কেউ কোত্থাও নেই
“অ্যাই কোরেল, সিনেমা দেখতে যাবি? শারুক খানের। সবাই দেখতে যাচ্ছে। হেবি হয়েছে নাকি শুনলাম”
অশোকনগর উনিশ নম্বর কাঁকপুল ফরেস্টের আশপাশে কোনো সিনেমা হল নেই। হল বলতে প্রায় চার-পাঁচ কিলোমিটার উজিয়ে সেই হাবড়ার রূপকথা হল। খানিক হেঁটে, খানিক টোটো আর বাকিটা অটো। সব মিলিয়ে প্রায় পৌনে এক ঘণ্টার মামলা। তাও যদি সব সময় মতো ঠিকঠাক পাওয়া যায়, তবেই।
Read More
একটি পারুল গাছ
বাইরে শেষ বিকেলের আলোটা একটা নাম-না জানা গাছকে বিষণ্ণতায় ভরিয়ে দিচ্ছিল। গাছটা তো তার পরিচিত, নামটা সে মনে করতে পারছিল না।
এই ঘরটিতে দুটি মানুষ, একটি টেবিলের দু-পাশে, এমন যেন একে অপরের সাক্ষাৎকার নিচ্ছে। দু-জনের হাতই মুঠিবদ্ধ। একজনের বয়স ষাট ছুঁই ছুঁই করছে, আর একজন ত্রিশ হয়তো পার হয়নি। ষাট-ছোঁয়া মানুষটি তরুণটির দৃষ্টি অনুসরণ [আরো পড়ুন]
Read More
আলোর গল্প
আমরা ভাবি, রূপকথা মানেই বোধহয় সে অনেক অনেক বছর আগের কথা; বহু যুগের ওপারে হারিয়ে যাওয়া দেশ আর সেখানকার মানুষদের গল্প। কিন্তু সত্যি সত্যি কি সব দেশ, সব মানুষ হারিয়ে যায়? নাকি শুধুই চেহারা পালটে নেয়?
এই রূপকথাটার সময় বেশ কয়েকশো বছর আগের হতে পারে; আজকের, ঠিক এই মুহূর্তের হতে পারে; আবার কয়েক বছর পরেরও হতে পারে। রূপকথার দেশটা অবশ্য [আরো পড়ুন]
Read More
মনসার চিঠি
ফণী রে,
এমন ঘুম জন্মে ঘুমাইনি। উঠে দেখি ভেজা সাফ, হোয়াইট বোর্ডের থেকেও সাদা। এমন ঘুমও ঘুমোনো যায়! চোখ খুলে দেখি কয়লার মতো কালো লিকলিকে হাত-পা এদিক ওদিক ছড়িয়ে মাদুরের ওপর শুয়ে আছি। মাথার ওপর ঝুলে থাকা সিলিং ফ্যানটা দেখি ইতিমধ্যে মাকড়শা হয়ে গেছে। স্পষ্ট দেখলাম মাঝখানে গোল চাকতিটার গায়ে তিন-চারটে চোখ গজিয়ে গেছে। ড্যাবড্যাব [আরো পড়ুন]
Read More
মোচন
কখনো “লকউড” গ্রামের নাম শুনেছ? কোন দেশ, কোন মহাদেশ, কোন অঞ্চল, কত অক্ষাংশ-দ্রাঘিমাংশে তার অবস্থান— জানো সেসব কিছু?
জানি, জানো না।
পৃথিবী জুড়ে ছড়িয়ে থাকা হাজার হাজার গুরুত্বহীন গ্রামগুলোর মধ্যে লকউডও একটা— শুধুমাত্র বাসিন্দারা ছাড়া, আর কেউ যাদের কথা মনে রাখার প্রয়োজন বোধ করে না। তাদের মতো লকউডেও দূরদূরান্ত থেকে দেখতে আসার মতো [আরো পড়ুন]
Read More
দ্য ফ্যান্টম অর্ব
টেলিস্কোপের লেন্সে আরেকবার চোখ রাখল রিও। নিশ্চন্দ্র আকাশের অতলান্ত অন্ধকারে বসেছে অগণিত তারাদের সম্ভার। কিন্তু তাদের মধ্যে আজ একটা অদ্ভুত গোলক দেখা দিয়েছে। একটা অতিক্ষুদ্র কালো বস্তু, যার চারপাশে একটা ক্ষীণ আলোর বলিরেখা না থাকলে তার উপস্থিতি কোনোভাবেই টের পাওয়া যেত না। এত নিখুঁত পরিপূর্ণ অন্ধকার সেই গোলকের অভ্যন্তরটি, যে [আরো পড়ুন]
Read More
আমার প্রাণের পরে
“শরণ্যা! ডায়েরিটা কোথায় গেল আমার? কতবার বলেছি ওটা টেবিল থেকে সরাবে না?”
