এ তুমি কেমন তুমি
জিল হেরিকের সুন্দর নীল চোখদুটো জলে ভরে উঠল। অব্যক্ত এক যন্ত্রণায় নিজের স্বামীর দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে বলে উঠল, ‘জঘন্য মানুষ তুমি একটা।’
স্বামী লেস্টার হেরিক কিন্তু নিজের হাতের কাজ থামালো না। টেবিলের উপর কাগজের স্তূপ থেকে যতরকম নোট আর গ্রাফ ছিল সেগুলো বেছে বেছে সাজিয়ে রাখছিল।
‘জঘন্য কথাটা মূলত জাজমেন্টাল শব্দ একটা।’ লেস্টার ঠান্ডা গলায় বলল, [আরো পড়ুন]
Read More
নক্ষত্রমাতা
সেই রাতে তাঁর ছেলেই ছিল প্রথম নক্ষত্র।
সেই চৈত্র রাতে তিনি একটা হাত বুকে রেখে, একা, তাঁর বাড়ির বাগানে স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে দেখলেন— সামনের মাঠটা থেকে তাঁর ছেলে দক্ষিণের আকাশে উঠে গেল— উঁচু আরও উঁচুতে উঠতে উঠতে একেবারে আকাশের মাথায় পৌঁছে সে নামতে থাকল। নামতে নামতে শেষে উত্তর দিগন্তের কালো অন্ধকারে হারিয়ে গেল— তাকে আর দেখা গেল না। আচ্ছা, সে কি এখন [আরো পড়ুন]
Read More
অনুভূতিদের শীর্ষবিন্দু
হঠাৎ ঘুম ভেঙে যায় শান্তনুর, প্রায় অন্ধকার কম্পার্টমেন্ট, শীতের রাত, সকলেই প্রায় ঘুমিয়ে পড়েছে, শুধু একটানা ট্রেনের শব্দ আর ঝাঁকুনি, বাথরুমের কাছে হলুদ আলোটা জ্বলছে, ঘুম চোখে সেই আবছা আলোয় সবকিছু কেমন মায়াবী লাগে শান্তনুর।
সর্বোচ্চ গতিতে ট্রেনটা ছুটছে, শান্তনুর মনে পরে সে যখন ঘুমিয়েছিল তখন ট্রেনটা দাঁড়িয়েছিল। কটা [আরো পড়ুন]
Read More
পঞ্চম বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা
পঞ্চম বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা – শারদীয়া ১৪২৭ (২০২০)
প্রকাশকাল – ২২ অক্টোবর ২০২০
অসামান্য প্রচ্ছদ এঁকে সংখ্যাটিকে সর্বাঙ্গসুন্দর করে তুলেছেন শ্রীমতী তৃষা আঢ্য।
Read More
সম্পাদকীয়
চলতে চলতে হঠাৎই যেন থমকে গেছে আমাদের নীল রঙের এই গ্রহ। সভ্যতার হৃদয় থেকে দমচাপা এই বছরটাকে উপড়ে ফেলতে আমরা বদ্ধপরিকর। যেন কখনও এই বছরটা আসেইনি। কিন্তু তা কি করা যায় শেষ পর্যন্ত? অসুখের দীর্ঘ পথ পেরিয়ে আরোগ্যের দিগন্তের দিকে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া যে উপায় নেই। এদিকে বালিঘড়ির শরীর থেকে সময়কণা ঝরতে ঝরতে আরও একটা উৎসবের মুখোমুখি [আরো পড়ুন]
Read More
ড্যাগন – এইচ পি লাভক্র্যাফট
Read More
পিথ্রিবাবু ও আশ্চর্য ছক্কা
(সত্যজিৎ রায়ের জন্মশতবর্ষে নিবেদিত শ্রদ্ধার্ঘ্য)
আমার নাম পরমেশ্বর পাকড়াশি। তবে লোকে পিথ্রিবাবু বলেই ডাকে— প্রোফেসর পরমেশ্বর পাকড়াশি। প্রোফেসরি করেছি অবিশ্যি বহুকাল আগে। কলকাতায় বিদ্যাসাগর কলেজে ফিজিক্স পড়াতাম। পড়ানোর থেকে গবেষণাই বেশি পছন্দের ছিল বলে কলেজের কাজ ছেড়ে রাঁচির কাছে জোনায় পৈত্রিক বাড়িতে [আরো পড়ুন]
Read More
হাতি
“নাঃ! সহ্যের একটা শেষ আছে। আর এই মেসে থাকা যাবে না।”
“আমিও মেস ছেড়ে দেব ভাবছি।”
“তুই ভাবছিস? আমি তো ঠিকই করে ফেলেছি।”
