ফ্যান্টাসি

রাকার সামনে আজ অনেকখানি খোলা আকাশ। কঙ্কণ বনে বড়ো হয়ে ওঠা মেয়েটি দিশাহারা হয়ে গেল ক্ষণিকের জন্য মেঘ এবং রোদের এই খেলা দেখে। অস্ফুটে বলল, “আমাদের জম্ভা যে এত অপরূপ আমি জানতাম না।”

     পাশ থেকে ক্লিষ্ট হাসি হাসল আম্রপালি। দেবী অর্কপ্রভার মন্দিরে বড়ো হয়ে উঠেছে বলেই সে এই আকাশ দেখে অভ্যস্ত। রাতের তারাদের চেনাতে তাদের শিক্ষয়িত্রীরা নিয়ে যেতেন সন্ধ্যার [আরো পড়ুন]

     এক

     টিকলিদের গ্রামটা খুবই নিরিবিলি। পাহাড়ের গায়ে প্রকৃতির স্পর্শ মাখা একটা ছোট্ট গ্রাম। গ্রামের নামটাও সুন্দর,নীল পোখরি। চারপাশে ঘন পাইনের বন। তার মাঝে মেঘের দল আনমনে খেলা করে বেড়ায়। আর ঢাল বেয়ে একটু নীচে নামলেই শুরু হয় চোখ জুড়ানো সান্যাল টি এস্টেট। সারা পাহাড়ের গায়ে শালের মতো জড়ানো মনোরম সবুজ চা বাগান।

     টিকলির পরিবার বলতে সে ও [আরো পড়ুন]

এখন (রাত এগারোটা পাঁচ)

     নিকষ কালো রাতে পাহাড়ের গা বেয়ে কোনোক্রমে উঠতে উঠতে রাকা ভাবছিল, উপলহ্রদটা আর কত দূর। সে খুব ভালো করেই জানে, দেরি হয়ে গেলে তার বুড়ি দিদিমার শরীরের একটুও উদ্ধার করার মতো থাকবে না। সবাই জানে, পাহাড়ের উপরে এই হ্রদটা ভালো জায়গা নয় – পূর্ণগ্রাসের ছায়ামূর্তিগুলো এখানে ঘুরে বেড়ায়; মানুষ পেলেই তার আত্মার সব শক্তি চুষে নিয়ে [আরো পড়ুন]

১

নলখাগড়ার বনে ধাবমান ঘোড়ার খুরের শব্দ শুনতে পাওয়া গেল। তারপরেই ভারী পতনের ধ্বনি। তার রেশ মিলিয়ে যাবার আগেই একটা হতাশ ও মরিয়া চিৎকার। মৃত্যুপথযাত্রী চতুষ্পদ প্রাণীটা ছটফট করছিল। তার ভারী শরীর থেকে নিজেকে মুক্ত করে উঠে দাঁড়াল অশ্বারোহী। তন্বী যুবতী। পাদুকামোড়া চরণ দু-খানি, পরনে পশমি অঙ্গরক্ষা। কৃষ্ণভ্রমর চুলের রাশি তার শ্বেতবর্ণ [আরো পড়ুন]

জন্মান্তর আছে কিনা জানি না, কিন্তু এ কথা নিশ্চিত জানি, ওই মেয়েটিকে আমি চিনি। কোথায় তাকে দেখেছি, কিছুতেই মনে করতে পারছি না। কিন্তু ওকে আমি চিনি, চিনি, চিনি। ওই চোখের দৃষ্টি, ওই ভ্রূভঙ্গি, ওই ঠিকরে পড়া আলোর ঝলক— ও আমি নিশ্চিত কোথাও দেখেছি আগে। হয়তো এই জন্মে, হয়তো গতজন্মে— যদি গতজন্ম বলে সত্যিই কিছু থাকে।

     স্বপ্নে সে এসেছিল আমার কাছে। প্রায়ই [আরো পড়ুন]