দ্বীপ
প্রতি রাতের মতো আজও ঘুমটা ভেঙে গেল। সেই একই স্বপ্ন ভেসে ভেসে আসছে বারবার… বারবার! কোনো এক অদৃশ্য ষড়যন্ত্রকারীর পরিচালনায় যেন এই দুঃস্বপ্নটা মঞ্চস্থ হচ্ছে রোজ। রোজ রাতে আমার শরীর যখনই ক্লান্ত হয়ে এই এক কামরার ফ্ল্যাটটার এককোনায় রাখা বিছানাটায় গা এলিয়ে দেয়, ভেবে নেয় চোখ বুঝলেই হয়তো নেমে আসবে নিশ্চিত নিদ্রা ঠিক তখনই এই [আরো পড়ুন]
Read More
কোলাহলের সন্তান
পিঠে কী একটা হয়েছে। মেরুদণ্ড বরাবর। সুতি হাত দিয়ে ছুঁয়ে বোঝার চেষ্টা করল। ওই অংশের চামড়াটা যেন পুরু হয়ে গিয়েছে। এবড়োখেবড়ো। আঙুল ঘষতেই খরখর আওয়াজ শোনা যাচ্ছে।
বুকটা ছ্যাঁৎ করে উঠল ওর। তারপর কিছুক্ষণ ঝিম মেরে বসে রইল। বাইরে পাখি ডাকছে। নীল শালিকদের কিচির মিচির। জোড়া মৌটুসির গান। একটা গাঢ়কাকের কর্কশ ডাক। বেলা শেষ হয়ে আসছে।
Read More
রিগিং
ডেটা-সলভ করপোরেশনের মিটিং রুমের সামনে সবাই ঘোরাফেরা করছে। এম-ডি পুরো টেকনিকাল টিমের মিটিং ডেকেছেন। গুজব শোনা যাচ্ছে যে অনেক দিন পরে নাকি ডেটা-সলভ একটা বিরাট গভর্নমেন্ট অর্ডার পেয়েছে।
সাত্যকি পাল একজন সিনিয়ার অ্যানালিস্ট। সে একটু নার্ভাস বোধ করছে। কারণ যদি গোলমেলে কাজ হয়, এম-ডি-র স্বাভাবিক প্রবণতা হল সেটা তার দিকে ঠেলে দেয়া। [আরো পড়ুন]
Read More
নক্ষত্রবালিকা
মার্চ মাস। আন্টার্কটিকার ক্যাস্টিলো টু বেস স্টেশন। লারশেনফিল্ড গ্লেশিয়ারের পাশে বেরট্রাব নুনাটাকের উপর। জায়গাটা লিটলউড নুনাটাকের থেকে আরো দশ কিলোমিটার পশ্চিম দক্ষিণ পশ্চিমে। এর কাছেই দুটো ছোট ছোট নুনাটাক মাথা তুলে রয়েছে। নুনাটাক মানে হল পাহাড়ের চূড়া, হাজার ফুট পুরু বরফের স্তরের উপরে দ্বীপের মতো জেগে রয়েছে।
এখানে মেটাল [আরো পড়ুন]
Read More
সময়যাত্রিণী
টিনা – বর্তমান – বয়স আঠারো
বিরাট মেশিনটার মধ্যে আলোগুলো দপদপ করছে, আমি সেটাই দেখছিলাম। মেশিনটা পুরো চার্জড অবস্থায় আছে।
আবার প্যানেলটা চেক করলাম। এই জবরজং সুরক্ষা-সুট, আগাপাশতলা মোটা রাবারের প্রলেপ দেওয়া বুট আর গলা অবধি ঢাকা হেলমেট পরে আমাকে যে শুধু দেখতে বিদঘুটে লাগছে, তা নয়, তার সঙ্গে এই এতটা বাড়তি ওজনের জন্য আমার হাঁটাচলা [আরো পড়ুন]
Read More
চাঁদের পাথর দিয়ে
“তুমি কী এইগুলো দেখেছ, রমেশ?”