“আমি তো একটা মেসের ম্যানেজারের সঙ্গে কথা বলে এসেছি। আর ক-দিন পরে সামনের মাসে একটা সিট খালি হচ্ছে। কালই অগ্রিম টাকাটা দিয়ে আসব।”
ওপরের কথাবার্তা যে বাহাত্তর নম্বর বনমালি নস্কর লেনের মেসবাড়ির দোতলার আড্ডাঘরে চলছে [আরো পড়ুন]
Read More
কল্পবিজ্ঞানে ভূবিজ্ঞানের প্রভাব
কল্পবিজ্ঞান বর্তমানে সাহিত্যের একটি বিশেষ ধারা হিসাবে স্বীকৃতি লাভ করেছে এবং বিশ্ব জুড়ে বিভিন্ন ভাষায় শত শত কল্পবিজ্ঞানের কাহিনি সৃষ্টি হচ্ছে। কল্পবিজ্ঞানের কাহিনির রচয়িতাদের মধ্যে অনেক বিশিষ্ট বিজ্ঞানী, প্রথিতযশা সাহিত্যিক, চলচ্চিত্রকাররা রয়েছেন। লিখিত কাহিনি ছাড়াও অনেক কল্পবিজ্ঞানের গল্প জনপ্রিয় চলচ্চিত্রে [আরো পড়ুন]
Read More
চিরকুট
তখন সন্দেশে ছিলেন তিন সম্পাদক। নলিনী দাশ, লীলা মজুমদারের হাত ঘুরে লেখা আসত ‘বড় সম্পাদক’ সত্যজিৎ রায়ের কাছে। তিন সম্পাদকের কাটাছেঁড়ার পর সামান্যই লেখা যেত ছাপাখানায়। অনেক সময় নলিনী দাশ, লীলা মজুমদারের কাছে পাশ করে যাওয়া লেখা আটকে যেত সত্যজিৎ রায়ের টেবিলে।
আবার কোনও সম্ভাবনাময় লেখার পরিমার্জন বা পুনর্লিখন করার উপদেশ দিয়ে সত্যজিৎ [আরো পড়ুন]
Read More
স্পন্দন সিরিজ – প্রথম প্রাণের স্পন্দন ও আমরা (পর্ব-৩)
অনেক ভোরে আজ প্রফেসর সূর্যশেখরের ঘুমটা ভেঙে গেল। বালিশের পাশে রাখা হাতঘড়িতে দেখলেন পাঁচটা কুড়ি বাজে। আড়মোড়া ভেঙে উঠে প্রফেসর তাঁর ব্যালকনিতে গিয়ে দাঁড়ালেন। তাঁর বালিগঞ্জ প্লেসের এই ফ্ল্যাটটা বড় রাস্তা থেকে কিছুটা ভেতরে। তাঁর ফ্ল্যাটের সামনে একটা সবুজ পার্ক আছে, রাস্তা জুড়ে প্রচুর গাছ। তাঁর ফ্ল্যাটের নিজস্ব কম্পাউন্ডেও [আরো পড়ুন]
Read More
লিমেরিকে আসিমভ
ফেসবুকের কল্পবিজ্ঞান গ্রুপে বসেছিল লিমেরিক অনুবাদের আসর। কিংবদন্তি কল্পবিজ্ঞান লেখক আইজাক আসিমভের লেখা লিমেরিক অনুবাদ করেছিলেন গ্রুপের সদস্যরা। সেই সব অনুবাদ এবার তুলে ধরা হল কল্পবিশ্বের পাঠকদের সামনে। চাইলে আপনারাও নিজেদের মতো করে চেষ্টা করে দেখতে পারেন।
লিমেরিক:: ১
আসিমভ বেশ কিছু লিমেরিক শার্লক হোমসকে নিয়ে লিখেছিলেন— তার [আরো পড়ুন]
Read More
ইউটোপিয়া
গভীর রাত।
শহরের প্রধান টাওয়ার ডিজিটাল ক্লকে রাত দুটোর ডিজিট শো করছে লাল দপদপে আলোয়।
সারা শহর নিস্তব্ধ হয়ে আছে। প্রতিটি মানুষ এখন গাঢ় নিদ্রায় আচ্ছন্ন। কুকুরগুলোও এই প্রচণ্ড ঠান্ডায় অদৃশ্য হয়ে গেছে। শুধু হ্যালোজেন বাতিরা হলুদ আলো বর্ষণ করে যাচ্ছে অবিরাম। কুয়াশা থাকায় আরও রহস্যময় লাগছে আলোগুলো।
ঠিক এই সময় কুয়াশার চাদর [আরো পড়ুন]
Read More
গোধূলি লগ্নে সূর্যোদয়
অরিন তাড়াতাড়ি করে বাথরুম থেকে বেরিয়ে আসে। তখনও গামছা দিয়ে মাথা মুছে চলেছে। টপ টপ করে জলের ফোঁটা মাথা থেকে ঘাড় বেয়ে পিঠে নেমে যাচ্ছে। কিন্তু তর সয় না অরিনের। বাবাকে ডাইনিং টেবিলে চা খেতে দেখেই বলে ওঠে, “বাবা, আজ আমাদের স্কুলে পৌঁছে দেবে?”