স্টাডি থেকে অভিজিতের চিৎকার শুনে রান্নাঘরে দাঁড়িয়ে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে শরণ্যা। এই চিৎকারগুলো শুনলে বড্ড ব্যর্থ মনে হয় নিজেকে। মনকে বহুবার বোঝানোর চেষ্টা করেছে, এতে তার দোষ নেই, তার ওপর ভুবনের ভার নেই— তবু বোঝাতে পারেনি। ভুবন না হোক, একটা মানুষের ভার তো [আরো পড়ুন]
Read More
সালোকসংশ্লেষ
“কী রে, হল?”
“হচ্ছে হচ্ছে, দাঁড়া।”
“এবারেও যদি না হয়?”
“আরে শুভ কথা বল। সবসময় এরকম নেগেটিভ বলা উচিত নয়।”
“আরে! এই নিয়ে কতবার হল খেয়াল আছে?”
“ধৈর্য হারালে চলবে না। শুনেছি যে এবার যিনি এসেছেন তিনি নাকি আজ অবদি কখনো ফেল করেননি।…”
“সবই তো বুঝলাম। এদিকে কতক্ষণ হয়ে গেল সে খেয়াল আছে?”
“দু-ঘণ্টা কমপ্লিট হয়নি এখনো।…”
“হয়নি? তোর কি সময়ের [আরো পড়ুন]
Read More
জানকীমোহনের ডায়েরি
“১৯২৩ সালে লখনৌ শহরে এক অভিজাত ব্যক্তির বৈঠকখানায় একটা ঘটনা ঘটেছিল। ভারতের সঙ্গীত ইতিহাসের সবচেয়ে বিস্ময়কর ঘটনা। তবে সেটার কথা কোথাও লিপিবদ্ধ নেই। সেই স্মৃতি সবাই ভুলে গেছে। ইচ্ছে করে। ওই ঘটনার যারা সাক্ষী, তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাইরে কাকপক্ষীকেও তারা এ ঘটনা জানতে দেবেন না। সবাই এ সিদ্ধান্ত অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছিলেন। [আরো পড়ুন]
Read More
বিবর্তন
বিশাল শহরটাকে প্রায় গ্রাস করে নিয়েছে জঙ্গলে। প্রাসাদের মতো বাড়িগুলোর ছাদের দখল নিয়েছে উঁচু উঁচু গাছের সারি, তাদের মোটা কাছির মতো শেকড়গুলো সর্পিল ভঙ্গীতে নীচে নেমে এসে বাড়িগুলোকে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে রেখেছে প্রেমিকার নিবিড় আলিঙ্গনের মতো। রাজপথের কুলিশ কঠিন আস্তরণ ফাটিয়ে উঠে আসা কাঁটালতা আগলে রেখেছে বাড়ির প্রবেশপথ, [আরো পড়ুন]
Read More
ধাত্রীদেবতা
“এসো অরুন্ধতী। এইখানে বোসো একটুক্ষণ।”
অকূল সমুদ্রের বুকে একচিলতে জমি। সেখানে জলের ওপরে ঝুঁকে থাকা একটা পাথরের চট্টানের ওপর বসে হাত বাড়িয়ে ডাকলেন বশিষ্ঠ। তিনি ক্লান্ত, কিন্তু তৃপ্ত আজ। অবশেষে দীর্ঘকালের সাধনার চুড়ান্ত সুফলটি এসেছে।
তাঁর সুঠাম পেশল শরীরে প্রথম সূর্যের আলো এসে পড়েছে। সেদিকে তাকিয়ে মৃদু হাসলেন অরুন্ধতী। [আরো পড়ুন]
Read More
কাকভুশুন্ডি
কাকভুশুন্ডি কে চেন তোমরা? না?
সে ঠিক আছে – কজনই বা জানে তার কথা? তাছাড়া কম দিন তো হল না, সেই রামায়ণের সময় থেকে আজ অব্দি কত মৃত্যু, কত জন্ম – কত শত প্রজন্ম প্রবাহিত হয়েছে; সে নিজে সময়ের ঊর্ধ্বে বলে বাকি জীবকুল তো আর তা নয়!