“না তো। এই ছবিগুলো কবে এল? জুম কর। আর প্রিন্টও বের কর”।
“কালকে পাঠিয়েছে। তুমি তো কাল আসনি— কেন? সব ঠিকঠাক তো?”
“হ্যাঁ, একটু বাড়ির কাজ পড়ে গেছিল। ছবিগুলি মেইল করেছে?”
“হ্যাঁ। লুনার অবজারভেটরি সেন্টার পাঠিয়েছে। বলছে ওদের যে লেটেস্ট চন্দ্রযানটা পাঠিয়েছে সেটাই নাকি এই ছবিগুলো পাঠিয়েছে।
ছবিগুলোর অক্ষাংশ [আরো পড়ুন]
Read More
হস্তপাশ
এক
‘তিন্নি, একবার আমাদের বাড়িতে আসবি?’
মৌয়ের গলা একটু অন্যরকম লাগল। এমনিতে মৌ ভীষণ হাসিখুশি, ফুর্তিবাজ মেয়ে। কিন্তু এই মুহূর্তে ওর গলায় উৎকণ্ঠার ছাপ স্পষ্ট। জিজ্ঞেস করলাম, ‘কী হয়েছে রে?’
‘তুই আয় না। ফোনে বোঝানো যাবে না’।
ঘড়ি দেখলাম। সওয়া পাঁচটা। বাড়ি ফিরতে সন্ধে হয়ে যাবে। কিন্তু মৌয়ের স্বরে কিছু একটা ছিল যাতে মনে হল [আরো পড়ুন]
Read More
ধোঁয়া
প্রাক-কথন
“স্যার, কাজটা আমাদের এখানেই আটকাতে হবে, নাহলে যে সর্বনাশ হবে!”- বিখ্যাত বিজ্ঞানী সুদর্শন বোসের দিকে তাকিয়ে জানাল অরিন্দম।
“আচ্ছা অরিন্দম – সবসময় কি কম্পিউটার সিমুলেশন পুরোপুরি একিউরেট হয় বলে তোমার মনে হয়?” প্রখ্যাত বিজ্ঞানীর তীক্ষ্ণ চোখে সন্দেহ।
“তা হয়তো নয়। তবু আমাদের এই কাজের বেশিরভাগই তো সিমুলেশনের ওপর [আরো পড়ুন]
Read More
সুখের বড়ি
ঘুম ভাঙতেই সুজিতের রোজকার মতো কষ্ট হল। না আজ রাতেও সে কোনো স্বপ্ন দেখেনি। অথচ রোজ রাতে শুতে যাওয়ার সময় ও মনে মনে আশা করে একটা স্বপ্ন দেখার। ছোটোবেলায় যেমন দেখত। প্রজাপতির মতো হালকা বর্ণালী পাখাওলা কোনো মিষ্টি পরীর স্বপ্ন। অথবা ভয়ঙ্কর অন্ধকারের মতো কোনো রাক্ষসের দুঃস্বপ্ন। আগুনে চোখ আর বীভৎস চেহারা নিয়ে যে সুজিতকে তাড়া [আরো পড়ুন]
Read More
আত্মঘাতী নক্ষত্র
মহাকাশযানের পেছনের জেটগুলো বন্ধ করে দিল আগরওয়ালা। পেছনের জেটগুলো এতক্ষণ অদৃশ্য আগনের হলকা ছুড়ে মারছিল মহাশূন্যে। তারই জোরে প্রচণ্ড গতিতে সামনের দিকে ছুটে চলেছিল আগরওয়ালের মহাকাশযান। জেটগুলো বন্ধ করে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সামনের দিকে প্রচণ্ড এক ধাক্কা অনুভব করল সে। কিছুটা সামনের দিকে ঝুঁকে পড়ল। গতি মন্থর হয়ে এল মহাকাশ [আরো পড়ুন]
Read More
এক প্রহেলিকার জন্ম
বিঃদ্রঃ- এই গল্পটি কল্পবিশ্ব পত্রিকার “তৃতীয় বর্ষ, প্রথম সংখ্যা”য় প্রকাশিত আমার গল্প “সময়ের আতঙ্কে”(https://kalpabiswa.in/article/%E0%A6%B8%E0%A6%AE%E0%A7%9F%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%86%E0%A6%A4%E0%A6%99%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A7%87/)-এর পরবর্তী অংশ। সুতরাং, কেউ চাইলে এটা পড়ার আগে ওটা পড়ে নিতে পারেন। তবে ওটা না পড়া থাকলেও এটা বুঝতে কোনোরকম অসুবিধা হবে না।
