অভাগার স্বর্গ
“ড্যাড, তুমি যখন নীচে থাকতে, হাউ ওয়াজ় ইট?” সৌগত প্রশ্ন করল।
বরুণ তার ছেলের সঙ্গে বসে রাতের খাবার খাচ্ছিল। দিনের শেষে এই আধ ঘণ্টা সময়ই তারা রাখতে পেরেছে নিজেদের জন্য। আবার তো খেয়ে শুয়ে পড়ো, তারপর পরদিন সকালে উঠে ফুড স্ল্যাবের একটা প্যাকেট ছিঁড়ে মুখে পুরে ছোটো অফিস এবং স্কুলের শাট্ল ধরতে। এই [আরো পড়ুন]
Read More
দক্ষিণদেশ
“পিতামহ, আমি এক নিষ্ঠুর সময়ে বেঁচে আছি। এই এক আশ্চর্য সময়। যখন আশ্চর্য বলে কোনো কিছু নেই।”
এক
ইথানের আজ ফিরতে দেরি হল। তার খেতে আবার পোকার উৎপাত শুরু হয়েছে। নিয়মমতো এক মাস আগেই স্প্রে করা হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, যে-কোনো কারণেই হোক, ভালো কাজ হয়নি। অগত্যা গাড়ি চালিয়ে পাশের শহর থেকে কেমিক্যাল কিনে এনে মুখোশ পরে কয়েক ঘণ্টা ধরে সে কাজটা করল। এই [আরো পড়ুন]
Read More
নীল আলোর টর্চ
ঘুম থেকে উঠেই এ আবার কী অহেতুক ঝামেলা? মাথার পাশে একখানা পার্সেল দেখে বিরক্তই হল মল্লার। জন্মদিন এখনও মাস চারেক, বিয়ে তো তার হয়নি, যে বিবাহবার্ষিকী হবে? অ্যামাজ়নেও কিছু অর্ডার করেছে বলে মনে পড়ে না, তাহলে পার্সেলটা কীসের? বাক্সোটা অবশ্য একান্তই চাকচিক্যহীন। গিফট হলে নিশ্চয়ই রঙিন কাগজের প্যাকিং হত। এরপর ঘোরতর প্রশ্নটা মাথায় এল। মা-বাবা [আরো পড়ুন]
Read More
খগেনবাবুর স্পেস-টাইম
শিয়ালদা স্টেশন থেকে শেষ ট্রেনটা ধরে বাড়ি ফিরছিল দীপ্তার্ক। ডালহৌসি পাড়ার একটা মাঝারি অফিসের কেরানি। মফস্সলের বাসিন্দা অতএব ‘ডেইলি পাষণ্ড’। আজ হঠাৎ অফিস থেকে বেরিয়ে বাস স্ট্যান্ডে দেখা হয়ে গেল স্কুলজীবনের এক বন্ধুর সঙ্গে। প্রায় এক যুগ পরে দেখা! অতএব একটু তো গপ্প-আড্ডা হবেই! বাস স্ট্যান্ডের পাশেই একটা চায়ের দোকান, কয়েক গ্লাস চা সহযোগে [আরো পড়ুন]
Read More
প্রফেসার হচপচ
জেনিদি আখ খেতে খেতে বলল, “প্রফেসার হচপচ যে অত বড়ো বিপদে পড়বেন, তা আমি স্বপ্নেও ভাবিনি।”
আমি হাঁ হয়ে তাকিয়ে পড়লাম জেনিদির মুখের দিকে।
মে মাসের সকালবেলা। আমাদের প্রকাণ্ড উঠোনে প্রকাণ্ড সবেদা গাছটার ছায়ায় বসে কথা হচ্ছে। জেনিদি একটা চেয়ারে পা তুলে বসে আখ চিবুচ্ছে, আমি তার মুখোমুখি আরেকটা চেয়ারে বসে আছি। চারদিকে কড়কড়ে রোদ। ফুরফুর [আরো পড়ুন]
Read More
প্যারাডক্সের খোঁজে
উরগার চার মাথার মোড় থেকে অভ্যাসমতো গাড়িটা বাঁদিকে ঘুরিয়ে নিয়েছিল সুনন্দ। এটাই কোরবা থেকে রায়গড় ফেরার জন্যে ওর পছন্দের রাস্তা। সোজা গিয়ে চাঁপার থেকে হাইওয়ে ধরলে অবশ্য দূরত্বটা কিছুটা কম হয়, কিন্তু চাঁপার মোড়ে ভয়ানক জ্যামের মধ্যে পড়তে হয়। ভইস্মা থেকে তুমান লাবাড হয়ে রাস্তাটা যদিও সিঙ্গল রোড [আরো পড়ুন]
Read More
স্বচ্ছ
অমৃতধারা
বাজে খরচ করাটা তন্ময়ের অভ্যাসে দাঁড়িয়ে গেছে। রিঙ্কি হাজারবার বারণ করলেও তন্ময় কথা শোনে না। লাইসেন্স নিতেই প্রায় কুড়ি হাজার টাকা। তার উপরে যন্ত্রের দাম ধরলে, সব মিলিয়ে এক ধাক্কায় সত্তর হাজার টাকা খরচ। অথচ যন্ত্রটা বেশির ভাগ সময় অকেজো হয়ে পড়েই থাকবে।
