম অতিমারী বা মহামারী৷
১) দ্য মাস্ক অব রেড ডেথ— এডগার অ্যালান পো
শহরে মড়ক লেগেছে মড়ক৷ রেড ডেথ৷ আধঘণ্টার মধ্যে অতিযন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু৷ শহরাধিপতি প্রিন্স প্রস্পেরো-র অবশ্য তাতে কিছু যায় আসে না৷ তিনি তার সভাসদরা এবং শহরের ধনিক-শ্রেণী একটি মঠের দখল নিয়ে,বাইরের জগতের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করেছেন৷ খাবার, বিলাস-ব্যসন কোনও [আরো পড়ুন]
Read More
কল্পবিজ্ঞানের স্বর্ণযুগ? ভাবনায়, আঙ্গিকে
“There are but two ways of forming an opinion in science. One is the scientific method; the other, the scholastic. One can judge from experiment, or one can blindly accept authority. To the scientific mind, experimental proof is all important and theory is merely a convenience in description, to be junked when it no longer fits. To the academic mind, authority is everything and facts are junked when they do not fit theory laid down by authority.”
— Lifeline, Robert A. Heinlein (First Published in August, 1939 Issue of the Astounding Stories of Super-Science)
সাহিত্যে এবং সমাজের অন্তর্নিহিত মিথোস্ক্রিয়া এক বহতা নদীর মতো চলমান। তার নানা বাঁকে সমাজ বীক্ষণের নতুন আঙ্গিক অপেক্ষা করে [আরো পড়ুন]
Read More
ভাঙ্গা গড়ার খেলা
হঠাৎ ছুটতে শুরু করলাম। মহাশূন্যের ভেতর দিয়ে! কেন? জানি না। কোথায় যাচ্ছি তাও জানি না! শুধু এটুকু বুঝতে পারছি, গ্যালাক্সি কেন্দ্রের দিকে ছুটে চলেছি। ছুটছি তো ছুটছিই; অনিচ্ছা সত্ত্বেও ছুটছি!
এবার শুরু হল এক প্রচণ্ড টান। সোজা ব্ল্যাকহোলের দিকে। কিন্তু সেখানে তো আমাদের প্রবেশ নিষেধ। গ্রন্থে পরিষ্কার নির্দেশ দেওয়া আছে, “তোমরা আমার সৃষ্টির সর্বত্র ভ্রমণ [আরো পড়ুন]
Read More
জিরো
প্রাককথন
“এই কাহিনি শ’দুয়েক বছর পরের এক পৃথিবীর।
ক্রমশ কমে আসা সবুজ আর নীলের প্রায় সবটাই তখন মুছে গেছে বিশ্বযুদ্ধের তাপ আর বিকীরণে। সেই সঙ্গেই পৃথিবীর এক মস্ত অংশ থেকে হারিয়ে গেছে জীবন। কিন্তু সর্বনাশা যুদ্ধের শেষ পর্যায়ে এসে সেনাবাহিনীর একাংশ বুঝতে পারল, অন্য রাষ্ট্র বা ধর্ম-জাতি-ভাষার মানুষ নয়, এই যুদ্ধ চাইছে অতিবৃহৎ বাণিজ্যিক সংস্থাগুলো। [আরো পড়ুন]
Read More
ইন্ডিয়ান স্পেস ফোর্স ~ দেশের রক্ষাকবচ
ইন্ডিয়ান স্পেস ফোর্সের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উপলক্ষে দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কমান্ডার জেনারেল শ্রীমতী কৃষাণী আইয়ার। ডিফেন্স স্পেস এজেন্সির ব্রেনচাইল্ড আইএসএফ আজ অন্যান্য উন্নত দেশগুলির স্পেস ফোর্সের সমকক্ষ হয়ে উঠেছে। আইএসএফ-এর সামরিক শক্তি ও কার্যপ্রণালী সম্পর্কে অবহিত হওয়ার জন্য আপনাদের প্রিয় ওয়েব পত্রিকা সত্যসন্ধানীর কয়েকজন প্রতিনিধি [আরো পড়ুন]
Read More
একটি মথের মৃত্যু
১. ‘Don’t clap too hard- It’s a very old building.’