ওর কথা আপাতত থাক। বরং ইদানীংকালের একটা অদ্ভুত ঘটনার দিকে দৃষ্টি দেওয়া যাক, যার কোন ব্যাখ্যা দিতে পারছে না কেউই। [আরো পড়ুন]
Read More
অ্যালিথিয়া
ড্রইংরুমে ঢুকেই শ্যাওলা রঙের চওড়া সোফায় নিজেকে এলিয়ে দিলেন ড. সেন। ওঁর উপস্থিতির সাড়া পেয়ে নরম সোনালি আলো আলতো করে ফুটে উঠল ঘর জুড়ে। আর প্রকাণ্ড ড্রয়িং রুমের একপাশের দেওয়াল ঘেঁষে রাখা বিশালাকৃতি টিভি অন হয়ে গেল নিজের থেকেই, ভলিউম যদিও একেবারে কম করে রাখা।
ক্লান্তিতে সারা শরীর টন্টন্ করছে। আজ সারাদিন যা কাজ গেছে, ওঁর [আরো পড়ুন]
Read More
শুক্রগ্রহের সায়ক
আমার বয়ঃক্রম পঞ্চবিংশ দিবস অর্ধ বৎসর— সামনে বসে থাকা ছেলেটি বলল আমাকে। ওর কথা অনুযায়ী আজ সকালেই শুক্র থেকে পৃথিবীতে এসে পৌঁছেছে সে। ঠিক আধ ঘণ্টা আগে। এই সময়টুকু লেগেছে আমাকে খুঁজে বার করতে। আমার সঙ্গে দেখা করতেই ওর আসা। ফর্সা সুদেহী ঝকঝকে তরুণ। চুল ও চোখে কালোর অতলান্ত গভীরতা। চোখে প্রত্যাশার ছাপ।
এটা চব্বিশশো আশি সাল। সাড়ে [আরো পড়ুন]
Read More
চুক্তি
মিউনিখ শহরের প্রাণকেন্দ্র মারিয়েনপ্লাটজ স্কোয়ার সেজে উঠেছে মায়াময় আলোর সাজে। যেদিকেই চোখ যায় সবকিছু যেন আলোর রোশনাইতে ভেসে যাচ্ছে। বাড়িঘর, দোকানপাটের গায়ে ছোটো ছোটো জোনাকি আলো দিয়ে অপরূপ সাজসজ্জা করা হয়েছে। নিউহাউসার স্ট্রিট দিয়ে হেঁটে গেলে পথের ধারে চোখে পড়ছে আলো দিয়ে তৈরি নানান আকারের তারার প্রতিরূপ। রাস্তা [আরো পড়ুন]
Read More
অবিনাশ হালদারের বাক্স
“কই রে বিপিন? আমার ছাতাখান দে। পচ্চিমটা কালো করে এয়েছে, যখন তখন ঢালতে পারে,” মুখে একখিলি জর্দা পান ঢোকাতে ঢোকাতে বললেন অনির্বাণবাবু। বছর পাঁচেক হয়ে গেল এই অভ্যেসটা হয়েছে। দ্বিপ্রাহরিক ভাতঘুমের পর বিকেলে একটু হাঁটতে না বেরোলেই নয়। আর তা নাহলে সন্ধের পরেই শুরু হবে পেট ভুটভাট, গা ম্যাজম্যাজ। কালো হাতলওলা ছাতাটা এগিয়ে দিল বিপিন। [আরো পড়ুন]
Read More
জীবন
“জীবন মানে কী?”
রঞ্জনের দাদু’র এই প্রশ্নটা শুনে আমাদের তর্ক থেমে গেল।
ভ্যাপসা গরম, হঠাৎ বৃষ্টি, আর মাঝেমধ্যেই ‘টু..কি’ করা নীল আকাশ। ঠিক কোথায় বেড়াতে যাওয়া যায়— সেই নিয়ে কোনো সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়নি। অতঃপর রঞ্জনদের বাড়িতে জমায়েত হয়েছিলাম আমরা সবাই। উপলক্ষ্য ছিল তালের বড়া আর তালক্ষীর খাওয়া।
“হাপুশ হুপুশ শব্দ, চারিদিক [আরো পড়ুন]
Read More
চুল
‘পারসেল আ গিলো বড়া বাবুর ঘরে। সেই থিকে বাবু দোর দিছেন’।
অ্যাঁ? পারসেল? ঘনাদার?’ আমরা সমস্বরে আঁতকে উঠলাম।
মুখ চাওয়াচাউয়ি করে তো আর সময় নষ্ট করা ছাড়া কিছুই হবার নয়। গৌরই প্রথম টঙের ঘরের পানে দৌড় লাগাল। পিছন পিছন আমরা তিনজন। ঘনাদা ও পার্সেল, পার্সেল ও ঘনাদা মেলে না কোনওক্রমেই। এ রহস্য ভেদ না করে রবিবারের মাছের কালিয়া রামভুজ স্পেশাল পেটে নামবে না।
Read More
চোখ
আমার কথা
“নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করা মুশকিল।”
এ ধরনের একটা কথা বাংলা বাক্যালাপে মাঝে মধ্যেই ব্যবহার করা হয়। কোনও কিছু ‘নিজের চোখে’ না দেখলে তা যদি বিশ্বাসযোগ্যতা হারায়, তবে এ যাবৎকাল অবধি আমার সজ্ঞানে দেখা সব কিছুই ভুল, ভ্রান্ত। কারণ? কারণ, বরাবর আমার জগৎ দেখা অন্য মানুষের চোখে। না, কাব্যিক ভণিতা নয়, আক্ষরিক অর্থেই! দাঁড়ান, শুরু থেকে বলি।