এক
১৯৮১ সাল, ব্যারাকপুর:
গঙ্গার ঘাটে বসে ছেলেটা দেখেই [আরো পড়ুন]
Read More
আদিম
সভা
সামনে বিস্তীর্ণ জলাভূমি। দূষণহীন বাতাস পেরিয়ে তীক্ষ্ণ সূর্যের আলো উত্তাপ ছড়াচ্ছে মনের আনন্দে। যত দূর চোখ যায় চিকচিক করছে জলাভূমি। জলাভূমির মাঝখানে আছে এক সুবিশাল গভীর সরোবর। ওই সরোবরে দেবী পেরপিউরুনা, দুটি শুঁড়ের মাথার ওপরের বসানো চোখ দুটো বন্ধ করে বিশ্রাম নিচ্ছেন। কে জানে কত সময় ধরে। এখানকার জল ও জমি দুই লালচে কালো; [আরো পড়ুন]
Read More
সময় সরণি, এক স্বপ্নের খোঁজ
১
– এমন অমঙ্গুলে কথা সাতসকালে কী না বললেই নয়, প্রফুল্ল! ছেলেটা আমাদের কতদিন হল বাইরে গেছে, ভালো চিন্তা কর। সেও ভালো থাকবে, তার সঙ্গে আমরাও। তার চেয়ে গোবিন্দ ভজ, হৃদয়ে শান্তি পাবে।
– তোমরা বাবারা বড্ড পাষাণ। মায়েদের হৃদয় তোমরা কী বুঝবে! বিদেশ যাওয়ার দুই বছরে ছেলেটা একবারও বাড়ি এসেছে? যাওয়ার আর জায়গা পেল না, এক্কারে বিদেশ। অনেক হয়েছে, আর না, এবারে তাকে বাড়ি আসতে বল।
Read More
হস্তীসঙ্গীত
अपरेयमितस्त्वन्यां प्रकृतिं विद्धि मे पराम् |
जीवभूतां महाबाहो ययेदं धार्यते जगत् ||
১
ছোটবেলায় বাবা-মায়ের সঙ্গে এখানে যখন প্রথমবার আসি, আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেছিল এই সুপ্রাচীন আদিম অরণ্য দেখে। কলকাতার কংক্রিটের জঙ্গলে বড় হওয়া শিশু মনে প্রশ্ন জেগেছিল, পৃথিবীর কোথাও এত গাছ থাকতে পারে? এখন, তিন দশক পর ডোঙ্গিরিতে কাজের সুত্রে ফিরে [আরো পড়ুন]
Read More
মরণের মুখে রেখে
মানুষ চায় অনেক কিছু; কিছু পায়, কিছু পায় না; কেউ পায়, কেউ পায় না। কালিদাস বিদ্যা চেয়েছিল, পেয়েওছিল; রাধা কৃষ্ণকে চেয়েও পায়নি।
শুক্লাও পায়নি।
শুক্লা বসু, এম.এ. সেকেন্ড ইয়ার, সংস্কৃত। বয়স তেইশ।
বিকেল ফুরিয়ে আসছে। সূর্য ইতিমধ্যেই ডুবে গেছে দৃষ্টিসীমার ওপারে। বৈশাখের রিক্ত অপরাহ্ণে বাড়ি ফিরছে ক্লান্ত পাখির দল। ছাদের উপর দাঁড়িয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
জিন মানব রবীন্দ্রনাথ
রবি তখনও থরথর করে কাঁপছিল। চারপাশের জনতা তাকে ঘিরে উল্লাসে ফেটে পড়ছে। একজোড়া বলিষ্ঠ হাত হঠাৎ তাকে শূন্যে তুলে নিল। সে তখন মানুষের মিছিলের কাঁধ থেকে কাঁধে ছড়িয়ে পড়ছে। সবার মুখে মুখে ফিরছে, জয় রবীন্দ্রনাথের জয়!