‘সভ্যতা যখন ঘুমিয়ে ছিল, আমরা প্রকৃতিকে মায়ের রূপে পুজো করতাম। পশু থেকে মানুষ হবার তাড়নায় এক সময় আমরা মাকে ভুললাম। যে সবুজে আমাদের শান্তি ছিল তাকেই দু-হাতে ছিঁড়েখুঁড়ে একসময় এই হৃদয়হীন ধূসর শহরের জন্ম দিলাম আমরা। সেই শহর আজ নখ-দাঁতে গিলে নিচ্ছে আমাদের। আমরা বিপন্ন। চারিদিকে শুধু মৃত্যুর সুর বাজছে। মরুভুমি এগিয়ে আসছে, বরফ গলছে, [আরো পড়ুন]
Read More
বজ্রবিদ্যুৎ সহ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস
“আচ্ছা, আজকে কি ঝড় আসবে?”
“এই আপনি কে বলুনতো? সেদিন থেকে ফোন করে করে এই একই প্রশ্ন করে চলেছেন! ইয়ার্কি হচ্ছে? মজা পেয়েছেন নাকি?”
কথাটা বলেই, কান থেকে ফোনটা প্রায় আছাড় মেরে নামিয়ে রাখতে গেলেন গৌরাঙ্গ, কিন্তু রিসিভারটা ক্রেড্লে না বসে, হাত ফসকে সোজা গিয়ে লাগল টেলিফোনের পাশে শোকেসের ওপরে রাখা ইন্দ্র এবং পুলমার বাঁধানো একটি ছবিতে; ফল- ছত্রভঙ্গ। কিছুক্ষণ [আরো পড়ুন]
Read More
আঁধার আর ঈশ্বর
শুরুর আগে
ঘুমিয়ে আছেন তিনি। অদ্ভুত এক মহাজাগতিক শূন্যতা গ্রাস করেছে তাঁকে।
জগৎ-সংসারের সবকিছু বেঁচে আছে উনার ঘুমের মধ্যেই। যদিও এই সংসার নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তা নেই তাঁর।
তারপরেও এই জগৎ গড়ে উঠেছে।
ঘুমিয়ে চলেছেন তিনি আর দেখে চলেছেন একের পর এক স্বপ্ন। প্রতিটি সৃষ্টিকে নতুন করে পূর্ণতা দিয়ে চলেছে উনার স্বপ্নগুলো। স্বপ্নের মাধ্যমেই প্রতিদিন [আরো পড়ুন]
Read More
অদৃত ও জিকাসন
জুপিটারের উপগ্রহে যখন স্পেসশিপ “INDOX 53” অবতরণ করল, অদৃতের যেন কিছুতেই বিশ্বাস হচ্ছিল না যে তারা অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। দীর্ঘ আট বছরের প্রচেষ্টা সফল হওয়ার খবরটা পেয়ে ড. রায়চৌধুরী মৃদু হাসলেন। চেয়ারে বসে প্রত্যয়ীভাবে নিজেকে বললেন, ‘ওয়েল ডান সৌম্য রায়চৌধুরী’।
এর পরের পদক্ষেপ – উপগ্রহপৃষ্ঠের জলবায়ু সরজমিনে পরীক্ষানিরীক্ষা করা। আর এসব কাজ করার জন্য তাদের [আরো পড়ুন]
Read More
স্বর্গই নরক
করতালির গর্জনে আমি পাশে বসা সীমা আর গ্রেগরির কথাও শুনতে পাচ্ছি না। আমি চোখ বন্ধ করে বসে আছি। কানটাও বন্ধ করে নিতে পারলে বোধহয় ভালো হত। দিল্লির রাজঘাট পাবলিক অডিটোরিয়ামের সাড়ে দশ হাজার আসন উপচে পড়েছে। দাঁড়িয়ে রয়েছেন আরও অন্তত তিনশো জন সাংবাদিক ও বৈদ্যুতিন মাধ্যমের প্রতিনিধি। আজ সেরিব্রনিক্স সিস্টেমস তাদের গত পঞ্চাশ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার এত বড় সাংবাদিক [আরো পড়ুন]
Read More
আরশোলার দুধ
(১)
বিদগ্ধ পাঠক: এ আবার কী! আরশোলার আবার দুধ হয় নাকি? যত্ত সব চিপ, সেন্সেশনাল জার্নালিজম!