Read More
ফোন আসবে…
ঝকঝকে একটা সকাল। অদ্রিজা ঝট করে কুর্তির ওপর একটা ওড়না জড়িয়েই বেরিয়ে পড়ল। লামহাট্টার পাহাড়ি শ্যাওলা পড়া সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে একবার ফোনটা চেক করে নিল। না, আর কোনও মেসেজ আসেনি। নিশ্চিন্ত হল। সাইকেলটা টানতে টানতে হটাৎই ফোনটা বেজে উঠল। শুভমের এই তাড়া দেওয়ার অভ্যাসটা আর গেল না। কিন্তু আজ সত্যিই একটা কারণ আছে। তা বলে আধ ঘণ্টার [আরো পড়ুন]
Read More
শিকার
গ্রেসু গ্রাম পেরিয়ে কয়েক মাইল আসতেই সন্ধে নামতে শুরু করল কার্পেথিয়ার গায়ে। ছোট টিলাটার উপরে পৌঁছে ঘোড়াটাকে দাঁড় করিয়ে চারিদিকে ভালো করে তাকিয়ে দেখল দিমিত্রি। বছরের এই সময়টাতে পূর্ব রোমানিয়ায় বেশ তাড়াতাড়ি সন্ধে নামে। গ্রেসুতে বিশ্রাম নেওয়াটা তাদের উচিত হয়নি। পিছন ফিরে তাকিয়ে খানিকটা দূরে অ্যালেক্সকে দেখতে পেল দিমিত্রি। [আরো পড়ুন]
Read More
অ-মানবী
পিসিকে আবছা মনে পড়লেও পিসেমশাইকে একদমই মনে পড়ে না অমিতাভর। আসলে পিসেমশাই চাকরি করতেন বাংলা থেকে অনেক দূরে সেই মধ্যপ্রদেশে। কালে-ভদ্রে বাংলায় আসতেন। বাবা-মাও কোনওদিন তাঁদের বাড়ি গিয়েছিলেন কিনা সন্দেহ। অমিতাভ তো কখনওই যায়নি। পিসেমশাইকে অমিতাভ হাতে গোনা দু-একবারের বেশি দেখেনি। তাও ছোটবেলায়। পিসিমা যতদিন বেঁচে ছিলেন ততদিন বছরে [আরো পড়ুন]
Read More
মহিমবাবুর আতান্তর
বাজার থেকে শুধুমাত্র এক আঁটি নটে শাক কিনে আনতে ভুলে গেছেন বলে মহিমবাবুকে আজ কি হেনস্থাটাই না হতে হল। গিন্নি তাঁকে আটান্নতেই বাহাত্তুরে ধরেছে বলে যাচ্ছেতাই অপমান করলেন। অফিস আসার আগে সকালের বরাদ্দ চা-টা পর্যন্ত দিলেন না। ছেলে তো বরাবর মায়ের পক্ষে, দুজনে যুক্তি করে তাঁকে বহুকাল খরচের খাতায় ফেলেই রেখেছে। ছেলে আড়ালে তাঁকে ‘ওল্ড হ্যাগার্ড’ [আরো পড়ুন]
Read More
কল-স্বর
অবিনাশের আপিসে এসেছে অভিলাষ। সাড়ে চারটা পার তখন, ছুটি হব-হব, কিন্তু তখনো অবিনাশের হাত কামাই নেই। তখনো সে নিজের মেশিনে বসে; মেশিনের মতই কাজ করে যাচ্ছে দু’হাতে।
রাশি রাশি আঁক। লম্বা লম্বা যোগ। বড়ো বড়ো হিসেবের ফিরিস্তি। সে সব চক্ষের পলকে দেখতে না দেখতে মেশিনের সাহায্যে কষিত হয়ে কাগজের পিঠে বসিত হচ্ছে। দেখলে তাক্ লাগে।
তাক্-লাগানো [আরো পড়ুন]
Read More
নিত্যতা সূত্র
এই ছোঁয়াচে অসুখে জর্জর, আতঙ্কগ্রস্ত শহরের আকাশেও শেষ বিকেলে রামধনুটা শুহার মন ভালো করে দিল। এমনকি এখনও। একান্ত সাময়িক যদিও। সাবান কাচার পর ডেটলে চুবিয়ে রোদে মেলা কাপড়গুলো তুলতে এসেছিল ছাদে। একতলার ঘুপচি থেকে, অন্ধকার ইট বেরোন এবড়োখেবড়ো সিঁড়ি পেরিয়ে ছাদের আকাশটাই একমাত্র সান্ত্বনা শুহার দুর্বিষহ শ্বশুরঘরে। কাপড়গুলো তুলে ওপরে চোখ তুলেই [আরো পড়ুন]
Read More
অনুভূতি
ঠিক এই মুহূর্তে ডক্টর শ্রুলের মাথায় অনেকগুলো প্রশ্ন। প্রথম যে প্রশ্নটা মাথায় আসছে, সেটা হল কেন এই অভিযানে ত্রিশিনার মতো একজন শিক্ষানবিশ ইঞ্জিনিয়ারকে তার সঙ্গে দেওয়া হল। ত্রিশিনা হল তাদের এই মহাকাশ অভিযানের একমাত্র ইঞ্জিনিয়ার। সেই ইঞ্জিনিয়ার যদি একজন শিক্ষানবিশ কেউ হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে যে অভিযানটা বিজ্ঞান একাডেমির কাছে খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ [আরো পড়ুন]
