বিতর্কঃ হুগো কি আজ আমেরিকান রাজনীতির ক্রীড়াক্ষেত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে?
লেখক: অনুলিখনঃ দীপ ঘোষ
শিল্পী: দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য
অনুলিখন – দীপ ঘোষ
অলংকরণ – দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য
অংশগ্রাহকঃ দীপ ঘোষ, ঋজু গাঙ্গুলী, বোধিসত্ত্ব চট্টোপাধ্যায়, কুনাল কর্মকার ও সোহম গুহ
পরিচয়ঃ
দীপ – কল্পবিশ্ব পত্রিকার সম্পাদক ও পাঠক।
ঋজু – কল্পবিজ্ঞান লেখক ও সমালোচক।
বোধিসত্ত্ব – কল্পবিজ্ঞানের আন্তর্জাতিক স্তরের গবেষক ও সমালোচক।
কুনাল – কল্পবিজ্ঞান উৎসাহী পাঠক।
সোহম – তরুণ কল্পবিজ্ঞান লেখক ও পাঠক।
(যেহেতু বিতর্কটির বিষয় আগে থেকে আলোচনা করে ঠিক করা হয়নি এবং তাৎক্ষণিকভাবে সবাই ফেসবুকে মতামত জানিয়েছেন, তাই ধারাবাহিকতা হয়তো সামান্য ব্যাহত হয়েছে। পাঠক আশা করি তাও আলোচনার রসস্বাদন করতে পারবেন।)
(** যেখানে ইংলিশে বলা হয়েছে তা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে বোঝার সুবিধার জন্যে )
দীপ (প্রেক্ষাপট)ঃ আগের বছর আমি একটি প্রবন্ধ লিখেছিলাম কল্পবিশ্বের জন্যে। বিষয়টি ছিল কীভাবে আমেরিকার অতি ডানপন্থী সমর্থকরা কল্পবিজ্ঞান ও ফ্যান্টাসির সর্বোচ্চ সম্মান হুগোকে দখল নেবার জন্যে চেষ্টা চালাচ্ছে। এদের উদ্দেশ্য ছিল স্পেকুলেটিভ ফিকশনের জগতে সাদা চামড়ার আধিপত্যকে সুনিশ্চিত করা, আর তার জন্যে অন্য যে কোনও মাইনরিটি গ্রুপের লেখকদের এরা বয়কট করার চেষ্টা করেছিল। সৌভাগ্যক্রমে তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়, হুগোয় গত পনের কুড়ি বছর ধরেই দক্ষিনপন্থী লেখক ও বুদ্ধিজীবীদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা, তাই সহজেই হুগোর নিরপেক্ষতা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছিল বলে মনে হয়েছিল। কিন্তু গত এক বছরের অনলাইন ও ফেসবুকে বিভিন্ন কল্পবিজ্ঞান গ্রুপের কথা ও পোস্ট থেকে মনে হচ্ছে সমস্যাটির মূল আরও অনেক গভীরে। প্রায় সব অনলাইন ফোরামেই দেখা যাচ্ছে আমেরিকার চরম ডানপন্থী ও বামপন্থী ভাবধারার মানুষদের সংঘাত। সামান্য মতের অমিলের জন্যে কেউ অন্যদের বর্ণবিদ্বেষী বলে দাগিয়ে দিচ্ছে তো একদল আরেকদলকে বামপন্থী দেশদ্রোহী বলছে। শুধু কল্পবিজ্ঞান নয়, সিনেমা বা কমিক্সের মতো মাধ্যমও এর থেকে বাদ পড়ছে না। অনেক ভালো কল্পবিজ্ঞান এই বিতর্কের মাঝে পড়ে যেমন জনসমক্ষে আসছে না তেমনি খুব খারাপ লেখা বা সিনেমাও সমালোচকদের দাক্ষিণ্য পাচ্ছে শুধু কোনও একটি দলকে সাপোর্ট করার জোরে। এর মাঝেই কল্পবিজ্ঞান ও ফ্যান্টাসির অস্কার হুগোর দিকে নজর ছিল সবার। হুগোর রেসাল্টও ছিল প্রত্যাশিত, কিন্তু তার পরেই প্রায় সমস্ত লেফট উইং সাইট ও সমালোচকরা এর মধ্যে ডাইভারসিটি, মাইনরিটি ও রাজনীতির জয় নিয়ে এলেন। চলুন আলোচনার মাধ্যমে বোঝার চেষ্টা করা যাক এই রাজনীতি কি কল্পবিজ্ঞানের সার্বিক উন্নতি করছে?