লেখক: হা হা, পাঠক, আপনি আমার আসল উদ্দেশ্যটা ঠিক বুঝেছেন। তবে একটু সেন্সেশনাল করে নাম না দিলে কি আর আমার মতন একজন অজ্ঞাত, অখ্যাত ও অখাদ্য লেখকের লেখা কেউ পড়বে? অন্য কেউ হলে তো আমি নিজেই পড়তাম না! এরকম কত লেখক কলকাতার অলিতে গলিতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন! তাই আমাকে যখন প্রথম ডা: বরুণ [আরো পড়ুন]
Read More
নক্ষত্রের রাত
(১)
আর্ল, ২০ সেপ্টেম্বর ১৮৮৮
প্রিয় থিও,
কাল রাতে একটা অদ্ভুত স্বপ্ন দেখেছি।
ঘুম ভেঙে বারবার তোমার কথা মনে হচ্ছে। তোমাকে সব জানাই। কিন্তু এই কথাগুলো লিখতে গিয়ে কেন জানি না কেমন অস্বস্তি হচ্ছে। স্বপ্ন স্বপ্নই। তবু অন্য সব স্বপ্নের মতো ঘুম ভাঙার পরেও এবার যেন তার রেশ মিলিয়ে যাচ্ছে না। যেন কোনও অর্ধেক আঁকা ছবির মতো। বারবার অর্ধসমাপ্ত ক্যানভাসের সামনে দাঁড়াতে ইচ্ছে করছে।
Read More
দুখা
নিশীথবাবু বললেন, “আপনারা তো ওর বন্ধু। আপনারা একটু বুঝিয়ে বলুন না।”
পরেশদা ‘ফোঁস’ করে নিঃশ্বাস ফেললেন, “বলে লাভ কি? সুখেন আমাদের কথায় আর কবে কান দিয়েছে?”
নিশীথবাবু বললেন, “কিন্তু এ যে আগুন নিয়ে খেলা! এ জিনিস আগে কোনওদিন কেউ করেছে বলে আমার জানা নেই। কি কুক্ষণেই যে মুখ ফসকে ওর কাছে সেদিন বলে ফেলেছি দুখার কথাটা!”
আমি বললাম, “ব্যাপারটা কিন্তু আমি ঠিক [আরো পড়ুন]
Read More
পাঙ্ক কল্পবিজ্ঞান: সাহিত্যের বিপ্লব না অপচয় ?
The future is already here – it’s just not very evenly distributed
— William Gibson
‘পাঙ্ক’— এই শব্দটার সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় ১৯৭১-এ নির্মিত ক্লিণ্ট ইস্টউডের বিখ্যাত ক্রাইম সিনেমা ডার্টি হ্যারির মাধ্যমে। ফিল্মের ক্লাইম্যাক্সে উদ্যত বন্দুক হাতে হ্যারি কালাহানের মুখে ছিল সেই বিখ্যাত সংলাপ— “Did he fire six shots or only five?” Well to tell you the truth in all this excitement I kinda [আরো পড়ুন]
Read More
প্রতিবিম্ব
১
নতুন বাড়িটা বেশ ভালো লেগে গেল অভয়ের। অভয় একজন পদার্থবিজ্ঞানের ছাত্র, ও এই শহরে এসেছে ওর পি.এইচ.ডি কমপ্লিট করতে। ইউনিভার্সিটির হোস্টেলে জায়গা না পাওয়ায় ও শেষ পর্যন্ত এই বাড়িটা ভাড়া নিতে বাধ্য হল। বাড়িওয়ালা ভদ্রলোক সুধীনবাবু বেশ অমায়িক। নিজে রিটায়ার্ড মানুষ, বাড়িতে বউ আর ছেলে;ছেলে চাকরি করে। ভদ্রলোক বেশ রসিক লোক, গল্প গুজব করতে খুব ভালোবাসেন। [আরো পড়ুন]
Read More
অপার্থিব মেধার সন্ধানে
পর্ব – ৫
আন্তঃনক্ষত্র পরিযান
সবে সূর্যাস্ত হয়েছে। পশ্চিম আকাশে প্রহর শেষের আলোয় রাঙা মেঘ। বারান্দায় বসে চা খাচ্ছি। কলিং বেলের শব্দ শুনে উঠে গিয়ে দরজা খুলে দেখি প্রফেসর মহাকাশ ভট্টের সহকারী ধরণী – আমি অবশ্য ধরণীদা বলি। উনি বললেন –“স্যার আপনাকে সম্ভব হলে আজ রাত আটটা নাগাদ যেতে বলেছেন। উনি বেড়িয়েছেন – সাতটার মধ্যে ফিরে আসবেন। ক’দিন খুব [আরো পড়ুন]