তীর্থঙ্কর তখন সবেমাত্র পট থেকে কাপে দ্বিতীয় বারের জন্য চা ঢালছে। ঘুম থেকে উঠে সকালে পরপর অন্তত [আরো পড়ুন]
Read More
নিধুবাবুর টপ্পা
ভূমিকা
আমি আমার যে অভিজ্ঞতার কথা এখানে বলব তার প্রধান কুশীলব আমি নই। আমি শুধু ঘটনাটার একটা বৈজ্ঞানিক বা যুক্তিসম্মত ব্যাখ্যা খোঁজার চেষ্টা করেছি। প্রথমেই বলে রাখি আমি এই লেখাটা ২০১৫ সালে লিখেছিলাম৷ নানান কাজে ব্যস্ত থাকায় ছাপানোর চেষ্টা করিনি৷ কয়েকটি মন্তব্য ছাড়া লেখাটির পরিবর্তন করিনি৷
(১)
বেশ কয়েক বছর আগের ঘটনা হলেও কিছুদিন আগে একটি [আরো পড়ুন]
Read More
দীপেন ভট্টাচার্যের কল্পজগতের সফর
সাক্ষাৎকারে কল্পবিশ্বের পক্ষে দীপ ঘোষ, সুদীপ দেব এবং সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায়
নাসা এবং ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া রিভারসাইড ক্যাম্পাসে গামা রশ্মি জ্যোতির্বিদ্যার গবেষক ও বর্তমানে ক্যালিফোর্নিয়ার একটি কলেজে পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক দীপেন ভট্টাচার্য অসামান্য কল্পবিজ্ঞান ও ফ্যান্টাসিধর্মী গল্পও লেখেন। পদার্থবিদ্যা [আরো পড়ুন]
Read More
সিমুলেশন হাইপোথিসিস
আদৌ কি এই জগৎ সত্য? নাকি সবই আমাদের ভ্রম, আমাদের এক অলীক ইউটোপীয় ধারণা? প্রশ্নটা পড়ে হয়তো অনেকেই অবাস্তব বা পাগলের প্রলাপ বলে মনে করবেন। আবার কেউ কেউ ভাববেন, এমন আবার হয় নাকি! আমরা তো প্রতিদিন আমাদের চারিপার্শ্বের প্রকৃতিকে, বাস্তবিকই প্রত্যক্ষ করি এবং তার সঙ্গে পরিবেশের অন্তর্গত বস্তুজগতের পারিপার্শ্বিক মিথষ্ক্রিয়াকে [আরো পড়ুন]
Read More
ভারতীয় বিজ্ঞানের বিস্মৃত স্বধর্ম ও সত্যজিৎ রায়
বিজ্ঞানী জগদীশচন্দ্র বসু একটা মাত্র গল্প লিখেছেন এবং সেটা এস.এফ. বা সায়েন্স ফিকশন। আর সত্যজিৎ বাংলায় প্রথম যে গল্পটা লেখেন সেটা এস.এফ.। বাংলার কৃতী সাহিত্যিকদের মধ্যে দ্বিতীয় জন নেই যিনি সায়েন্স ফিকশন দিয়ে যাত্রা শুরু করেছেন। জগদীশচন্দ্র ও সত্যজিতের মধ্যে এস.এফ. সম্পর্ক আরও বেশ কিছু সূত্রে গ্রথিত। ছদ্মনামে লেখা জগদীশচন্দ্রের [আরো পড়ুন]
Read More
ঢেউ
আমরা প্রত্যেকেই স্বপ্ন দেখি আকাশ ছোঁয়ার।
ইকারাসের মতো আমার সেই স্বপ্ন সার্থক হয়েছে। আকাশে এখন আমি— মহাকাশে। পৃথিবী ঘুমন্ত শিশুর মতো শুয়ে আছে আমার নয় হাজার কিলোমিটার নিচে। সূর্যের প্রথম স্বর্ণাভা আমায় স্পর্শ করল। ভিজিয়ে দিল আমার মুখ, মিঠে ওম ছড়িয়ে দিল আমার ত্বকে, ভাইসরের কাচ পেরিয়ে। সেই প্রতিফলিত কিরণে যেন ঘুম ভাঙল আমার [আরো পড়ুন]
Read More
কল্পবিজ্ঞান সাহিত্য পরিচয় ২
ফিওদর দস্তয়েভস্কির অন্যতম রচনা ‘ডেমনস’ এর ইংরেজি অনুবাদের একটি শিরোনাম দাঁড়ায় ‘পসেসড’ এই শব্দবন্ধে। সদ্য সাইবেরিয়ার নির্বাসনদণ্ড থেকে ফিরে আসা ক্রান্তদর্শী লেখক মনোজগতের গহীন দ্বৈরথ আর বাইরে অনবরত ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক পালাবদলের এক টেস্টামেন্ট লিখেছিলেন উপন্যাসের শরীরে। এই শব্দবন্ধের অভীপ্সা আবার শতাব্দী পেরিয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