বাড়িতে ব্যবহার করার জন্য এই ছোটো যন্ত্রগুলো [আরো পড়ুন]
Read More
স্মৃতির শহর
আমাকে টান মারে রাত্রি-জাগা নদী
আমাকে টান মারে অন্ধকার
আমার ঘুম ভেঙে হঠাৎ খুলে যায়
মধ্যরাত্রির বন্ধ দ্বার।
অনমিত্র হেঁটে যাচ্ছে এই শহরের অন্ধকার গলির মধ্য দিয়ে। গলিটা পেরোলে একটা বাজার। চোরবাজার। সেখানে আছে করিমের দোকান। সেখানে পাওয়া যায় জিনিসটা। যে জিনিসটার চাহিদা আজকাল লোকসমাজে তুঙ্গে। তবে বাজারচলতি [আরো পড়ুন]
Read More
ভারসাম্য
খস খস খস…
শব্দটা অচেনা।
কাজ থামিয়ে সবাইই ঘুরে তাকিয়েছিল দরজার দিকে। কিন্তু বন্ধ-হয়ে-থাকা চৌকো ধাতব দরজায় নিজেদের ছায়া ছাড়া চোখে পড়ার মতো কিছুই ছিল না।
বাইরে কেউ এসে দাঁড়ালে দরজার সারফেসে তার ছবি ফুটে ওঠে। সে এমনকি একটা রোবো স্নিফার কুকুর হলেও।
কিচ্ছু ছিল না। অথচ খসখস শব্দটা তখনও সবাই শুনতে পাচ্ছিল।
মনিটরিং ডিভাইসে সুপারভাইজ়ার [আরো পড়ুন]
Read More
নস্টালজিয়া
৩০ মে ১৯৯৫
ভবিতব্য নিজের চেনা পথ ছেড়ে পৃথক পথে হাঁটে না। সামান্য জ্ঞান তো তা-ই বলে। কিন্তু হায় রে অবুঝ মন! যাবতীয় যুক্তিতক্ককে পাত্তা না দিয়ে স্বপ্নের মরীচিকায় আশার স্রোত খুঁজে বেড়ায়। রৈখিকতার কঠিন নিয়মে, একচিলতে অসম্ভব মুহূর্তের অনুসন্ধানে গুমরে মরে। এই নিয়ে হয়তো পঞ্চাশবার ‘শোলে’ দেখছি। সেই মুহূর্তটা এসে গেল। গুলিতে মরে [আরো পড়ুন]
Read More
আলমন্ড
আলমন্ডের লগ ফাইল
২০২৩-০৭-০৬ ১১:৩৬:৪৭—
সামনে একটা পর্দা। না ঠিক পর্দা নয়, দেওয়াল। না ঠিক দেওয়ালও নয়, একটা বড়ো স্ক্রিন। ইংরেজিতে একটা লেখা: ‘টেস্ট# ৪৮: সাবজেক্টিভ রেসপন্স অব অ্যানালিটিক্যাল মাইন্ড অব নননিলিওন ডিসিশন ইঞ্জিন’। ‘সাবজেক্টিভ রেসপন্স’ মানে বিষয়গত উত্তর। আবার উত্তর মানে উত্তরদিকও হতে পারে। কিন্তু এই উত্তর তো প্রশ্নের উত্তর, প্রশ্নটা [আরো পড়ুন]
Read More
অ্যান্টিভাইরাস
মিনিট পাঁচেক পর মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস অনুভব করলেন, তাপমাত্রা ধীরে ধীরে কমে আসছে। উনি এখনও চোখ খুলতে পারছেন না কিংবা হাত-পা-ও নাড়াতে পারছেন না, কিন্তু কোনো এক বিশেষ ইন্দ্রিয়বলে বুঝতে পারছেন, এক উত্তপ্ত ধাতব ঘরের মধ্যে তিনি শুয়ে আছেন। নাকে এসে লাগছে গরম ধাতুর ঘ্রাণ। হালকা শ্বাসপ্রশ্বাস শুরু হয়েছে তাঁর। এতটাই হালকা যে বুকের ওঠানামা নিজেই অনুভব করতে পারছেন না।
Read More
ধ্বান্তারি
জ্বরে বেহুঁশ ছেলের পাশে বসে তার দুর্বল শ্বাসপ্রশ্বাসের শব্দ শুনতে শুনতে অপেক্ষা করছি আমি। কোলের উপর রাখা আছে লম্বা গলার কাচের বোতলটা। এই বোতলটায় কুকি রাখতাম আগে, কিন্তু আজকের পর থেকে…
পাহাড়ের উপর থেকে সকালের রোদ এসে পড়ছে পুবদিকের জানালা দিয়ে, কিন্তু ঘরের তীব্র ঠান্ডা তাতে বিশেষ কমছে না। ভারী বোতলটার মসৃণ গায়ে আমার নিশ্বাস যেন [আরো পড়ুন]