Read More
নরকোচিত
১
রোদের তীব্রতায় চোখ মেলে তাকানো যায় না। হাত দিয়ে চোখ আড়াল করে রাখতে হয়। আকাশ ভয়াবহ নীল। বউ বাচ্চা বাসায় রেখে পিঠে ছোট্ট কালো ব্যাগটাকে সঙ্গী করে এতো দূরে যেতে মন চাইছে না। কিন্তু জীবিকার তাগিদে যেতেই হচ্ছে।
তাছাড়া আমাদের জীবনে নতুন অতিথি এসেছে। জীবন এখন আর আগের মত খামখেয়ালি করে চালানো যাবে না। এলিসাও এখনো সুস্থ হয়ে ওঠে নি। ওর জন্যেও ভালো মন্দ খাবার [আরো পড়ুন]
Read More
ঘাতক
“হে সর্বশক্তিমান থরের বংশধর, হে মহাধিপতি হেরন, তবে কি আমরা বসে বসে মার খাব? যুগযুগ ধরে বরফ গলার সময় ওরা আসছে। কিন্তু কোনওদিন আমরা অত্যাচারিত হইনি। উল্টে আমাদের চিরচারিত রীতি মেনে আমরা ওঁদের সমস্তরকম সহযোগিতা করে চলেছি। কতদিন, আর কতদিন এই আক্রমণ মেনে নেব?”
“শান্ত হও ওলাফ, ধৈর্য ধরতে শেখ। ভুলে যেও না আমরা ধরিত্রীর শ্রেষ্ঠ বীর ওডিন পুত্র থরের বংশধর। এই ধরিত্রীকে [আরো পড়ুন]
Read More
অমানব
অমানব
লেখক – তানজিরুল ইসলাম
অলংকরণ – সুপ্রিয় দাস
(১)
আমার সঙ্গে যে ঘটনাটা ঘটেছে, আমি চাই না সেটা আর কারও সঙ্গে ঘটুক বা আমার জীবনেই আবার দ্বিতীয়বার ঘটুক। মাত্র পাঁচদিন আগে আমি ওখান থেকে বেঁচে ফিরেছি। নেহাত কপালের জোরে, নয়তো আমাকেও মরে পড়ে থাকতে হতো লাশ হয়ে। আর পত্রিকায় উঠে চলে আসতো আমার সেই ক্ষত-বিক্ষত লাশের ছবি।
ব্যাপারটা আপনারাও দেখেছেন পত্রিকায়। [আরো পড়ুন]
Read More
উৎসব
উৎসব
মূল কাহিনি – দ্য ফেস্টিভ্যাল
লেখক – এইচ পি লাভক্র্যাফট
বাংলা অনুবাদ – দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য
অলংকরণ – সুপ্রিয় দাস
শয়তানের কৌশলে, মানুষ অবাস্তবকেও বাস্তব বলে ভুল করে
—লাকট্যানশিয়াস
আমি তখন বাড়ি থেকে অনেক দূরে। পুবের সমুদ্রের জাদু তখন আমাকে ছেয়ে ছিল। সন্ধ্যার আলো-আঁধারিতে আমি পাথরের গায়ে তার ঢেউ ভাঙবার শব্দ পাচ্ছিলাম। টের পাচ্ছিলাম,টিলাটার [আরো পড়ুন]
Read More
বীজ
বীজ
লেখক – অরুনাভ গঙ্গোপাধ্যায়
অলংকরণ – সুপ্রিয় দাস
যদি একটি চিত্রনাট্যের মতন দৃশ্যের পরে দৃশ্য দিয়ে আমরা সাজিয়ে নিই পরপর ঘটতে থাকা ঘটনাগুলিকে তাহলে প্রথমেই দেখব…
স্কাইস্কেপ জুড়ে ওরা দাঁড়িয়ে। সার বেঁধে। ওরা ঘুমোচ্ছে। রাত ঘন। এখন অন্ধকার চাপ বেঁধে আছে। খন্ডিত মৃতদেহ থেকে বেরিয়ে আসা রক্তের মতো। চাপ বেঁধে আছে। চারিদিকে নৈঃশব্দের [আরো পড়ুন]
Read More
রোহিণী
রোহিণী
লেখক – পার্থ সেন
অলংকরণ – সুপ্রিয় দাস
বাক্যহীন প্রাণীলোক-মাঝে
এই জীব শুধু
ভালো মন্দ সব ভেদ করি