Read More
উড়ান প্রবাহ
(১)
বিজ্ঞানী বিশ্ববসু (আই এন ডি ৪০৮৫ –বায়ো সায়েন্স /বি.বি ২০৮৫)
সাল: ৪১২৫
স্থান: দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া
রিমোট কন্ট্রোলের সবুজ বোতামটা টিপতেই চোখের সামনে থেকে গোলাপি আলোর পর্দাটা সরে গেল। বিশ্ববিদ্যালয়ের আড়াই হাজারতম রে ওয়ের ধারে তিনলক্ষতম বাসস্থানটি বিজ্ঞানী বিশ্ববসুর। বাসস্থান মানে হাওয়ায় ভাসমান কিছু আলোককুঠুরি। বাইরে থেকে দেখলে [আরো পড়ুন]
Read More
মেরুজ্যোতি
মিসেস উইলসনের বাড়ির দরজায় দাঁড়িয়ে সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ যখন ডোরবেল টিপছি, আকাশটা তখন জ্বলজ্বলে নীল-সবুজে মেশামিশি মেরুপ্রভায় যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে। দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতেই আমি খেয়াল করলাম, ওই উজ্জ্বল আলোর মধ্যে একটুখানি গোলাপির আভাও যেন দেখা যাচ্ছে।
বহু পুরোনো রোবট চাকরটা নড়ে নড়ে এসে যতক্ষণে দরজা খুলল, ততক্ষণে দরজার বাইরে অরোরা দেখে দেখে আমার প্রায় আড়াই মিনিট কেটে গেছে।
Read More
ছাল
এখন কেমন লাগছে বলুন তো?
মনীষার হাতের উপর নখ দিয়ে হালকা আঁচড় দিতে দিতে জিজ্ঞেস করলেন ডক্টর অমিতাভ সেন। কলকাতা তথা ভারতের অন্যতম সেরা ডার্মাটোলজিস্ট। সাদা বাংলায় যাকে বলে স্কিনের ডাক্তার।
না স্যার, কোনও সেন্স পাচ্ছি না তো!— বলল মনীষা।
স্ট্রেঞ্জ! এরকম কেস তো দেখিনি আমি আগে! স্কিন তো নর্মাল লাগছে। তাও সেন্স কেন আসছে না?— অনেকটা যেন নিজেরই [আরো পড়ুন]
Read More
এল ডোরাডো
অরিজিৎ যখন ক্যানেল পার থেকে ফিরছিল তখন রাত এগারোটা বেজে গেছে। রোহনের বাড়িতে এতটা রাত হয়ে যাবে ঘুণাক্ষরেও ভাবেনি সে। আসলে রোহন কালই কলকাতা চলে যাচ্ছে। একটা নিউজ চ্যানেলের ওয়েব ডিজাইনিং-এর কাজ পেয়েছে সে। এমটেক করেও এতদিন বসেছিল স্রেফ একটা ভালো মনমতো কাজ পাওয়ার জন্যই। নয়তো অনেক ক’টা জবের অফার রোহন পেয়েছিল। যে কাজটা এখন পেয়েছে তার চেয়েও বড় কোম্পানিতে [আরো পড়ুন]
Read More
শিশুটি – সাইমন রিচ
এ তো জানাই ছিল, শিশুটি এলে বেনের অফিস খানা নার্সারি হয়ে উঠবে।
সাধের লেখালেখির রুমটিকে মিস করবে বেন, কিন্তু সে জানে, তুলনামূলকভাবে ওটা একখানা ছোট বলিদান। ওর স্ত্রী সু গত দু’বছর ধরে পেট ফাঁপিয়ে গ্যাস হওয়া সব ভিটামিন নিচ্ছে আর যোনিতে এক বুড়ো পোলিশ স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞের খোঁচাখুঁচি সহ্য করে যাচ্ছে। বেচারিকে এমনকী বেনাড্রিল আর ভোদকা মার্টিনিও [আরো পড়ুন]
Read More
কাল-করোটি – ফিলিপ কে. ডিক
“কাজটা কী? সেরকম হলে ভেবে দেখতে পারি।” কনজার নড়েচড়ে বসল।
নিস্তব্ধ ঘরে অপেক্ষমান মানুষগুলির প্রতি জোড়া চোখ এখন কয়েদীদের আধময়লা পোশাক চাপানো কনজারের ওপর নিবদ্ধ।
বক্তা একটু ঝুঁকে বসলেন।
“জেলে ঢোকার আগে তোমার বেআইনি কাজগুলো থেকে তো ভালোই কামাচ্ছিলে। আপাতত এখন তোমার কাছে ফুটো কড়িও নেই। তা ছাড়া, এখনও প্রায় বছর ছয়েক হাজতবাস বরাদ্দ আছে তোমার।”