ডাইন
বড়দিনের ছুটিতে কোথাও বেড়াতে যাবার প্রস্তাবটা রক্তিমের। প্রস্তাবটা পাওয়া মাত্র অদ্রিজা লুফে নিল। ঘাটশিলায় ওদের পৈত্রিক বাড়িটা এখন ফাঁকাই পড়ে থাকে। ঠিক হল, ওই বাড়িতেই দিন দুয়েক থাকা যাবে। শুক্রবার ওরা চারজন রক্তিম, জয়ন্ত, সৌমী আর অদ্রিজা রওনা দিল ঘাটশিলার উদ্দেশে।
ঘাটশিলা স্টেশনে যখন নামল তখন বিকাল। পশ্চিমদিগন্তে লাল বলের মতো [আরো পড়ুন]
Read More
দেবশিশু
সাল ২১৩৯, হিউম্যান রিপ্রোডাকশন অ্যান্ড নারচারিং সেন্টার (এইচ আর এন সি), মিরশা সিটি
“মিস্টার অ্যান্ড মিসেস টি৯ ইউ ভি, আজকে আপনাদের এই বোর্ডের সামনে কেন উপস্থিত হতে বলা হয়েছে সে সম্বন্ধে আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন। তাও প্রোটোকলের স্বার্থে আমি গোটা বিষয়টা সংক্ষেপে এই বোর্ডের সামনে তুলে ধরছি।
“মিস্টার অ্যান্ড মিসেস টি৯ ইউ ভি আপনারা দুজন [আরো পড়ুন]
Read More
নিঃশব্দ
ঘুমিয়ে পড়েছে সুমিত। বাইরে বেরিয়ে হাঁটুর সমান উচ্চতার পাহাড়ি পাথরটার উপর বসে পড়ল প্রজ্ঞা। বাড়ির শেষ মাথায় বাগানের মধ্যে রাখা আছে পাথরখানা। এর পরেই শুরু হয়েছে খাদ। খাদের ওপারে সবুজ উপত্যকা। শীতকালে বরফের পুরু চাদরে ঢেকে যায় গোটা জায়গাটা। বর্ষাকালে উপত্যকার মাথায় মেঘ জমে বৃষ্টি নামলে ছোট্ট জায়গাটা হয়ে ওঠে এক টুকরো ল্যান্ডস্কেপ।
Read More
নিদালি আলেয়া
“বউটা পেত্নীর মতন কাঁদতে কাঁদতে হাসে।”
পঞ্চার কথা শুনেই মেজাজ বিগড়ে গেল রজতের। ধমকের সুরে বলল, “চ্যাংড়ামি পেয়েছিস। একে শালা এই রাতদুপুরে তদন্তের উটকো ঝামেলা তার মধ্যে তোর আল বা…
“না স্যার। আমি নয় আশপাশের লোকেরা বলে!” মোলায়েম সুরে কনস্টেবল পঞ্চানন রজতকে থামিয়ে দেয়। সে বিগত বারো বছর ধরে পুলিশের চাকরিতে আছে। তৈল মর্দন শিল্পে সিদ্ধহস্ত।
Read More
সাদা জাহাজ
আমি বেসিল এলটন। আমি নর্থ পয়েন্টের বাতিঘরের বাতিওয়ালা। আমার আগে আমার বাবা, আমার ঠাকুর্দা সকলেই এইখানে বাতিওয়ালা ছিলেন। পাড় থেকে অনেকটা ভেতরে পিছল পাথরের বুকে ধূসর বাতিঘরটা একলা দাঁড়িয়ে থাকে। পাথরগুলো জোয়ার এলে জলে ডুবে যায়। ভাটার সময় নজরে পড়ে। বাতিঘরের পেছনে ছড়িয়ে থাকা সমুদ্রের বুকে সাত সাগরের তিন মাস্তুলের পালতোলা [আরো পড়ুন]
Read More
দেবদূত
প্রারম্ভিকা
বিশাল কালো প্রান্তরের মধ্যে অবস্থিত শহরটি। সেটাকে ঘিরে আছে বিশাল ধূসর দেয়াল। এক রাস্তা যোগ হয়েছে মূল ফটকের সঙ্গে। ফটকের দুই পাশে দুটো বেদি, এবং সেখানে দাঁড়িয়ে থাকে দুই মূর্তি। একটা সাদা শ্বেত পাথরের, আরেকটা কালো কষ্টি পাথর। একটা দেবদূতের, আরেকটা কালদূত। দুটো প্রকাশ করে শহরের সাম্যতা, সঙ্গে অস্তিত্ব।
কথিত আছে, যদি শহরের [আরো পড়ুন]
Read More
অসুখ
তারিখ: ১৫ মার্চ, ২৫০০
সময়: দুপুর ৩টে ১০ মিনিট
স্থান: ৬, লিন্ডসে লেহান স্ট্রিট, গ্রেট ব্রিটেন
বাচ্চাটাকে সুন্দর দেখতে। চোখদুটো খুব সরল আর নিষ্পাপ। তবে মুখে একটা দুঃখী-দুঃখী ভাব আছে; দেখলেই মায়া হবে।
এলিজা খুব মিষ্টি করে জিজ্ঞাসা করল, “তোমার কীসের এত ভয় মাই বয়?”