দেখেছে সম্পূর্ণ মানুষেরে;
দেখেছে আনন্দে যারে প্রাণ দেওয়া যায়
যারে ঢেলে দেওয়া যায় অহেতুক প্রেম,
অসীম চৈতন্যলোকে
পথ দেখাইয়া দেয় যাহার চেতনা।
বারেলি থেকে দুধওয়া পৌঁছতে আমার সন্ধ্যে হয়ে গেল। আমার হোটেলটা পালিয়াকালান বলে একটা জায়গায়। অপূর্ব [আরো পড়ুন]
Read More
বৃষ্টি যেখানে একা
লেখক – পরীক্ষিৎ দাস
অলংকরণ – সুপ্রিয় দাস
ল্যান্ড রোভারের ভিতর আমার খুব প্রিয় একটা গান বাজছে। এখানে আসার সময়ে আমার পছন্দের বেশ কিছু গান একটা পেনড্রাইভে ভরে নিয়ে এসেছিলাম। শহর নিয়ে লেখা গানটার এই লাইনগুলো শুনলেই খালি মনে হয় এখানে সবকিছু আছে। নদী, পাহাড়, জঙ্গল, মরুভূমি — সব। শুধু শহরটাই নেই। সেই কাজেই আমার, থুড়ি আমাদের এখানে আসা।
ওরাই পাঠিয়েছে এই ঢাউস [আরো পড়ুন]
Read More
মীরজাফর
“ড্যাম! হাউ দিস ক্যুড হ্যাপেন?”
“সরি স্যার- ইট ওয়স মাই ফল্ট, বাট-বাট আই ডিড রেক্টিফাই ইট উইদিন সেকেন্ডস।”
“দ্যাট ডাসন’ট চেঞ্জ এনিথিং!! ইউ অয়্যার অ্যাবাউট টু জিওপারডাইস মাই এন্টায়ার লাইফ’স ওয়ার্ক – ইউ!! লাল, ইউ দেয়ার??”
“ইয়েস স্যার।”
“শ্যুট দিস বাস্টার্ড রাইট নাউ! আই ওয়ান্ট টু হিয়ার হিস স্ক্রিম!”
একটা তীক্ষ্ণ শব্দ শোনা গেল – যুগপত বন্দুকের এবং মৃতপ্রায় মানুষের গলার।
Read More
প্রলয়
প্রলয় উপস্থিত।
এভারেস্ট এর মাথার ওপর দাঁড়িয়ে থাকা মন্দিরের মতো বিল্ডিং ও তার পাশের রকেটের দিকে তাকিয়ে মায়ের কথা মনে পড়ে গেল রাজের।
দুইদিন আগেই মা মারা গিয়েছেন। তারপর অন্যরাও একে একে, এখন শুধু ওই বেঁচে আছে।
আকাশের দিকে মুখ তুলে তাকিয়েই খুশি হল রাজ। বাঃ, মায়ের কাছে যাওয়ার সময় এসে গিয়েছে।
আকাশে জমাট বাধা কালচে লাল রক্তের মতো মেঘ করেছে। অন্যন্য [আরো পড়ুন]
Read More
পরিবেশ কাহিনি
১
ঠাণ্ডা! শৈত্য! শীতল! মস্তিষ্কের কেন্দ্রস্থলে এই একটাই সংকেত পোঁছাচ্ছে আপাতত। স্নায়ু-জালের শাখা-প্রশাখা গুলো এখনো অচেতনতায় আচ্ছন্ন। হঠাৎ একটা যান্ত্রিক সংকেত সচল হয়ে উঠল। একটা নির্দিষ্ট ক্রমে পরিমিত বৈদ্যুতিক প্রবাহ এসে সটান আঘাত করল হৃদযন্ত্রে। সঙ্গে সঙ্গে অজস্র তারের জট বেয়ে জাগরণ বার্তা ধেয়ে এল শরীরটার সমস্ত প্রয়োজনীয় বৃত্তীয় [আরো পড়ুন]
Read More
ক্লাই-ফাই সিনেমা – রূপোলী আলোয় শেষের সেদিন
সয়লেন্ট গ্রিন ছায়াছবির এক আইকনিক ফ্রেম
Det. Thorn: Ocean’s dying, plankton’s dying… it’s people. *Soylent Green is made out of people.* They’re making our food out of people. Next thing they’ll be breeding us like cattle for food. You’ve gotta tell them. You’ve gotta tell them!
Hatcher: I promise, Tiger. I promise. I’ll tell the Exchange.