অথচ তখনও রবি ভেতর ভেতর টুকরো টুকরো হয়ে যাচ্ছিল। জনতার আওয়াজ তার কানে অবধি পৌঁছচ্ছে, কিন্তু [আরো পড়ুন]
Read More
আসিমভের গোয়েন্দাগিরি
“আমরা ড. আসিমভের সঙ্গে দেখা করতে চাই।”
রোবট দুটির মধ্যে যার দেহটি একদম ধাতব এবং রুপোলি রঙের মধ্যে একটা নীলচে আভা খেলে যাচ্ছে সে-ই বলে উঠল রিসেপশন ডেস্কে এসে ।
“কিন্তু উনি তো কনফারেন্সে আছেন,” রিসেপশন ডেস্ক থেকে সুসান বলল। “কী দরকার শুনি? অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছাড়া তো দেখা হবে না।” বলেই সুসান কম্পিউটারে ক্যালেন্ডার খুলে বসল।
ওদিকে চকচকে বার্নিশ [আরো পড়ুন]
Read More
গামবারাগারার সাদা মানুষ
অরিন্দমদার সঙ্গে আমার প্রথম আলাপ আফ্রিকায়। রুয়েঞ্জরি পাহাড়ের নীচে রুবোনি নামে একটা জায়গায়। এটা উগান্ডার রাজধানী কাম্পালা থেকে প্রায় পৌনে চারশো কিলোমিটার দূরে। রুয়েঞ্জরি পাহাড়ে ওঠার প্রথম ক্যাম্প। একটা সাফারি ভ্যান আমাকে নামিয়ে দিয়ে গেছে।
রুবোনি ক্যাম্পে কয়েকটা টিনের ছাউনি দেওয়া কাঠের আর পাথরের ঘর আছে। একটা হলের মতো লাউঞ্জ। আধুনিক [আরো পড়ুন]
Read More
অনুভূতিদের শীর্ষবিন্দু
হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় শান্তনুর, প্রায় অন্ধকার কম্পার্টমেন্ট, শীতের রাত, সকলেই প্রায় ঘুমিয়ে পড়েছে, শুধু একটানা ট্রেনের শব্দ আর ঝাঁকুনি, বাথরুমের কাছে হলুদ আলোটা জ্বলছে, ঘুম চোখে সেই আবছা আলোয় সবকিছু কেমন মায়াবী লাগে শান্তনুর।
সর্বোচ্চ গতিতে ট্রেনটা ছুটছে, শান্তনুর মনে পরে সে যখন ঘুমিয়েছিল তখন ট্রেনটা দাঁড়িয়েছিল। কটা [আরো পড়ুন]
Read More
দেবদূত
প্রারম্ভিকা
বিশাল কালো প্রান্তরের মধ্যে অবস্থিত শহরটি। সেটাকে ঘিরে আছে বিশাল ধূসর দেয়াল। এক রাস্তা যোগ হয়েছে মূল ফটকের সঙ্গে। ফটকের দুই পাশে দুটো বেদি, এবং সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে দুই মূর্তি। একটা সাদা শ্বেত পাথরের, আরেকটা কালো কষ্টি পাথর। একটা দেবদূতের, আরেকটা কালদূত। দুটো প্রকাশ করে শহরের সাম্যতা, সঙ্গে অস্তিত্ব।
কথিত আছে, যদি শহরের [আরো পড়ুন]
Read More
কোন সে কবির ছন্দ বাজে
জন্মান্তর আছে কিনা জানি না, কিন্তু এ কথা নিশ্চিত জানি, ওই মেয়েটিকে আমি চিনি। কোথায় তাকে দেখেছি, কিছুতেই মনে করতে পারছি না। কিন্তু ওকে আমি চিনি, চিনি, চিনি। ওই চোখের দৃষ্টি, ওই ভ্রূভঙ্গি, ওই ঠিকরে পড়া আলোর ঝলক— ও আমি নিশ্চিত কোথাও দেখেছি আগে। হয়তো এই জন্মে, হয়তো গতজন্মে— যদি গতজন্ম বলে সত্যিই কিছু থাকে।