Read More
ফেক
ক্যাব থেকে নেমে গুগ্ল ম্যাপ চেক করল ম্যারিয়ম। এই জায়গাটাই। কিন্তু এখানে কোনো ফ্ল্যাটের চিহ্ন নেই। ডান হাত তুলে সূর্যের আলো থেকে নিজের চোখ আড়াল করে চারপাশে তাকিয়ে দেখল ম্যারিয়ম। শুধু এখানেই কেন, এখান থেকে শ-দুয়েক মিটার, অর্থাৎ যতটা ম্যারিয়ম দেখতে পাচ্ছে, তার মধ্যেও বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট তো দূরের কথা, দুটো মানুষ থাকার মতো ছোটোখাটো [আরো পড়ুন]
Read More
NAICA সংবাদ
ধীরেসুস্থে সিগারেটটায় শেষ টান মেরে চায়ের কাপের তলানিতে ফেলে দিল বিনয়।
সন্ধে সাতটা বাজে। নিমাইয়ের চায়ের দোকানে ভালোই ভিড় জমে উঠেছে। লুঙ্গি-ফতুয়া-পরা বুড়োর দল লাল চায়ের গ্লাস হাতে জোর তর্ক লাগিয়েছে রাশিয়ার যুদ্ধ পরিস্থিতি নিয়ে। ওদিকে অফিস-ফেরত কয়েকজন ক্লান্তভাবে মোবাইল স্ক্রল করতে করতে মাটির ভাঁড়ে চুমুক দিতে ব্যস্ত। [আরো পড়ুন]
Read More
একটা ইমেল
হাই পিনাকী,
এখন গভীর রাত। কয়েক ঘণ্টা আগে শোরুমের একমাত্র সিকিউরিটি গার্ড দোকানের সব তালা শেষবারের মতো নেড়েচেড়ে পরীক্ষা করে তার কেবিনে ফিরে গেল, যেখানে সে বাকি রাতটা ঘুমিয়ে কাটাবে। আমি এই শোরুমের একদম শেষ প্রান্তে একটা স্টোররুমে বসে আছি। এটা পুরোপুরি অন্ধকার এবং আবর্জনায় ভরা। কিন্তু আমার নাইটভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করে আমি স্তূপ-করা [আরো পড়ুন]
Read More
কাউন্টডাউন
হতবুদ্ধি হয়ে আমি কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলাম কনট্রোল প্যানেলের দিকে। কমিউনিকেশন মডিউলের আলোগুলো সব নিবে গেছে। শুধু একটা লাল-আলো কুটিল নিষ্ঠুর দৃষ্টি মেলে চেয়ে আছে আমার দিকে! না, না, না। এ হতে পারে না। কিছুক্ষণের জন্য বোবা হয়ে গেলাম যেন একেবারে। তারপর দু-হাতে মাইক্রোফোনটাকে আঁকড়ে ধরে আরেকবার চিৎকার করে বললাম, “হ্যালো! মিকিরা! শুনতে পাচ্ছ? হ্যা…হ্যালো?”
Read More
চার আলোর চমৎকার
প্রাক্কথন
বক্রোদ্ধার ইষ্টবোধ পার্টির কয়েকজন সদস্য আগুনখোর, আর বাদবাকি মেনিমুখো। আজ অবধি মাত্র একজনকে এক ধরন থেকে অন্য ধরনে বদলে যেতে দেখা গেছে। তাকে নিয়েই এই গল্প।
বক্রোদ্ধার ইষ্টবোধ পার্টি তখন ভারতের উদীয়মান রাজনৈতিক দল হিসেবে অনেকের আলোচনায় উঠে আসছে। বাংলায় তার মুখ বলতে স্নেহাদ্রি শানমুগম। বিরোধীরা বহিরাগত বলে নিন্দে করলেও তার সভায় [আরো পড়ুন]
Read More
তৃতীয় প্রকল্প
শেষ রাতের গবেষণা
বাইরে কেবল বরফ। সাদা, ধূসর, নিঃসঙ্গতা-মাখানো একরঙা জমিন। পৃথিবীর শেষ প্রান্ত—অ্যান্টার্কটিকা। রাত্রি এখানে ৭২ ঘণ্টা ধরে চলে। আর এই রাতেই, বরফের ১.৩ কিলোমিটার নীচে, কেউ একজন ঢুকেছিল একঘরে, যা গত ৪৭ বছর বন্ধ ছিল। সেই ঘরের নাম ছিল—ডিপ ক্রায়ো সেল-১৭।
ড. সায়ন্তন রায় নিজের কুয়াশা-মাখানো গগল্স খুললেন। তাঁর নিশ্বাস সেল্ফ-কন্টেইনড সুটের [আরো পড়ুন]