Det. Thorn: You tell everybody. Listen to me, Hatcher. You’ve gotta tell them! Soylent Green is people! We’ve gotta stop them somehow!
— Soylent Green (1973)
২০২২ এর পৃথিবী যেখানে প্রযুক্তির [আরো পড়ুন]
Read More
নতুন পৃথিবী
জালের থেকে বুড়ো আঙ্গুলের মতো বড় একটা পোকাকে ছাড়িয়ে নিল হিলা। হ্রদের জলে ডুবিয়ে আঠাটা ছাড়িয়ে নিয়ে আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলল, ‘খাবে নাকি?’
পোকাটা তখনো মরে নি। আমার গা গুলিয়ে উঠল। কোনো প্রাণীর মৃতদেহই কোনোদিন খাইনি। আমাদের সব প্রোটিন কৃত্রিমভাবে তৈরি। কোনোক্রমে বললাম, ‘না। কী এটা?’
নির্বিকার ভাবে পোকাটাকে মুখের মধ্যে পুরে চিবোতে চিবোতে হিলা [আরো পড়ুন]
Read More
হারানো হ্যালোইন (একটি ফ্যান ফিকশন)
সন্ধ্যে প্রায় হয়ে এল। হাইওয়ের ধার দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে পাশ দিয়ে প্রবল গতিতে ছুটে বেরিয়ে যাওয়া গাড়ি গুলোর আলোয় মাঝে মাঝেই চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে অর্কর। অক্টোবরের শেষ। বেশ কনকনে ঠাণ্ডা পড়েছে ম্যাসাচুসেটস-এ – তার ওপর মাউন্ট গ্রেলকের কাছাকাছি বলে এই জায়গাটায় ঠান্ডা আরো বেশি।
আজ প্রায় সাত মাস হল আমেরিকার বস্টন শহরে কাজের সূত্রে এসে রয়েছে অর্ক। এই ক’মাস [আরো পড়ুন]
Read More
৪২ এর খপ্পরে – একটি কল্পবিশ্ব ইভেন্ট
৪২ এর খপ্পরে – একটি কল্পবিশ্ব ইভেন্ট
“৪২ আপাতদৃষ্টিতে একটি সামান্য ছোট্ট নম্বর, পাঁচে না থাকলেও সাতে আছে যদিও! তা সেই সংখ্যাকেই দুম করে রাজার আসনে বসিয়ে, ডগ্লাস অ্যাডামস সাহেব তার বিখ্যাত বই ‘দ্যা হিচহাইকারস গাইড টু দ্যা গ্যালাক্সি’তে বলে বসলেন,- প্রাণ, বিশ্বজগৎ আর সমস্ত কিছুকে নিয়ে যে পরম প্রশ্ন তার উত্তর হল ৪২! তারপর বহু বছর ধরে বহু পণ্ডিত খোঁজার [আরো পড়ুন]
Read More
আমি নিশার আতঙ্ক
ঘরে ঢুকতেই প্রথমে নজর পড়ল টেবিলের উপর সুন্দর একটা খাম। চট্ করে তুলে নিলাম। সত্যি, অদ্ভুত মনোগ্রাম করা খাম। গভীর নীল সমুদ্র। লাল প্রবালের স্তূপ এবড়ো খেবড়ো। কিন্তু কি বিশ্ৰী। লাল প্রবাল স্তূপের পাশে রয়েছে একটা বড় ইঁল বা বাণ মাছ। চোখ দুটো চুনি। মুখটা চ্যাপ্টা জোঁকের মত সাকার লাগান। কি জীবন্ত ছবি মনে হয় এক্ষুণি যেন নড়ে উঠবে ইলটা। [আরো পড়ুন]
Read More
অদৃশ্য
লোকটা বারবার কেন আসে? সে কী চায়?