Read More
কৃত্রিম
ক্যাফেতে পৌঁছে একটু এদিক ওদিক তাকাতেই মেয়েটিকে দেখতে পেয়ে গেলেন আসিফা। যতটা কমবয়সি মনে হয়েছিল ফোনে, ততটা নয়। অন্তত তিরিশ বছর বয়স তো হবেই। চেহারায় কোনও চটক নেই, তবে দেখতে সুশ্রী। ওঁকে দেখে উঠে দাঁড়িয়ে হাত বাড়িয়ে দিল জ্যোতি। হ্যান্ডশেকের পর ছোট্ট টেবিলটার দুদিকের চেয়ার দখল করল দুজনে।
ভালো করে জ্যোতির দিকে তাকিয়ে দেখলেন আসিফা। রোগা ছিপছিপে [আরো পড়ুন]
Read More
বিধুশেখর
সুমন্তবাবুর মন খারাপ। আজ বিকেলে বাস থেকে নামতে গিয়ে পড়ে গেলেন। চোট খুব একটা লাগেনি। কিন্তু বুঝতে পারছেন একটু সাবধানে চলাফেরা করা দরকার। সুমন্তবাবু থাকেন বেহালা চৌরাস্তার কাছে। আজকাল এখানে রাস্তায় চলাফেরা করাই কঠিন হয়ে পড়েছে। একই রাস্তায় মানুষ, সাইকেল, বাস, রিকশা, অটো নিয়ে নিত্য যানজট লেগেই আছে। বাড়ি ফেরার সময় মনে মনে ভাবতে থাকলেন, পড়ে গেলেন [আরো পড়ুন]
Read More
নাল হাইপোথিসিস
‘বুদ্ধিটা কেমন?’ মুচমুচে করে ভাজা ভুট্টার প্লেটটা টেবিলের ওপরে রাখতে রাখতে বলে চার্লি ডিক্সন। শব্দ করে সোডার ক্যানটা খুলে তাতে আয়েশ করে একটা চুমুক দেয় সে, বিশ্রী শব্দে একটা ঢেঁকুর তুলে উত্তরের আশায় তাকিয়ে থাকে পাশে বসে থাকা রিচি গার্নারের দিকে।
পাগলাটে স্বভাবের চার্লি হঠাৎ করেই ছোটখাটো একটি সামাজিক পরীক্ষা করে দেখবে বলে ঠিক করেছে। পরীক্ষাটা [আরো পড়ুন]
Read More
হামিন অস্ত-উ-হামিন অস্ত
চকচকে জিনিসটাকে প্রথম দেখতে পেয়েছিল আলেহান।
ফ্যাক্টরির পেছনের মাঠটায় যেখানটা থেকে বড় উঁচু ঢিপিটা শুরু হচ্ছে, তার ঠিক সামনেটায় পড়েছিল জিনিসটা।
দূর থেকে দেখতে পেয়ে আলেহান আস্তে আস্তে এগিয়ে যায় সেটার দিকে, হাতে ধরা ডিভাইসটাকে বন্ধ করে দিয়ে। “পটার” গেমটা খেলতে খেলতেই সে এতোদূর চলে এসেছে, নাহলে মামি তাদের ফ্ল্যাট থেকে তাকে একেবারেই বেরোতে দেয় [আরো পড়ুন]
Read More
আঁধার আর ঈশ্বর
শুরুর আগে
ঘুমিয়ে আছেন তিনি। অদ্ভুত এক মহাজাগতিক শূন্যতা গ্রাস করেছে তাঁকে।
জগৎ-সংসারের সবকিছু বেঁচে আছে উনার ঘুমের মধ্যেই। যদিও এই সংসার নিয়ে বিন্দুমাত্র চিন্তা নেই তাঁর।
তারপরেও এই জগৎ গড়ে উঠেছে।
ঘুমিয়ে চলেছেন তিনি আর দেখে চলেছেন একের পর এক স্বপ্ন। প্রতিটি সৃষ্টিকে নতুন করে পূর্ণতা দিয়ে চলেছে উনার স্বপ্নগুলো। স্বপ্নের মাধ্যমেই প্রতিদিন [আরো পড়ুন]
Read More
আরশোলার দুধ
(১)
বিদগ্ধ পাঠক: এ আবার কী! আরশোলার আবার দুধ হয় নাকি? যত্ত সব চিপ, সেন্সেশনাল জার্নালিজম!
লেখক: হা হা, পাঠক, আপনি আমার আসল উদ্দেশ্যটা ঠিক বুঝেছেন। তবে একটু সেন্সেশনাল করে নাম না দিলে কি আর আমার মতন একজন অজ্ঞাত, অখ্যাত ও অখাদ্য লেখকের লেখা কেউ পড়বে? অন্য কেউ হলে তো আমি নিজেই পড়তাম না! এরকম কত লেখক কলকাতার অলিতে গলিতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন! তাই আমাকে যখন প্রথম ডা: বরুণ [আরো পড়ুন]
Read More
দুখা
নিশীথবাবু বললেন, “আপনারা তো ওর বন্ধু। আপনারা একটু বুঝিয়ে বলুন না।”
পরেশদা ‘ফোঁস’ করে নিঃশ্বাস ফেললেন, “বলে লাভ কি? সুখেন আমাদের কথায় আর কবে কান দিয়েছে?”