স্বপ্নে সে এসেছিল আমার কাছে। প্রায়ই [আরো পড়ুন]
Read More
ফাংগাস
প্রথম পর্ব: ওরা ছড়িয়ে পড়ল
এক
কলকাতা, মঙ্গলবার, সন্ধে পাঁচটা কুড়ি মিনিট
বাড়ি ফেরার পর সঞ্জয় সেন আচমকা ধাক্কার কথাটা ভুলেই গেছিল। এসপ্ল্যানেডের মোড়ে ধাক্কাটা লেগেছিল ভদ্রমহিলার সঙ্গে। ধাক্কা না বলে তাকে ‘কলিশন’ বলা উচিত। যা ভিড় জায়গাটায়। ক্যাসেটের একফালি দোকান থেকে ভেসে আসছে উৎকট গানবাজনা। মাথা ঠিক রাখা যায় না।
মেজাজ খিঁচড়ে [আরো পড়ুন]
Read More
রবিকিরণ দাশগুপ্তের কেস-ডায়েরি
কেস এন্ট্রি: ১৮
মে, ২০৯১
ঘরে ঢুকে দেখলাম কর্নেল আয়ার বসে আছেন মেরুদণ্ড সোজা করে। তাঁর মুখ দেখে মনে হচ্ছিল তিনি একটু বিরক্ত। সেটা অস্বাভাবিক নয়; উচ্চপদস্থ অফিসার তিনি; আমার জন্য পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করাকেও তিনি সময় নষ্ট মনে করতেই পারেন।
আমাকে দেখে কর্নেল আয়ার বললেন, “এই যে দাশগুপ্তা। মেল পেয়েছেন নিশ্চয়ই। রেডি তো?”
আমি বললাম, “হুঁ, রেডি তো হয়েই আছি। গাড়ি এনেছেন?”
Read More
স্বাধীনতার সাধ
(১)
সাঁই! ঠাং!…ধড়াম!
তিনটে শব্দ, তারপর কয়েক সেকেন্ডের পিন ড্রপ সাইলেন্স, আর এরপরই তুমুল হুল্লোড় আর উচ্ছ্বাসের বিস্ফোরণ! আর সঙ্গে সঙ্গে চলছে বিজেতার জয়ধ্বনি— “স্টিংগার! স্টিংগার! স্টিংগার!” এরিনার চারটে জায়ান্ট স্ক্রিনে বারবার দেখানো হচ্ছে যে কিছুক্ষণ আগে স্টিংগার কীভাবে অভাবনীয় ক্ষিপ্রতার সঙ্গে তার প্রতিপক্ষকে ‘স্টিং’ দিয়ে গেঁথে মাটিতে [আরো পড়ুন]
Read More
নক্ষত্রের রাত
(১)
আর্ল, ২০ সেপ্টেম্বর ১৮৮৮
প্রিয় থিও,
কাল রাতে একটা অদ্ভুত স্বপ্ন দেখেছি।
ঘুম ভেঙে বারবার তোমার কথা মনে হচ্ছে। তোমাকে সব জানাই। কিন্তু এই কথাগুলো লিখতে গিয়ে কেন জানি না কেমন অস্বস্তি হচ্ছে। স্বপ্ন স্বপ্নই। তবু অন্য সব স্বপ্নের মতো ঘুম ভাঙার পরেও এবার যেন তার রেশ মিলিয়ে যাচ্ছে না। যেন কোনও অর্ধেক আঁকা ছবির মতো। বারবার অর্ধসমাপ্ত ক্যানভাসের সামনে দাঁড়াতে ইচ্ছে করছে।
Read More
আরোগ্য
‘অর্পণের ব্যাপারটা শুনেছিস?’ চায়ের কাপে একটা সশব্দে চুমুক দিয়ে অন্যমনস্কভাবে জিজ্ঞেস করলো বিট্টু।
‘হ্যাঁ, ফোন করেছিল। ওর ঠাকুরদা’র ঘরের আলমারি থেকে কী নাকি একটা জিনিস পেয়েছে বলছিল। কাল সন্ধ্যায় ওদের নতুন ফ্ল্যাটে ডেকেছে।’