ব্যাপারটা অনিন্দ্যকে খুব ভাবিয়ে তুলেছে। একজন শিশিবোতলওয়ালার সাথে রুমেলারই বা এত ঘনঘন কী এমন দরকার থাকতে পারে? রুমেলা যদি তাকে বাড়ির পুরনো শিশি, বোতল, খবরের কাগজ ইত্যাদি বিক্রি করত, তাহলেও বোঝা যেত, কিন্তু তাও তো নয়! যখনই অনিন্দ্য বাড়ি থাকে না, তখনই লোকটা রুমেলার কাছে আসে আর অনিন্দ্যকে দেখলেই তড়িঘড়ি করে চলে যায়। ব্যাপারটা খুবই অদ্ভুত।
Read More
হাঁস ছিল শজারু
“হাঁস ছিল শজারু (ব্যাকরণ মানি না)
হয়ে গেল হাঁসজারু কেমনে তা জানি না।”
ছেলেবেলায় সুকুমার রায়ের ‘খিচুড়ি’ পড়তে বসে বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর ধড়ে মুড়োয় সন্ধির কথা পড়ে বা তাঁর আঁকা সেই সব খিচুড়ি জানোয়ারের অনবদ্য সব ছবি দেখে, এক জানোয়ারের সাথে অন্যের জোড়াতালি নিয়ে নানান অলীক কল্পনাবিলাস করে অবাক হয়নি এরকম বাঙালী পাঠক বা পাঠিকা পাওয়া খুব শক্ত। কিন্তু এই এক জানোয়ারের [আরো পড়ুন]
Read More
প্রহরণ
১২ মার্চ , ২০১৭, কলকাতা
বাইপাসের মুখটায় একটা স্পিড ব্রেকারের সামনে লোকটা মোটরবাইকে আচমকা ব্রেক কষল। সুহানির নরম বুকটা লোকটার পিঠে লেপটে গেল। মনে মনে হাসল সুহানি। হেবি হারামি লোক তো! তবে লোকটাকে মনে ধরেছে তার। শট নেওয়ার আগেই তাকে দু হাজার টাকা অ্যাডভান্স দিয়েছে! কাজ শেষ হলে বলেছে আরও তিন হাজার টাকা দেবে। বাইকের পিছনে বসে সুহানি লোকটাকে আরও নিবিড় করে [আরো পড়ুন]
Read More
পুনর্জন্ম – র্যামসে ক্যাম্পবেল
অন্ধকার! উঃ! আবার সেই শ্বাসরোধী অন্ধকার আমায় ঘিরে ধরছে! তবুও আমি নিশ্চিত কেউ আমার দিকে নজর রাখছিল! আচ্ছা, আমি কি অন্ধ হয়ে গেছি? তবে যে মনে হচ্ছিল কেউ আমার উপর ঝুঁকে পড়ে দেখছে? তা কি তবে স্বপ্ন? যেন অনেকগুলো স্বচ্ছ পর্দার ওপারে দাঁড়িয়ে থাকা এক মানবমূর্তি, যার মুখটা তৈরি শুধু জমাট অন্ধকার দিয়ে।
ঘন পলির মত অন্ধকার আমার চোখের উপরে জমে আছে, যেন কত জন্মের ঘুম [আরো পড়ুন]
Read More
কালচক্র
একটু দেরি হয়ে গেল মার্কের। তবে বেশি নয়, সকালে রাস্তা খালি থাকার কথা; তাহলেই মেক আপ হয়ে যাবে। অ্যাপে ম্যাপটা আরেকবার দেখে নিল সে। আরও সাতাশ কিলোমিটার, মানে প্রায় চল্লিশ মিনিট। এক ঘণ্টা লাগলেও ঠিক আছে। ওখানে গিয়ে মিঃ দত্তর সঙ্গে কাজ সাকুল্যে দশ মিনিটের, যদিও আধ ঘণ্টা ধরেছে সে। ভারতে কিছুই বলা যায়না, বরং সে যদি তাড়াতাড়ি পৌঁচে যায় এয়ারপোর্টে, অতিরিক্ত সময়টা বই হাতে কাটিয়ে দেবে সে।
Read More
ডাইস
ট্যান, রাত সোয়া আটটা
হাভেন শহরটা যেখান থেকে মরুভূমিতে মিশে গেছে, সেটা একটা চৌমাথা।
সেন্ট্রাল রোড ধরে এগোতে থাকা সবুজ গাছ আর রঙিন বাক্সবাড়ির ঝাঁক ছোটো আর গরিব হতে-হতে চৌমাথার এক প্রান্তে থেমে গেছে। অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে ফিলিং স্টেশনটা। মোটেল, রেস্টুরেন্ট, আর ক্যাসিনো রয়েছে আরেক প্রান্তে।