নিশীথবাবু বললেন, “কিন্তু এ যে আগুন নিয়ে খেলা! এ জিনিস আগে কোনওদিন কেউ করেছে বলে আমার জানা নেই। কি কুক্ষণেই যে মুখ ফসকে ওর কাছে সেদিন বলে ফেলেছি দুখার কথাটা!”
আমি বললাম, “ব্যাপারটা কিন্তু আমি ঠিক [আরো পড়ুন]
Read More
তোতা রহস্য
মুসান্দম উপত্যকার শুষ্ক, পাহাড়ি প্রকৃতি ইশায়ুর মন্দ লাগল না। এই অঞ্চল পারস্য উপসাগরের তীরবর্তী, অবস্থান হরমুজ্ প্রণালীর দক্ষিণে। শীতকালীন মৃদু আবহাওয়ায় এখানে এখন চলছে পুরাতাত্ত্বিক অনুসন্ধানের কাজ। মাটির নিচে পাওয়া গেছে মানব সভ্যতার প্রাচীন অবশেষ। একটি আন্তর্দেশীয় দল এই অনুসন্ধানের কাজে নিযুক্ত। ইশায়ু ও স্বেতলানা সেই দলেরই [আরো পড়ুন]
Read More
পাল্টা
একটা বিশেষ রকমের কাচের জার। গোলাকৃতি। লম্বাটে গলা। অর্ধেক একধরনের প্রিজারভেটিভ ফ্লুইডে ভর্তি। হালকা সবুজ। ঠাহর করে দেখলে বোঝা যায়, সবকটি কাচের জারের মধ্যে রয়েছে একটি করে ভ্রূণ। কোনওটিই মৃত নয়। তরলের মধ্যে ভাসমান ওই হালকা সবুজ রঙের একটি করে ডিম্বাশয়। ভ্রূণগুলি ওই কৃত্রিম ডিম্বাশয়ের মধ্যে চমৎকার বেড়ে উঠছে। তাপমাত্রা অবিকল মানবদেহের এবং অন্যান্য [আরো পড়ুন]
Read More
লাল শৈবাল
মঙ্গল গ্রহ: সন ২১১৮
চারপাশে সুনসান নিরবতা মাঝেমাঝে ভেঙে দিয়ে যাচ্ছে যানবাহনের মৃদু বা তীব্র গুঞ্জন। আজকাল সবাই যান্ত্রিক কোলাহল শুনেই অভ্যস্ত। স্টেডিয়ামের ওপাশটায় বিদঘুটে সব মিউজিক বাজানোর জিনিসপত্র এনে জড়ো করা হচ্ছে, কীসের নাকি কনসার্ট হবে। গতানুগতিক ঝক্কি ঝামেলা, ইলেকট্রিক তারের সুরবেদনা আর খানিক লম্ফঝম্প। বাঙালি পাড়ার মাঝ বরাবর দিয়ে টানা [আরো পড়ুন]
Read More
পিঁপড়ে
পিঁপড়ে
লেখক – অদ্রীশ বর্ধন
অলংকরণ – তৃষা আঢ্য
পিঁপড়ে, শুধু পিঁপড়ে। মস্ত হলঘরের যেদিকে তাকানো যায়, কেবলই পিঁপড়ে। রঙীন পিঁপড়ে—বিরঙ পিঁপড়ে, রাক্ষুসে পিঁপড়ে—লিলিপুট পিঁপড়ে, নিরামিষপ্রিয় পিঁপড়ে—আমিষলোভী পিঁপড়ে, বিষাক্ত পিঁপড়ে—নির্বিষ পিঁপড়ে। কাচের শোকেসে পিঁপড়ে, তারের খাঁচায় পিঁপড়ে, জলঘেরা দ্বীপে বন্দী পিঁপড়ে, [আরো পড়ুন]
Read More
অ্যালিবাই
অ্যালিবাই
লেখক – পরাগ ভূঞ্যা
অলংকরণ – সুমিত রায়
এক
শব্দটা অনেকক্ষণ ধরে কানে বাজছে। টেবিলের ওপর ঘন ঘন আঙ্গুল চাপড়ানোর শব্দ।
সিলিং থেকে ঝুলন্ত ল্যাম্পের আলো এসে গোল হয়ে টেবিলের ওপর পড়ে ম্রিয়মাণ হয়েছে অন্ধকারে।
উফফ… শব্দটা ক্রমশ বিরক্তিকর হয়ে উঠছে। ইচ্ছে করছে টেবিলের ওপর রাখা পেনটা নিয়ে ঢুকিয়ে দিই সামনে বসে থাকা লোকটার মেদভর্তি ঘাড়ে। খুব [আরো পড়ুন]
Read More
ডরোথি
ডরোথি
লেখক – অর্ণব দাস
অলংকরণ – সুমিত রায়