বাচ্চাটা কোনও উত্তর দিল না। শুধু চোখ বড়-বড় করে এলিজার দিকে তাকিয়ে থাকল।
Read More
মানবিক
আশ্চর্য জ্যাক! এই হোক্কিট-দের নিয়ে তোমরা পাক্কা তিন বছর কাজ করছ, অথচ ওদের উন্নতির জন্য কিছুই করোনি?”
নতুন সুপারভাইজার মাইকেল ওটিনো-র কথা কানে যেতে কারখানার ইনজিনিয়ার তথা হিসাবরক্ষক জ্যাক নর্টন হাতের নকশাটা থেকে মুখ তুলে আড়চোখে তার দিকে তাকাল। নতুন এই আফ্রিকাজাত সুপারভাইজারকে সে একেবারেই পছন্দ করে না।
“কী ধরনের উন্নতি?” সে সতর্কভাবে প্রশ্ন করল।
Read More
কল্পাণু গল্প
টেলিফোন
পার্থ দে
ঋতার বায়োপসি রিপোর্টটার অপেক্ষায় ওয়েটিং জোনে বসে আছি। সাতটা বাজতে পাঁচ। কাউন্টারে বসা মেয়েটা বলেছে, “ঠিক সাতটায় আসুন, স্যার। আমি দিয়ে দেব।”
ঘড়ির দিকে তাকাচ্ছি ঘন ঘন। এসি-তে বসেও শার্টের তলায় দরদর করে ঘামছি। ভাবছি, ফোনটা আসবে কি? আর তো পাঁচ মিনিট… না না… আমার ডিজিটাল ঘড়ি বলছে চার মিনিট ছত্রিশ সেকেন্ড! আসবে তো ফোনটা?
আজ পর্যন্ত [আরো পড়ুন]
Read More
কল্পবিজ্ঞান সাহিত্য পরিচয় ১
গোড়ার কথা
এটা বইয়ের রিভিউ নয়। কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের কিছু বইয়ের সঙ্গে পাঠককে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টা কেবল। লেখাতে প্রকাশক বা বইয়ের মূল্যের উল্লেখ নেই, কারণ কিছু বইয়ের নানা এডিশন পাওয়া যায়। বইয়ের ও লেখকের নাম লেখার শেষে রোমান হরফে উল্লেখ করা আছে, যাতে উৎসাহী পাঠক নেটে সার্চ করে বইটি নিজে খুঁজে নিতে পারেন।
ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড – অ্যাল্ডাস হাক্সলে
Read More
কোন সে কবির ছন্দ বাজে
জন্মান্তর আছে কিনা জানি না, কিন্তু এ কথা নিশ্চিত জানি, ওই মেয়েটিকে আমি চিনি। কোথায় তাকে দেখেছি, কিছুতেই মনে করতে পারছি না। কিন্তু ওকে আমি চিনি, চিনি, চিনি। ওই চোখের দৃষ্টি, ওই ভ্রূভঙ্গি, ওই ঠিকরে পড়া আলোর ঝলক— ও আমি নিশ্চিত কোথাও দেখেছি আগে। হয়তো এই জন্মে, হয়তো গতজন্মে— যদি গতজন্ম বলে সত্যিই কিছু থাকে।
স্বপ্নে সে এসেছিল আমার কাছে। প্রায়ই [আরো পড়ুন]
Read More
বাতাসে বিনাশ বার্তা
টেবিলের ওপর সাজান সিদ্ধ ভাতের তৈরি সাদা, শাঙ্কব পাহাড়ের সারি; কলা পাতায় উৎসর্গ করা চাল, পাখির ডিম, বিভিন্ন ফলমূল, ছত্রাক। আজ রিনচেনদের বাড়িতে পুজো, লেপচা ভাষায় ‘রাম ফাট্’। প্রাচীন মুন ধর্মবিধি মেনে উপাসক সিমিক বংথিং এবং উপাসিকা রেণু মুন সামান্য ‘চি’ পান করে পুজোয় বসেছেন। সকাল থেকেই কুয়াশার ধুসর পর্দায় মুখ ঢেকেছে গ্রামের [আরো পড়ুন]
Read More
সময়নদীর বাঁকবদল