অবশিষ্ট কোণটা কোনও এক সময় হাউজিং হয়ে ওঠার স্বপ্ন [আরো পড়ুন]
Read More
ফ্রাঙ্কেনস্টাইন– কল্পনার অন্তরালে বাস্তব বিজ্ঞান
১৮১৮ সালে প্রকাশ পায় মেরি শেলীর লেখা ‘ফ্রাঙ্কেনস্টাইন অর মডার্ন প্রমিথিউস’ এর প্রথম খসড়া। তাঁর গল্পের প্রধান চরিত্র এক ডাক্তার, যিনি বিভিন্ন মনুষ্যদেহাংশ জুড়ে এক দানব তৈরি করেন। তারপরে সেই দানবদেহটিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠাকরেন। পৃথিবীর বুকে জন্ম নেয় এক আধিভৌতিক দানব। মেরি শেলীর এই অনবদ্য কল্পনা কিন্তু শুধুই আকাশকুসুম নয়, এর পিছনে ছিল তৎকালীন বিজ্ঞানের খুঁটিনাটি বিষয়।
Read More
প্রবাহ প্রহরী
“ক্রিং… ক্রিং…।” কলকাতার উত্তর শহরতলির একদম শেষ প্রান্তে এক প্রাচীন অথচ আশ্চর্য রকম জনবিরল এলাকা। প্রায় পরিত্যক্ত একটা বাড়ির অন্ধকার কোণে এতক্ষণ আত্মগোপন করে থাকা ঘরটা হঠাৎ যেন কোন অদৃশ্য অনুসন্ধিৎসুর সামনে অস্তিত্ব প্রকাশ হয়ে পড়ার একরাশ বিরক্তিতে কর্কশ আস্ফালন করে উঠল। ঘরের একক বাসিন্দা প্রাণীটার অবশ্য কোন ভাবান্তর ঘটল না। [আরো পড়ুন]
Read More
মানুষেরই মতো
(১)
আধো ঘুম অবস্থাটা আস্তে আস্তে কেটে যাচ্ছে যুধিষ্ঠিরের। মাথাটাও আস্তে আস্তে পরিষ্কার হয়ে আসছে। ঘরের চারপাশটা এতক্ষণে স্পষ্ট হয়ে এসেছে। ঘরটা ছোটো, কোনো জানালা নেই। সে শুয়ে আছে ঘরের একদম মাঝখানে একটা ছোট ধাতব টেবিলে। এই টেবিল ছাড়া ঘরে আর কোনো আসবাব নেই। ঘরের একদিকের দেওয়ালে একটা ডিসপ্লে প্যানেলে নানা রকম সংখ্যা ফুটে উঠছে। যেরকম হাসপাতালে [আরো পড়ুন]
Read More
নিরুদ্দেশের উদ্দেশ্যে – আনাতলি দ্নেপ্রভ
আমার মৃত্যুর পরে আমাকে মর্গ থেকে কিনে সোজা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল উডরপের বাড়িতে। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও ব্যাপারটা নেহাতই সাদামাটা। যেমন সাদামাটা আমার ঘটনাচক্রে মর্গে পৌঁছনোটা। নিউ ইয়র্কের একটা হোটেলের বাথরুমে আমি আমার হাতের শিরা কেটে আত্মহত্যা করেছিলাম। হোটেলের ভাড়া বাকি না থাকলে বোধ হয় অত তাড়াতাড়ি আমার খোঁজ পড়ত না আর আমার লাশটাও অত শিগগিরি পাওয়া [আরো পড়ুন]
Read More
অনাহূত – এইচ পি লাভক্র্যাফট
ছোটবেলার স্মৃতি বলতেই বহুমানুষের মনে ভেসে আসে রঙিন এক ফেলে আসা দুনিয়া, তাই হয়ত মানুষ বারেবারে তার হারানো শৈশবকে ফিরে পেতে চায়। কিন্তু শৈশবের স্মৃতি যাদের জন্য বহন করে দুঃখ আর অবর্ণনীয় আতঙ্ক, তাদের কাছে শৈশবের মানেটা আমার মতই- একটু অন্যরকম। আমার ছোটবেলাটা কেটেছিল আলোআঁধারির মধ্যে বসে বসে দুষ্প্রাপ্য বই পড়ে পড়ে। কখনও বা বিদ্যুতের আলোয় হঠাৎ করেই [আরো পড়ুন]
Read More
অমরত্ব
সন্ধ্যা ছ’টা বেজে পনেরো মিনিট। পশ্চিমমুখী জানালা দিয়ে তাকালেই দেখা যাবে পাহাড়ি উপত্যকার পেছনে সূর্য ডুবে যাচ্ছে। [আরো পড়ুন]
Read More