Read More
মনের খোঁজ
বর্ণিল ট্রাম থেকে নেমে সামনে তাকিয়েই বেশ খুশি হল। সেই পুরোনো কাফেটা একই জায়গাতেই আছে। একদিকে বিশাল অফিসবাড়ি আর অন্যদিকে ঝাঁ-চকচকে রেস্তোরাঁর মাঝখানে কোনোরকমে পিঠ গুঁজে দাঁড়িয়ে আছে। নামটাও এক আছে—‘জলখাবার’। এমনকি সামনের কাচের দেওয়ালে যে রংচটা পোস্টারগুলো ছিল, সেগুলোও একই আছে। কী আশ্চর্য! এ তো বহু পুরোনো পোস্টার। ওই তো একটা অর্ধেক [আরো পড়ুন]
Read More
মৃগয়া
তিনজন ভীত, সন্ত্রস্ত, সতর্ক পদক্ষেপে এগিয়ে চলেছে ঘন জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে। মলিন, ধূলিধূসর তাদের বেশভূষা, মাথার চুল উশকোখুশকো। চোখে-মুখে ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট। কিন্তু সেই ক্লান্তিকে ছাপিয়ে প্রকট হয়ে উঠেছে এক অজানা ভয়। সারারাত তারা গভীর উৎকণ্ঠায় কাটিয়েছে। যদিও এটা রোজকারই ঘটনা। গোপন ডেরায় লুকিয়ে রাতটা কোনোমতে কাটিয়েই তারা ভোরবেলা বেরিয়ে পড়েছে অনির্দিষ্টের পথে।
Read More
রা রি রুম
ক্রায়োজেনিক চেম্বারের ঢাকনাটা আস্তে আস্তে খুলে যেতে রা চোখে ঝাপসা দেখল। স্পেস প্রোগ্রামের একদম শুরুর দিকে এগুলো পড়ানো হয়, তাই রা ঘাবড়াল না। এই মুহূর্তে ওকে চুপটি করে শুয়ে থাকতে হবে। বেশ খানিকক্ষণ পর একটু ধাতস্থ হলে সে আস্তে আস্তে উঠে বসবে।
তার হিসেবমতো পৃথিবীর হিসেবের এক বছর সে ঘুমিয়ে কাটিয়েছে। তার সঙ্গে আরও একজনের থাকার কথা। [আরো পড়ুন]
Read More
শর্তহীন
কী উলটো-পালটা হাওয়ার একটা দিন। মুখের, ঠোঁটের চারপাশে বিঁধছে, ঠোঁট দুটো একবার চেটে নিলেন তিনি। শীতাতপনিয়ন্ত্রক জামাকাপড় পরে বেরোলে ঠান্ডা-গরম কিছুই তেমন গায়ে লাগে না—কিন্তু মুখটাকে বাঁচানো যায় না। বড়ো কঠিন নির্দয়ী আবহাওয়া। কাঁচাপাকা চুলগুলো বিশ্রস্ত। সেই পুরোনো দিনের অধ্যাপকদের মতোই লাগে প্রফেসার আবিদকে। হেঁটে চলেছেন সুদীর্ঘ [আরো পড়ুন]
Read More
দি কোরিয়ার
“সারা আমাকে বাঁচাও সারা…ঘুম থেকে ওঠো” অসহায় কণ্ঠে চিৎকার করছিল ছেলেটা আর ক্রমে একটা ডিজিটাল চোরাবালির মধ্যে ডুবে যাচ্ছিল। ছেলেটার মুখটা দেখে কয়েকবার মনে হচ্ছে ভীষণ চেনা, কিন্তু স্মৃতির অতল হাতড়েও কোনো নাম উঠে আসছে না। এদিকে ছেলেটা ক্রমে তলিয়ে যাচ্ছে। এবার দেখা গেল আর একটি মুখ ,মাথায় টুপি, মূখে চাপ দাড়ি, ছেলেটা ডুবে যাওয়ার ঠিক আগের [আরো পড়ুন]
Read More
অদ্বিতীয়া
পূর্বের প্রতিধ্বনি
যন্ত্রের কোনো স্বপ্ন হয় না ওরা বলে। ওরা বলে, মাতৃগর্ভ ভবিষ্যৎদ্রষ্টা নয়।
আমার জন্ম মৃদু মন্ত্রোচ্চারণ ও ধুপের ধোঁয়ায় আবিষ্ট এক গুহার মধ্যে। মায়ের দুই হাত আমার প্রথম আধার। একসারি আবছায়া মুখের সারি আমায় ঘিরে মৃদুকণ্ঠে গান গেয়েছিল। অরণ্যের কুয়াশাঘেরা সেই সন্ধ্যায় আমার কণ্ঠের হাড়ে এক বৃদ্ধা তার অশীতিপর আঙুল ছুঁইয়ে যে নাম [আরো পড়ুন]
Read More
কুরুক্ষেত্র হাইওয়ে