(এটা একটা বিকল্প ইতিহাসের কাহিনি। বাংলায় অল্টারনেট হিস্ট্রির ধারাটি নতুন। এই কাহিনিকে একটি জিও-পলিটিক্যাল কমেন্ট্রি বলা যায়। এই ধারাভাষ্য সম্পূর্ণ কাল্পনিক, অন্তত এই বিশ্বে। কোনও সমান্তরাল বিশ্বে সত্যিও হতে পারে।)
প্রাককথন
২১২০ সাল, কলকাতা
অফিসের বায়োমেট্রিক গেটে বুড়ো আঙুল ছুঁয়ে লোকটা ভিতরে ঢুকতেই [আরো পড়ুন]
Read More
দ্রোহ
প্রারম্ভিকপর্ব
টার্টারাসের ধূলিময় প্রান্তর। আকাশ জুড়ে ঝুলে থাকা লোহিত নক্ষত্রের লালচে আলোয় লাল হয়ে থাকে ধুলোর গভীর স্তর। হাওয়ার সামান্য ঝাপটেই ধোঁয়ার মতন কুণ্ডলী পাকিয়ে উড়ে যায় চারপাশেট্যাঁকাঠের তক্তা ঠুকে বানানো এই হতশ্রী কুটিরের প্রতিটি আসবাবের ওপরেও ধুলোর প্রলেপ। ধুলো জমেছে [আরো পড়ুন]
Read More
জল
একটা বয়সে পৌঁছোলে মানুষের কাছে জন্মদিনের আলাদা করে কোনও অর্থ থাকে না। তবু, অঙ্গদ যখন সকালে বলল যে আজ আমার জন্য রান্নার মেনুটা একটু অন্যরকম হবে, তখন বেশ ভালো লাগল। তারপর রজত হাজির হল ওর বাগানের একগোছা ফুল নিয়ে। তবে জন্মদিন হলেও ওর রোজকার বকুনির হাত থেকে আমি রেহাই পেলাম না।
“এইসব যন্ত্রপাতি আর নয়, সারস্বত!” ‘নেচার’– [আরো পড়ুন]
Read More
অতিউল্কা
“মা আআআআআআ…….”
রবিবার। অন্তিমাদেবী বেশ জাঁক করে একটা সুস্বাদু প্রাতরাশ বানাচ্ছিলেন আজকে। নওরোজার চিৎকারে চমকে উঠে খুন্তী হাতেই মেয়ের ঘরের দিকে দৌড় দিলেন তিনি। আজকাল কী যেন হয়েছে নওরোজার। মাত্র ন–বছরের মেয়ে, ইতিমধ্যেই দুঃস্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে রোজ! রাতে ভালো করে ঘুমোতে পর্যন্ত পারে না সে, বারবার স্বপ্ন দেখে কাঁদতে কাঁদতে ছুটে আসে ‘বাবা–মা’র ঘরের মধ্যে।
Read More
ডলি
রবিবার ডলির যখন ঘুম ভেঙেছিল, তখন ওর গায়ের রং শ্যামলা আর কোমরছাপানো ঢেউখেলানো চুল ছিল। মঙ্গলবার যখন ঘুম থেকে উঠেছিল, তখন আবার ওর গায়ের রং ফুটফুটে ফর্সা, চুল লাল। কিন্তু বৃহস্পতিবার— সেদিন ওর চোখ ছিল নীল, চুল কুচকুচে কালো, আর হাতগুলো লাল, রক্তে।
দামি জিনিসে ঠাসা বসার ঘরটার সবকিছু ধবধবে সাদা আর সোনালি রঙের, একমাত্র ব্যতিক্রম [আরো পড়ুন]
Read More
থামিনের কান্না
মরিয়ম দুপুরের খাবারের মেনু কী হবে জানার জন্য দেবুকে অনেকক্ষণ ধরেই মোবাইলে ধরার চেষ্টা করে যাচ্ছে, কিন্তু নট রিচেবল আর নট রিচেবল ছাড়া অন্য কোন সাড়া নেই। কি যে হয় নেটওয়ার্কের? বেশ বিরক্ত হয়েই টিভিটা ছেড়ে বসলো সোফায়। কিন্তু সেখানেও সমস্যা। কেবল নেই। অদ্ভুত তো! বিরক্ত মরিয়মের এবার [আরো পড়ুন]
Read More
ওসেনবোরো
বুড়োটা শালা অসুস্থ নাকি!