দীপঃ https://www.vox.com/2018/8/21/17763260/n-k-jemisin-hugo-awards-broken-earth-sad-puppies
এই আর্টিকাল থেকে পরিস্কার যে হুগো আমেরিকান পলিটিক্স আর আইডেন্টিটি ক্রাইসিস ছাড়া আর কিছুই নয় আজ। এর সঙ্গে ভালো সাহিত্যের কোনও সম্পর্ক আছে বলে আমার অন্তত মনে হচ্ছে না! মাইনরিটি, মার্জিনালিটি, ডাইভার্সিটি, পলিটিক্যাল লিটারেচার – এগুলোই এখন হুগোর ট্রেডমার্ক! নইলে একটি ফ্যান্টাসি সিরিজ এর পরপর তিনবার হুগো পাওয়াটা কি করে ডাইভার্সিটির পরিচায়ক হতে পারে সেটা আমার মতো পাঠকের বোঝার বাইরে। বিতর্ক চলুক।
ঋজুঃ বিতর্কের কোনও অবকাশ আর আছে কি? গুণমানের বদলে রাজনীতি আর প্রোপাগান্ডাই এখন একমাত্র মাপকাঠি হয়ে উঠেছে এই পুরস্কারগুলোর ক্ষেত্রে। মাঝে মধ্যে মনে হয়, অল সিস্টেমস রেড পুরস্কৃত হওয়ার অর্থ কি এই যে ওই আধা সাইবর্গ বিবেকতাড়িত মার্ডারবটটিকে কোনওভাবে গুয়ান্টামো-প্রভাবিত মার্কিন বিবেক ভাবা হচ্ছে? কে জানে।
বোধিসত্ত্বঃ কেন? হতে পারেনা কেন?
দীপঃ কোনটার কথা বলছ? আমার লাস্ট লাইনটা? আমি কিন্তু লিটারারি ডাইভার্সিটির কথা বলছি, রেসিয়াল ডাইভারসিটি নয়। এই পুরো আর্টিকালটায় আমি তো পলিটিকাল (আমেরিকান) স্পিচ ছাড়া কিছু পাচ্ছি না! কোথায় সাইফি আর কোথায় ফ্যান্টাসি নিয়ে আলোচনা?
বোধিসত্ত্বঃ আমিও লিটারর্যারি ডাইভারসিটির কথাই জিজ্ঞাসা করছি।
দীপঃ তুমি বলছ তাহলে লাস্ট তিন বছরে এর থেকে ভালো ফ্যান্টাসি বা সাইফি লেখা হয়নি? তাহলে এঁর হুগোকে ডিফেন্ড করতে পলিটিক্স আনতে হচ্ছে কেন? স্যাড পাপিদের হারানোটাই কি হুগোর উদ্দেশ্য? তাহলে তো উলটো দিকটা স্যাড পাপিদের থেকে ভালো হল কি করে?
