নহি যন্ত্র
আমি গতকাল, বা আরও নিখুঁতভাবে বলতে গেলে, মোটামুটি পঁচিশ ঘণ্টা আগে একটি ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে বসেছিলাম।
সাইট ওপেন হতেই লগ ইন ক্রেডেনশিয়ালসের পেজ আসার আগেই সামনে একটি ছোট্ট মেসেজ দেখতে পাই আমি, ‘আই অ্যাম নট এ রোবট।’ পাশে একটি চৌকো বাক্সো। বাক্সের উপর ক্লিক করে নিজের অযান্ত্রিকতার প্রমাণ দিই। এরপরই আমার কাছে ন-টা ছবিসমৃদ্ধ একটি উইন্ডো [আরো পড়ুন]
Read More
হয়তো আবার
রাস্তা দিয়ে আনমনে হাঁটছিল নীহারিকা। না, ঠিক আনমনে নয়, মাঝে মাঝে হাতের উলটো পিঠটা ঘষছিল গালে। না ঘষে অবশ্য উপায় ছিল না। এই ভর দুপুরবেলা শহরের ব্যস্ত রাস্তায় একটা অল্পবয়সি মেয়েকে মরা মাছের মতো খোলা চোখে কাঁদতে কাঁদতে হাঁটতে দেখতে পেলেই সবাই ঘুরে ঘুরে তাকাবে। চশমাতেও বিশেষ সুবিধে করতে পারবে না। নেহাত মানুষের অত সময় বা গরজ নেই তাই!
কিন্তু [আরো পড়ুন]
Read More
আমার প্রাণের পরে
“শরণ্যা! ডায়েরিটা কোথায় গেল আমার? কতবার বলেছি ওটা টেবিল থেকে সরাবে না?”
স্টাডি থেকে অভিজিতের চিৎকার শুনে রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে শরণ্যা। এই চিৎকারগুলো শুনলে বড্ড ব্যর্থ মনে হয় নিজেকে। মনকে বহুবার বোঝানোর চেষ্টা করেছে, এতে তার দোষ নেই, তার ওপর ভুবনের ভার নেই— তবু বোঝাতে পারেনি। ভুবন না হোক, একটা মানুষের ভার তো [আরো পড়ুন]
Read More
আজি হতে
সবজেটে আকাশটার দিকে একদৃষ্টে চেয়ে ছিল নীলোৎপল। এই মাঠটায় কেউ আসে না। মাঠ অবশ্য নামেই। শুধুই খানিকটা লালচে ধূসর জমি। আসলে আজকাল মানুষ বাড়ি থেকে বেরোয়ই কম, কারণ বাড়ি থেকে বেরোনো মানেই জীবন বাজি রাখা। তবু নীলোৎপল বেরোয়। খুব সন্তর্পণে, মা-বাবার নজর বাঁচিয়ে। বেরিয়ে এসে কমপ্লেক্সের পিছনদিকে এই মাঠে বসে থাকে। আকাশ দেখে। ওর মনে হয়, এইটুকু না করতে পারলে [আরো পড়ুন]
Read More