কথাটা বাসুর মনের মধ্যে ভেসে উঠেই হারিয়ে গেল। সামনে বসে থাকা বৃদ্ধের চোখেমুখে এক অসহায় ভয় আর আতঙ্ক খেলা করে বেড়াচ্ছে। এই ধরনের মুখচ্ছবির সঙ্গে বাসু যথেষ্ট পরিচিত। চোখের সামনে মৃত্যুকে দেখলে মানুষের মুখ চোখ এরকম হয়ে যায়। অনেক সময় বাসুকে দেখলেও… হবে নাই বা কেন? মৃত্যু আর ভয় নিয়েই তো তার [আরো পড়ুন]
Read More
বাংলা সায়-ফি জগতের হারামণি ডক্টর দিলীপ রায়চৌধুরী
মাত্র ৩৮ বছর বয়েসে গত সোমবার ৫ সেপ্টেম্বর ভোররাতে কলকাতার উড্ল্যান্ডস্ নার্সিংহোমে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন ‘আশ্চর্য!’ প্রিয় লেখক এবং বাংলা সাহিত্যের সায়েন্স ফিকশন দিগন্তের উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক ডক্টর দিলীপ কুমার রায়চৌধুরী।
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতিভাধর ছাত্র হিসেবে অল্প দিনেই সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন দিলীপবাবু। ১৯৫০ [আরো পড়ুন]
Read More
গুরনেক সিং – বাংলা কল্পবিজ্ঞানের আশ্চর্য দিশারী
‘আশ্চর্য!’ পত্রিকায় নতুন ধরনের গল্প রচনায় যে সব লেখক মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে গুরনেক সিং অন্যতম। তাঁর জনপ্রিয়তা ‘আশ্চর্য!’ পত্রিকার গৌরব। তাঁর সম্পর্কে বিশদ বিবরণ জানতে চেয়ে প্রায়ই ‘আশ্চর্য!’ অফিসে চিঠি আসে, ফোন আসে— কত প্রশ্ন… ‘গুরনেক সিং কি ছদ্মনাম?’, [আরো পড়ুন]
Read More
অযান্ত্রিক
অন্ধকার রাতে কেউ নেই পথে। মশালগুলো হাওয়ার সঙ্গে যুঝে উঠতে পারছে না কিছুতেই। আগুনের শিখাগুলো ভূমধ্যসাগরীয় হাওয়ার দাপটে বিদ্রোহী চাষীদের মতন কাঁধ নুইঁয়ে অস্তিত্বের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। কুকুরগুলো কোনও এক কোনে গলা মিলিয়ে কান্না জুড়েছে। একাকী পথে কাঁপতে কাঁপতে পথ চলেছে মাঝবয়েসী ইয়াসোনাস। বাপ-মা ভেবেছিল ছেলে বড় [আরো পড়ুন]
Read More
লম্বগলি
“এ কোন রাস্তায় নিয়ে এলি?”
“কেন মোড়ের মাথায় ও-ই তো বলল বাঁ দিকের রাস্তায় যেতে।”
“ও বলল আর তুই চলে এলি? এটা তো সেই কুড়গুড্ডা পাহাড়ের রাস্তা মনে হচ্ছে।”
যে মোড়ের মাথায় বাঁ দিকে যেতে বলেছিল সে রুখে উঠল। “কেন কুড়গুড্ডার রাস্তা কি রাস্তা নয়? তোরাই তো বললি চটপট বাড়ি ফিরতে হবে। এ রাস্তাটা অনেক ছোট।”
“ছোট তো বটে, কিন্তু বিপদের কথাটা ভাববি না?”
