অন্য সময়
মূল গল্প: Elsewhen
“মাই ডিয়ার আগাথা,” ব্রেকফাস্ট টেবিলে বসেই ঘোষণা করলেন মি. প্যার্ট্রিজ, “এই বিশ্বের প্রথম সফল টাইম মেশিনের উদ্ভাবন আমি করে ফেলেছি।”
তবে তাঁর ভগ্নী যে এই ঘোষণায় বিন্দুমাত্র প্রভাবিত হয়েছেন তেমন কোনো লক্ষণ দেখা গেল না। উলটে ভাইকে দাবড়ে তিনি বলে উঠলেন, “আমার তো মনে হচ্ছে এরপর থেকে বিদ্যুতের বিল আরও বেড়ে যাবে।” কথাটা শেষ [আরো পড়ুন]
Read More
দ্বিতীয় বৈচিত্র্য
শুরুর দিকের নখরচক্রগুলো খুব একটা কিছু কাজের ছিল না—শুধু গড়িয়ে গড়িয়ে চলা ঘিনঘিনে আর কদাকার ছোটো ছোটো যান্ত্রিক মৃত্যুদূত। পরের দিকে যখন সৃষ্টি নিজেই শুরু করল স্রষ্টার অনুকরণ করতে, তখনই শুধু একবার মানব জাতির সামনে এসে গিয়েছিল শান্তি স্থাপনের সেই পরম সুযোগ—হায়! শুধু যদি সে তখন সেটাকে কাজে লাগাতে পারত!
টিলাটার ও-পাশের অসমান পাথুরে [আরো পড়ুন]
Read More
খুলি
দাচেন কেলস্যাঙ্গ একজন হত্যা-বিশারদ। সে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল আগে কখনো না দেখা একজন অচেনা অজানা মানুষকে হত্যা করার জন্য। এমনিতে এই ধরনের কাজ তার জন্য কঠিন কিছু নয়। আর এক্ষেত্রে তো ভুলের কোনো সম্ভাবনাই ছিল না। কারণ খুনটা করতে সে বেরিয়েছিল সেই অপরিচিত মানুষটার মাথার খুলিটা হাতে নিয়েই…
কারাগারটা শুধু পাহাড় [আরো পড়ুন]
Read More
নতুন পৃথিবীর সন্ধানে
(ফিলিপ কে. ডিক রচিত “দ্য ডিফেন্ডারস” – এর রূপান্তরিত অনুবাদ)
পর্ব – ১
UG-8 (Underground Era – 8 বা ভূগর্ভস্থ যুগ – ৮); AC – 52 বা কপ-৫২ (After Corona 52 বা করোনা পরবর্তী – ৫২); সপ্তম মাসের দ্বিতীয় দিন – প্রথম প্রহরের শেষ ভাগ
তালুকদার আরামচেয়ারে নিজেকে ডুবিয়ে একটা পা-এর উপর অন্য পা-টা তুলে বসলেন। হাতে আজ সকালের আপডেটেড ফোল্ডেবল সিলিকন-নিউজপ্যাডটা। এটা সাইজে আগের দিনের ট্যাবলয়েড খবরের কাগজের মতোই। তবে এটা এতটাই [আরো পড়ুন]
Read More
নোবেল দিলেন ঘনাদা
১
কলকাতা শহরের দক্ষিণে একটি কৃত্রিম জলাশয় আছে, করুণ রসিকতার সঙ্গে আমরা যাকে হ্রদ বলে অভিহিত করে থাকি। জীবনে যাদের কোনও উদ্দেশ্য নেই অথবা উদ্দেশ্যের একাগ্র অনুসরণে যাঁরা পরিশ্রান্ত, উভয় জাতের সকল বয়সের স্ত্রী-পুরুষ নাগরিক প্রতি সন্ধ্যায় সেই জলাশয়ের চারিধারে এসে নিজের নিজের রুচিমাফিক স্বাস্থ্য অর্থ কাম মোক্ষ এই নব্য চতুর্বর্গের [আরো পড়ুন]
Read More
গোধূলি লগ্নে সূর্যোদয়
অরিন তাড়াতাড়ি করে বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসে। তখনও গামছা দিয়ে মাথা মুছে চলেছে। টপ টপ করে জলের ফোঁটা মাথা থেকে ঘাড় বেয়ে পিঠে নেমে যাচ্ছে। কিন্তু তর সয় না অরিনের। বাবাকে ডাইনিং টেবিলে চা খেতে দেখেই বলে ওঠে, “বাবা, আজ আমাদের স্কুলে পৌঁছে দেবে?”
তীর্থঙ্কর তখন সবেমাত্র পট থেকে কাপে দ্বিতীয় বারের জন্য চা ঢালছে। ঘুম থেকে উঠে সকালে পরপর অন্তত [আরো পড়ুন]
Read More