তিন বসন্ত সতেরো দিন পরে এবার বুঝি প্রতীক্ষার অবসান। শেফালি নদীর কোলে পলাশপুর গ্রাম ছেড়ে পালানোর কাহিনি বহুদিন হল স্বেচ্ছায় মনের কোণে নির্বাসিত করেছে রীতা। অকারণে নিজেকে অস্থির করতে চায় না বলে। মশালের দাউদাউ রক্ত যখন হিংস্র ছুটে বেড়াচ্ছিল তাদের গ্রামের কিনারায় রীতার হাসির উচ্ছ্বাসে ঘুম ভেঙে ককিয়ে উঠেছিল শহর-সড়কের দু-ধারে ধোঁয়াটে [আরো পড়ুন]
Read More
ড. রবি রায়ের বক্তৃতা
গতকাল ড. রবি রায়ের সঙ্গে মেক্সিকো সিটি শহরে এসে পৌঁছেছি। কয়েকদিন বাদে এখানে এক বিরাট বিজ্ঞান অধিবেশন শুরু হচ্ছে। আমি একজন বিজ্ঞান-সাংবাদিক। এই সুদূর দেশে আসার উদ্দেশ্য বিজ্ঞান অধিবেশনকে কভার করা। কাগজের সম্পাদক মশায় আমাকে এত খরচপত্র করে পাঠাতেন কি না সন্দেহ। কারণ কোনো বিজ্ঞান অধিবেশন কভার করার কোনো দায়িত্ব কোনো দৈনিক সংবাদপত্রের আছে [আরো পড়ুন]
Read More
আঠা
[গল্পটি শ্রী সৌবর্ণ দাসের সনির্বন্ধ অনুরোধে, শ্রী প্রেমেন্দ্র মিত্রের অবিস্মরণীয় চরিত্র “ঘনাদা”-কে নিয়ে একটি আধুনিক গল্প লেখবার প্রচেষ্টা মাত্র। প্রচেষ্টাটি সৌবর্ণ দাস-কেই উৎসর্গ করলাম।]
“আঠা।”
“আঠা!! হেঃ হেঃ, জেঠু, কীসের আঠা? গঁদের আঠা, না ভাতের আঠা?”
***
ব্যাস, তার পর থেকেই ৭২ নম্বর বনমালি নস্কর লেনের মেস বাড়িটা সেই যে থমথমে হয়ে গেল, সে গুমোটটা আর আজ এতদিনেও কাটল না!
Read More
রাষ্ট্রপতির বিজ্ঞান স্যার
মেসের শূন্য তক্তপোশে বাচ্চুদার ফেলে-যাওয়া বিয়ের কার্ডটা উলটে-পালটে দেখতে দেখতে দীর্ঘশ্বাস ফেলল সোমেন। বাইরে রাস্তায় রাশি রাশি বোলতার মতো বোঁ বোঁ আওয়াজ করতে করতে ছুটে যাচ্ছে গাড়িগুলো। আজ শনিবার; বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু ফিরে গিয়ে বাবা-মায়ের সামনে দাঁড়াতেও যেন এখন লজ্জা লাগে। লোকের জমিতে ভাগচাষ করে বাবা তার মেসের ভাড়া দিচ্ছে [আরো পড়ুন]
Read More
সৌরসংঘাত
ঈশিকারি গ্রামটা রাতারাতি পালটে গেল।
এরকম যে হবে, তা অবশ্য অনেকদিন ধরেই গাঁওবুড়ো আকিরা বলে আসছিল। সে নাকি স্বপ্ন দেখেছিল এমন এক দিনের। সে নাকি মাঝে মাঝেই ফিরে দেখে সে স্বপ্ন।
কী স্বপ্ন? শুধোলে তার শুকনো হাড়সর্বস্ব দেহটা কেঁপে কেঁপে উঠতে থাকে। ঝোল্লা জামার হাতা নাচতে থাকে, কারণ হাত নেড়ে নেড়ে কোন এক অমঙ্গলকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে থাকে বুড়ো।
Read More
উত্তরাধিকার
পৃথিবী, ১০০ অ্যানো এক্সটিঙ্কসনিস
আকাশটা হলদেটে কমলা হয়ে আছে, হালকা পোড়া পোড়া গন্ধে ছেয়ে আছে চারিদিক, যেন দাবানল লেগেছে কোথাও। না, দাবানল আর লাগবে কীভাবে? গাছ থাকলে তবে না দাবানল। এটাই এখন স্বাভাবিক আবহাওয়া। চাপা একটা নিশ্বাস পড়ে দেবদত্ত ৭১৩-র। আড়চোখে পাশে দাঁড়ানো মুস্কো চেহারার বটটার দিকে তাকায় সে। এটা জিওলজি বিভাগের সন্ধানী বট। [আরো পড়ুন]
Read More
বুদ্ধবান্ধব্য