আজকাল একদম ভালো লাগছে না শান্তনুর ব্যবহার। যখন তখন জড়িয়ে ধরে। তখন শরীরের প্রতিটা খাঁজে ওর হাত আর ঠোঁট খেলা করে। প্রতিটা রাতে শরীরটাকে ছিঁড়ে-খুঁড়ে নিজেকে অত্যন্ত গভীরে প্রোথিত করতে চায় শান্তনু। হ্যাঁ, সময় সময় ভালো লাগে ব্যাপারটা। কি এক অজানা শিহরন খেলা করে যায় রন্ধ্রে রন্ধ্রে। কিন্তু তাই বলে [আরো পড়ুন]
Read More
বৃত্ত
বৃত্ত
লেখক – দেবলীনা পন্ডা
অলংকরণ – তৃষা আঢ্য
স্টিয়ারিং-এর ওপর হাত রেখে ঘড়িটা দেখল মেহুল। সাতটা দশ। বাইরে টিপটিপ বৃষ্টিটা হয়েই চলেছে, ধরার কোনও নাম নেই। আর হবে নাই বা কেন, আজ তেরই অগাস্ট হয়ে গেল। কলকাতাটা এইসময় ঘ্যানঘেনে বৃষ্টি, রাস্তায় উপচে আসা নর্দমার জল আর প্যাচপেচে কাদায় ভরে থাকারই কথা! তাদের কপালটাই খারাপ। কোথায় ভেবেছিল ডিসেম্বরে [আরো পড়ুন]
Read More
যতিচিহ্ন
যতিচিহ্ন
লেখক – সোহম গুহ
অলংকরণ – সুপ্রিয় দাস
ভাষা একটা দুস্তর ব্যবধান হওয়ায় মাওরী সর্দারের কথা ক্যাপ্টেন জেমস কুক বুঝতে পারছিলেন না। কিন্তু গ্রামের মাঝে গোটা রাত জ্বলা অগ্নিকুণ্ডের থেকে উঠে আসা পোড়া মাংসের গন্ধ তাঁকে একটা কথাই বলছিল। এখানে মানুষের মাংস মানুষ খায়। গ্রামের আদিম পরিবেশের থেকেও তাঁর মনোযোগ বেশি আকৃষ্ট করেছিল সর্দারের গায়ের বিচিত্র উল্কি।
Read More
উপসংহার
দুপুর থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে আজ। ঠিক পাহাড়ি বৃষ্টি নয়, তবে কেমন যেন আকাশটা ধরে আছে। আজ দ্বাদশী, দুদিন হল আনুষ্ঠানিক ভাবে দুর্গাপূজা শেষ হয়ে গেছে, অবশ্য পশ্চিম বাংলায় বেশীরভাগ জায়গায় পুজোর মরশুমটা লক্ষ্মী পুজো পর্যন্ত থাকে। আর সাধারণত লক্ষ্মী পুজো পর্যন্ত স্কুল কলেজ, অফিস এমনিতেই বন্ধ থাকে, তাই আরো কিছু দিন আনন্দ উপভোগ করা, এই আর কি? দোষ নেই, [আরো পড়ুন]
Read More
সবুজের হাতছানি
আলো ঝলমল মেট্রো স্টেশনের কাঁচের দরজার ওপারে ট্রেন এসে প্রতিদিনের মতোই দাঁড়াল। ঘড়িতে তখন বাজে সকাল সাতটা দশ। ট্রেনের সিটে স্কুল ব্যাগ নামিয়ে দিয়ে অন্যদিনের মতো বাবাকে সেই পুরনো প্রশ্নটাই করে বসল গুড্ডু, “বাবা, মাটির উপরে খোলা আকাশের নিচে আমাকে কবে নিয়ে যাবে?”
অন্যমনস্ক হওয়ার ভান করতে করতে গুড্ডুর বাবা বলল, “বলেছি তো নিয়ে যাব। এখন বইতে একবার চোখ [আরো পড়ুন]
Read More
জলমানুষ
পিনাকের দিকে তাকিয়ে ভারি অবাক হয় সোহম। পিনাক বরাবরই রোগাপাতলার অপোজিট। খুব ফর্সা; উচ্ছ্বল শরীর। ইদানীং মাসলম্যান টাইপ শরীরের রক্তমাংসের পিনাককে কেন যেন জল টলমল চৌবাচ্চা বলে মনে হয় ওর। শীতে যে ঝড়টা হল, তারপর থেকেই এরকম মনে হয়। ডুয়ার্সে বেড়াতে গিয়েছিল ওরা দুজনে। গিয়ে তো যাকে বলে মোহিত পিনাক। ক্লোরোফিলের গন্ধে মাতোয়ারা বনভূমি ওকে আবিষ্ট করে ফেলেছিল। [আরো পড়ুন]
Read More