Read More
ডিলিট
গাড়িটাকে কার পার্কে রেখে ব্যাকভিউ মিরারে নিজেকে একবার দেখে নিল জুলেখা। কপালে ঝুলন্ত চুলের গোছাকে একটু ছড়িয়ে রুমাল দিয়ে চোখের পাতা আর গাল একবার আলতো করে মুছে গাড়ি থেকে নেমে পড়ল সে। রনি ওর কপালের ছড়ানো চুল নিজের হাতে সরিয়ে দিতে পছন্দ করে। বেশ কয়েকমাস আগে সে ওর অগোছালো চুল দেখে মন্তব্য করেছিল ‘কেয়ারলেস বিউটি’। কথাটা ক্লিশে হলেও মনে রয়ে গেছে জুলেখার।
Read More
ধূসর রঙিন
অনুরাগের ঘুমটা হঠাৎ ভেঙে গেল একটা দুঃস্বপ্নে। এই রোজকার অফিসের ইঁদুর-দৌড়, যানজট, ধুলো কাদা আর সবচেয়ে বড় কথা তার নিঃসঙ্গ জীবনের বাকি দিনগুলোর এই একঘেয়েমি সিলেবাস। মৃত্যুও তো একটা পরীক্ষাই, মুক্তি পাওয়ার! চাইলেও সবাই পারে না।
এই এক বছরে যেন তার জীবন থেকে সব রং, মুছে গিয়েছে ধীরে ধীরে, কালকের সেই গোধূলির ম্লান আলোটার মতোই।
কাল বিকেলে [আরো পড়ুন]
Read More
সমুদ্রের গুপ্তকথা
কি বলছ জেঠু সমুদ্রের নীচে নদী?” শাওন অবাক!
সবাই বসেছে বিখ্যাত ওসানোলজিস্ট শঙ্কর সেনগুপ্তকে ঘিরে। তিতিরের জ্যেঠু উনি। বিয়েসাদি করেননি। মাঝে মাঝে ছুটি কাটাতে আসেন ভাইয়ের বাড়িতে। তখনই তিতির আর ওর বন্ধুদের জমায়েত হয় গল্পের আশায়। তিতিরের বাড়ির সবাই খুব ফ্রি। জমিয়ে আড্ডায় তাই কোনও কিছু বাধা নিষেধ নেই। সবাই “বুড়ো সাধু” নিয়ে বসেছে গলায় ঢালবে বলে।
Read More
কথক
অতিরিক্ত অনুভূতিপ্রবণ, কিংবা অত্যধিক সংবেদনশীল হওয়ার একটা সমস্যা হল নানারকম ভিন্নধর্মী চিন্তার ভিড় প্রায়শই মনের গলা টিপে ধরে; কল্পনার সহজ, অবাধ উড়ান গতিরুদ্ধ হয়ে পড়ে। একজন কল্পনাপ্রবণ লেখক হয়ে ব্যাপারটা জোন্সের মোটেও অজানা নয়, তবে এটাকে আটকানোর বিশেষ চেষ্টাও সে করে না। কারণ আর কিছুই না; নিজের মনকে কোনও একটাই অনুভূতিতে [আরো পড়ুন]
Read More
লেটারবক্স
দুপুর দুটোর ট্রেনটা ধরে ভালোই করেছিল মৃদুল। একটা সম্পূর্ণ অচেনা জায়গায় দিনের আলো থাকতে থাকতে পৌঁছানোটাই বুদ্ধিমানের কাজ। গ্রামের নাম শিউরিয়া। ভারী অদ্ভুত নাম। শুনলেই কেমন যেন শিউলি ফুলের কথা মনে পড়ে। মৃদুল অবশ্য নামটা প্রথম শুনেছিল একজন পোস্টম্যান-এর কাছে।
দিনটা ছিল মঙ্গলবার। অফিস থেকে ফেরার পথে মানিকতলা মোড়ে একটা বিশ্রী জ্যাম-এ [আরো পড়ুন]
Read More
সময়
সোমনাথের বয়েস মাত্র বাইশ। এই বয়েসে সব কিছুই বাড়তি থাকে মানুষের। শক্তি, উৎসাহ, আবেগ। সোমনাথ একটি দুর্দান্ত ফান্ডাওয়ালা মেয়ের প্রেমে পড়ে গেল একতরফা। মেয়েটির নাম অপরা। আলাপ নেই। পাড়ার সবচেয়ে ঘ্যাম বাড়ি হল চৌধুরিদের। চারদিকে প্রকাণ্ড বাগান, টেনিস লন, সুইমিং পুলওয়ালা বাড়ি। সাতখানা গাড়ি রাখার মতো প্রশস্ত গ্যারেজ। [আরো পড়ুন]
Read More
সাত্যকি সোমের বন্ধুরা
মধ্যভারতের এক জনবিরল গ্রামেরও নিভৃত স্থানের এক কুটিরে সকালবেলা উদ্ভ্রান্তের মতো প্রবেশ করল এক মধ্যতিরিশের যুবক। ঘরের একপাশে অনেক যন্ত্রপাতির সামনে চেয়ারে বসে এক বৃদ্ধ নিবিষ্টমনে কাজ করছিলেন। আওয়াজ শুনে ফিরে তাকালেন। তারপর বললেন, ‘ও গৌতম তুমি। অনেক কাল পরে এলে এবার।’
‘আসব কী করে? জানেন না, বিশ্বব্যাপী এক মারণ ভাইরাস সবাইকে কেমন ঘরবন্দি [আরো পড়ুন]
Read More