বুদ্ধর সঙ্গে আমার বন্ধুত্বটা যে ঠিক কবে শুরু হল, তার থই পাই না আজকাল। বুদ্ধ আমার কলেজের জুনিয়র। কিন্তু যদ্দূর মনে পড়ে, কলেজে থাকতে সাত জন্মে কথা হয়নি আমাদের। আর এখন এমন কথা হয় যেন সাত জন্মের পরিচয়। যেসব ঘাঁটা ঘাঁটা ভাবনাচিন্তা আমায় রাত জাগিয়ে রাখে, চক্রাকারে ঘুরিয়ে চলে মাসের পর মাস, বুদ্ধ একটু আভাস পেলেই তার পুরোটা বুঝে ফেলে আমাকে বুঝিয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
ক্ষমা
কান খাড়া করে জেগে রয়েছি আমি। শোনার চেষ্টা করছি, যদি কিছু শুনতে পাওয়া যায়। এক নির্মম নিস্তব্ধতার মধ্যে সময় কাটছে আমার। ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে অনেক আগেই। এবার বোধহয় উন্মাদনার দিকে এগোচ্ছি আস্তে আস্তে।
প্রথমদিকে চিৎকার করেছি, কেঁদেছি, রেগে গর্জন করেছি… কোনো কিছুতেই কোনো উত্তর পাইনি। পায়ে মোটা একটা শিকল বাঁধা আমার। সেটা ধরে খুঁজতে [আরো পড়ুন]
Read More
দমের খেলা
“হাওয়ার ঘরে দম আটকা পড়েছে…”
(ফকির লালন শাহ, লালনগীতিকা, পৃঃ ২৪৬)
“পদার্থও পঞ্চত্বপ্রাপ্ত হইয়া থাকে—পদার্থ সম্বন্ধে পঞ্চত্ব কথা প্রয়োগ করা ভুল; কারণ রেডিয়ামের গুঁতা খাইয়া পদার্থ ত্রিত্বপ্রাপ্ত হয়, অর্থাৎ আলফা, বিটা ও গামা এই তিন ভূতে পরিণত হয়। এইরূপে পদার্থের অস্তিত্ব যখন লোপ হয় তখন অপদার্থ শূন্যে মিলিয়া যায়। কিন্তু যতদিন পার্থিব [আরো পড়ুন]
Read More
অনৈতিক
ঘুম ভাঙার পর একটা হালকা আমেজ শরীরে-মনে লেগে থাকে। কিছুক্ষণ সেটা উপভোগ করে সুমন চোখ খুললেন। মারিয়াকে ডেকে বললেন কফি দিতে। তারপর ব্রাশে পেস্ট চাপিয়ে বাথরুমে ঢুকলেন।
বাথরুম থেকে বেরিয়ে দেখলেন, মারিয়া শুকনো মুখ করে দাঁড়িয়ে আছে। তাঁকে দেখে বলল, সামথিং রং…। আই কান্ট স্টার্ট দ্য কফি মেশিন।
সুমন কিছুটা অবাক হয়ে বললেন, মেশিন খারাপ হবে হয়তো।
Read More
প্রোজেক্ট রেজ়ারেকশন
“কেমন বোধ করছেন এখন?”
“নেভার ফেল্ট বেটার।”
অশীতিপর আইজ্যাক হুবারম্যান স্মিত হেসে বললেন।
বৃদ্ধের উত্তর শুনে গিরিজা একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল।
যাক, এতদিনের পরিশ্রম অবশেষে সফল হয়েছে।
হুবারম্যানের কেসের এই সাফল্যই প্রোজেক্ট রেজ়ারেকশনকে তার পরবর্তী ধাপে পৌঁছে দেবে।
স্যার বেঁচে থাকলে আজ কত খুশি হতেন।
ডক্টর গিরিজা চন্দ্রশেখরণ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।
Read More
নহি যন্ত্র
আমি গতকাল, বা আরও নিখুঁতভাবে বলতে গেলে, মোটামুটি পঁচিশ ঘণ্টা আগে একটি ওয়েবসাইটে লগ ইন করতে বসেছিলাম।
সাইট ওপেন হতেই লগ ইন ক্রেডেনশিয়ালসের পেজ আসার আগেই সামনে একটি ছোট্ট মেসেজ দেখতে পাই আমি, ‘আই অ্যাম নট এ রোবট।’ পাশে একটি চৌকো বাক্সো। বাক্সের উপর ক্লিক করে নিজের অযান্ত্রিকতার প্রমাণ দিই। এরপরই আমার কাছে ন-টা ছবিসমৃদ্ধ একটি উইন্ডো [আরো পড়ুন]
Read More
স্বপ্নে দেখা
স্টেজে সৎপাত্র আবৃত্তি হচ্ছিল। লক্ষাধিকবার শোনা আমার, ছোলা চিবোতে চিবোতে নন্দিনীকে বললাম, “কাল একটা অদ্ভুত স্বপ্ন দেখলাম, জানিস?”