‘আমায়ও ফোন করে একই কথা বললো। আরও কত কী বলে গেল, ঠিকঠাক বুঝে উঠতে পারলাম না। শেষে বলল, এগুলোই নাকি তার জীবনে আরেকটা সুযোগ এনে [আরো পড়ুন]
Read More
বুনিষ বন্ধু
(১)
‘তুই অতদূরে যাবি?’ বলে উঠল মা। অনুষ্কা সমাজসেবা, মানে কমিউনিটি সার্ভিসে, যাচ্ছে। আজকাল ওদের স্কুলে বাচ্চাদের সমাজসেবা করা বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। যে যার ইচ্ছামতো কাজ করতে পারে, যেমন গাছ লাগান, রাস্তা বা বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখা, গরিব বাচ্ছাদের পড়ান। কিন্তু অনুষ্কার পছন্দ, সমাজের বয়স্ক মানুষ, যারা একা থাকেন তাঁদের দেখাশোনা করা। ওদের স্কুল থেকে কয়েকটা [আরো পড়ুন]
Read More
প্রফেসর শঙ্কু ও কারপেথীয় আতঙ্ক
ঐতিহাসিক ও ভৌগোলিক সত্যের সঙ্গে কল্পনার রঙ মিশিয়ে রচিত এই কাহিনি উৎসর্গিত হল সত্যজিৎ রায়ের অমর স্মৃতির উদ্দেশ্যে।
৩০শে নভেম্বর, গিরিডি
আজ আমার বৈজ্ঞানিক জীবনের এক স্মরণীয় দিন। বোধহয় স্মরণীয়তমও বলা চলে। আমার বিজ্ঞানচর্চার এই সুদীর্ঘ কাল ধরে অসংখ্য সম্মান আর পুরষ্কার আমি পেয়েছি সারা বিশ্ব থেকে। কিন্তু আজ আমার নিজের দেশ থেকে আমাকে যে সম্মান দেওয়া [আরো পড়ুন]
Read More
মোমের মিউজিয়াম
নিছক কৌতূহলের বশেই করঞ্জাক্ষের মিউজিয়ামে এসেছিল শান্তনু। কার মুখে ও শুনেছিল, করঞ্জাক্ষের এই বিচিত্র সংগ্রহশালায় মোমের তৈরি যেসব বস্তু আছে, তার তুলনা নাকি সচরাচর দেখা যায় না। কল্পনার বিভীষিকা শিল্পীর হাতে যে কী ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে—করঞ্জাক্ষের মিউজিয়ামই তার নিদর্শন।
তাই শান্তনু এসেছিল গুজবের মধ্যে মিথ্যার পরিমাণ কতটা তা যাচাই করে নিতে। [আরো পড়ুন]
Read More
অনন্তের খিলান
প্রথম অধ্যায়
দুয়ারের ভ্রাতৃসঙ্ঘ
“ওই দুয়ার কোথায় পথ দেখায়?”
“চেনাশোনা এই দুনিয়ার কিনারায়”।
“কাহারা শেখান পূর্বজদের দুয়ার খোলার কল?”
“খিলান ওপারে বসত তাদের, কোর নাকো কোলাহল”।
“দান করি মোরা অর্ঘ্য কাদের, বড় ভয় ভীত মনে?”
“ওঁদের, যারা ওধারে থাকেন, তাঁদেরই সম্মানে”।
“খিলানের দ্বার খুলে রাখিবার আছে কি গো প্রয়োজন?”
“থাকিতে দাও অবারিত এ দুয়ার, কেন বৃথা বন্ধন”।
Read More
মূষিক আতঙ্ক – এইচ পি ল্যাভক্রাফট
শেষ মিস্ত্রীটা কাজ খতম করে যেদিন বিদায় নিল, ১৯২৩ সালের সেই ১৬ই জুলাই, আমি এক্সাম প্রায়োরীতে পাকাপাকিভাবে [আরো পড়ুন]
Read More