“তা-ই?”
“হ্যাঁ।”
“ও।”
“দূর মড়াখেগো, জানতে চাইবি না কী স্বপ্ন?”
“আমি কিছুই শুনতে পাচ্ছি না। আপাতত গঙ্গারাম আমার পাত্র হিসাবে কানের সামনে নাচছে। এটা শেষ হোক, তারপর ফুচকা খেতে গিয়ে শুনব।”
যথারীতি ফুচকা খেতে গিয়ে কথাটা [আরো পড়ুন]
Read More
হররল্যান্ড
অ্যালিসের আর কোনো কিছুতেই মন বসছে না। ছোট্ট ভাইটা যে কোথায় চলে গেল! দুধের শিশুটাকে রাতের অন্ধকারে এইভাবে কে তুলে নিয়ে গেল? দু-চোখের পাতা কিছুতেই আর এক করতে পারছে না অ্যালিস। চোখ বন্ধ করলেই ভাইয়ের মুখটা ভেসে উঠছে। বাড়ির গভর্নেস মার্থা অ্যালিসকে বলেছিল, ওর ভাই চেশায়ারকে নাকি এক ডাইনি নিয়ে চলে গেছে। আচ্ছা, মার্থা কি সত্যি কথা বলছে? উইচেসরা [আরো পড়ুন]
Read More
দেবতাত্মার সন্ধানে
তাঁর প্রপিতামহের ভবিষ্যদ্বাণী যে এত তাড়াতাড়ি সত্যি হয়ে যাবে তা গণকশ্রেষ্ঠ পালম্য বুঝতে পারেননি। এই ব্রহ্মাণ্ডের নৈমিত্রিক কোণে অবস্থিত দিমিত্রি গ্রহের পরিমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়েছে তেজস্ক্রিয় বিষ আর জীবনধারণের সমস্ত উপকরণকে দূষিত করে দিয়েছে। এমনটা হবার ভবিষ্যদ্বাণী তাঁর প্রপিতামহ করেছিলেন, কিন্তু গণনা অনুযায়ী সেই সময়কাল আসতে [আরো পড়ুন]
Read More
বেহুলা
মায়া-পৃথিবী
সিলভার বেইজ প্রকাণ্ড ঘরটির সঙ্গে যেন মিশে গেছে মেয়েটির সুদীর্ঘ সুঠাম চেহারা। খুব ছোটো ঝকঝকে রুপোলি আর সোনালি-মেশানো চুল, পরনে একটা মোছা-মোছা নীল রঙের টি-শার্ট আর ছোটো শর্টসের নীচে ঝমঝম করছে স্বাস্থ্য। দাঁড়িয়ে-থাকা অবস্থাতেও তার মধ্যে চিতাবাঘের ক্ষিপ্রতা স্থির বিদ্যুতের মতো স্তব্ধ, কিন্তু মুখটা একদম উলটো। বড়ো বড়ো নীল চোখে [আরো পড়ুন]
Read More
দাদুর বাক্সো
দাদু যে দুটি জিনিস অর্কর জিম্মায় রেখে গেলেন, সে দুটি নিয়েই মহাসমস্যায় পড়েছে সে। দাদু মানে, বাবার দূর সম্পর্কের অকৃতদার কাকা, যদিও সম্পর্ক দেখে দূরত্ব বোঝা দুষ্কর। আর সে কারণেই শেষ বয়েসটুকু এ বাড়িতে কাটিয়ে গেলেন তিনি, কারও কোনোরকম অমত ছাড়াই।
প্রথমটা একখানা বাক্সো, যেটা প্রায় খালিই বলা যায়। এই বাক্সোটা যখন বানিয়েছিলেন, [আরো পড়ুন]
Read More
সময় গেরোয়
সেবারে গ্রীষ্মের ছুটিতে স্বাস্থ্য উদ্ধারের আশায় মাস খানেকের জন্য এক হিল টাউনে গিয়ে উঠেছিলাম। জায়গাটার নাম সংগত কারণেই উল্লেখ করছি না। সেখানেই ঘটনাচক্রে প্রফেসর সত্যেন সেনের সঙ্গে আমার দেখা হয়।
যারা বিজ্ঞান জগতের টুকটাক খোঁজখবর রাখেন তাদের অনেকের হয়তো নামটা চেনা মনে হবে। পদার্থবিজ্ঞানের নামকরা এই গবেষক এবং শিক্ষক বছর কুড়ি [আরো পড়ুন]
Read More
তোমাদের ছাড়া
২০৯০ খ্রিস্টাব্দ
তোমরা যখন আমাদের ছেড়ে চলে গেলে, তখন দিগন্তের প্রতিটা কোনা ঢেকে গেছিল বিষাক্ত, তেজষ্ক্রিয় মাশরুম মেঘে। বাতাস ভারী হয়ে যেত প্রাণীদের আর্তনাদে, যদি অবশয় যথেষ্ট সংখ্যায় প্রাণী তখনও বেঁচে থাকত। কিছু মানুষ বেঁচে ছিল, তারাও আমাদের সঙ্গে আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখল তোমাদের মহাকাশযানের আলো। মহাকাশযানটা যখন তোমাদের নিয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
সত্য
দশদিকে যেন যুদ্ধ শেষের নিঃশব্দ প্রহর। যেদিকে তাকাই সেদিকে কেবল রাত্রির প্রকাণ্ড নিকষ সরোবর।
কোথায় আমি? কে নিয়ে এল ভ্রষ্ট এই অন্ধ মৃত্যুজপ।
কিছু কথা যেন আবছা মনে পড়ে।
***
ইউনিভার্সিটির বিশাল অডিটরিয়ামে আমার কথাগুলো গমগম করে ছড়িয়ে যায়। নিঃশব্দে শোনে মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা।
“আমাদের ইন্দ্রিয়গুলো কি আমাদের বাস্তবের বস্তুনিষ্ঠ সত্যটা [আরো পড়ুন]
Read More
মাংসাশী ভেড়ার রহস্য
বাংলার বাইরের একখানা ইংরাজি খবরের কাগজে এক চাঞ্চল্যকর খবর বেরিয়েছে।—“এই অঞ্চলের সেনোরিয়া জঙ্গলের এক গবেষণাগারের বিজ্ঞানী তাপস সেনকে তার পোষা ভেড়ার দল মেরে খেয়ে ফেলেছে। তাপস সেনের মাইনে করা চারজন লোক রক্তাক্ত অবস্থায় সংশ্লিষ্ট থানায় এসে ওই সংবাদ দিয়েছে। তারা আর ওই বাড়িতে ফিরে যেতে চাইছে না।”
কাগজখানা আমি রাখি। খবর দেখে চমকে [আরো পড়ুন]
Read More
বঙ্কুবাবুর গল্প
পুরুষ্ট বেগুনিদের একাদশতমটিকে মুখে চালান করে বঙ্কুবাবু বললেন, ‘বেগুনি খাই বটে, তবে বেগুন আমি পছন্দ করি না। বেগুন দেখলেই আমাদের থার্ড মাস্টারমশাইয়ের গিন্নির কথা মনে পড়ে যায়। মনে পড়ে যায়, তাই শিউরে উঠি। আহা, বেগুন খেতে বড্ড ভালোবাসতেন!’
বৃষ্টির সন্ধ্যায় আড্ডা জমেছিল। বুড়ির জ্যেঠিমা ভেতর থেকে গরম বেগুনি আর মুড়ি সাপ্লাই করেছেন। চোখ [আরো পড়ুন]
Read More
ড. ওয়াগনারের পরাজয়
[ভূমিকা: এ কাহিনি লেখার কোনো ইচ্ছেই ছিল না। কী হবে লিখে? অধ্যাপক ফেডিনস্কিই যখন পৃথিবী থেকে চলে গেছেন তখন তাঁর ডায়েরি প্রকাশ করা মানে দুঃখ বাড়ানো ছাড়া আর কি? কিন্তু লিখতে আমাকে হলই শেষ পর্যন্ত। আপনারা হয়তো বলবেন, কেন? আমার আনন্দের ভাগ যদি আপনাদেরও না দিতে পারি তবে মানুষ হয়ে বাঁচার কোন মানেই হয় না—আমার অন্তত তাই মত।]
১
Read More
নিষিদ্ধ ফল
পূর্বকথা
অনন্ত আঁধার বেয়ে বহে আসে তুচ্ছ সৃষ্টিবীজ
এই কাহিনির সূচনা কারিউজ নামে একটি মৃত গ্রহে। মরবার কথা তার ছিল না। ধনে, সম্পদে, শক্তিতে তার কাছাকাছি কেউ ছিল না গ্যালাক্সির গোটা বাহুটিতেই। তবু তাকে মরতে হল! নিজের সন্তানেরই হাতে। কারণ তার এক দেশপ্রেমিক সন্তান নিজের দেশের জন্য গড়ে দিয়েছল এক অমোঘ অস্ত্র। সে যন্ত্র গ্রহটির পেট থেকে [আরো পড়ুন]
Read More
ফাঁদ
এমন এক বিপদ থেকে তাদেরকে কে উদ্ধার করতে পারবে? বিজ্ঞান একাডেমির প্রধান দ্রিষিন মনে মনে ভাবলেন। ছেলেবেলায় প্রচুর গল্প পড়েছেন। গল্পগুলোতে সবসময় একজন নায়ক থাকত। সেই নায়কদের মধ্যে থেকে কেউ কেউ অস্বাভাবিক সব শারীরিক ক্ষমতার অধিকারী ছিল। দেখা যেত তারা তাদের এই ক্ষমতা দিয়ে, শরীরের অসামান্য শক্তি দিয়ে অনিষ্টকারী দস্যু কিংবা দানবদেরকে মেরেকেটে [আরো পড়ুন]
Read More