যাইহোক এটা আমার মনে হয়েছে। বিরুদ্ধ মতামত শুনতেও আমি খুবই আগ্রহী। কিন্তু গত একবছর সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ডাইভারসিটি নিয়ে এত বিতর্ক দেখছি, এখন সত্যিই বিরক্ত লাগছে।
ইভন কয়েকদিন আগে লাস্ট জেডি এবং রোস ক্যারেকটারটা একেবারেই ভালো লাগেনি বলার জন্যে এক উৎসাহী সোশ্যাল জাস্টিস ওয়ারিওর ইমপ্লাই করেছিল আমি টক্সিক এবং রেসিস্ট স্টার ওয়ার ফ্যান! আমার ডিপিটা দেওয়া ছিলনা বলে বেচারা ভুল করে আমায় হোয়াইট ভেবেছিল! আমার তো পুরো এসএফ এনভাইরনমেন্টটাই টক্সিক লাগছে আজকাল।
বোধিসত্ত্বঃ Literary merit and political aims are not mutually exclusive. And if we want to gauge how much Jemisin’s books are loved, we can just check their goodreads ratings. Has something better been written in the last few years? Well, can one not say that about every single work out there? Is Harry Potter better than LoTR? And so on. Awards are about collective or specialist judgement as to best work, not necessarily about individual opinion. To take a Hugo example, is Moon is a Harsh Mistress better than Flowers for Algernon or Babel-17 (1967 Hugos)?
What is being discussed in the piece is something else entirely. To have the “merit” of a work from the margins recognized, we often need a suitable political atmosphere, and the creation of that political atmosphere is as much about fans as about critics. Right now, people like you and me cannot afford to get tired or bored, because for the first time, works by non-White authors are being read and recognized on such platforms globally.
দীপঃ লিটারেরি মেরিটের সঙ্গে পলিটিকাল এইমের সম্পর্ক থাকতে পারে আমি মানছি। কিন্তু দুটো পুরোপুরি এক তো নয়? তাহলে স্যাড পাপিরাও তাদের এইমের দিক থেকে ঠিক। হুগো পপুলিস্ট ভোটিং এ হয় সেটা ঠিক, কিন্তু তাবলে একটা ট্রিলোজি তিনবার হুগো পাওয়া অবাক করবে না? হ্যারি পটার যদি ৭ টা পরপর হুগো পেত অবশ্যই আমিও অবাক হতাম। আমি এটাই লিটারারি ডাইভারসিটি বলতে বোঝাতে চেয়েছি। তোমার সেকেন্ড পয়েন্টটাও আমি কিছুটা একমত অবশ্যই হচ্ছি, যে সুইটেবল পলিটিকাল অ্যাটমোস্ফিয়ার সত্যিই দরকার সবাইকে সমান অপারচুনিটি দিতে। কিন্তু সাধারণ নন পলিটিকাল এসএফ রিডার হিসেবে আমার চিন্তা সমান অপারচুনিটি আর সমান আউটকামের মধ্যে গুলিয়ে ফেলা হচ্ছে না তো? ডিজিটাল সেলফ পাবলিশিং এর যুগে কি এখন কাউকে গায়ের রঙের জন্যে আটকে রাখা সম্ভব?
কুনালঃ Racial diversity , different perspective, radical view point (?) all are welcome as we never had such variety but it is indeed a sad day when good literature requires political goodwill to gain recognition.
বোধিসত্ত্বঃ Why sad? It is a good day because there is finally political goodwill in the publishing industry that allows diverse works to get published and read, so we can indeed have all these viewpoints.
What’s really sad is that some people are unhappy that there is such political goodwill and that works by women/black people are being read.
কুনালঃ Bodhisattva, with all due respect to the authors, I just do not understand how could a trilogy be awarded for 3 consecutive years. Is it not the expansion of the world she had created with the first story? Has she put forward anything radical in the subsequent episodes? I do not think so. Agreed that in recent years we have been introduced to diverse viewpoints from different communities, but for that one should not thank the political goodwill of the publishers but one should be thankful for the sound commercial acumen of the business houses, who have recognised that people from other communities also have stories and ideas that might have a niche or universal appeal. Colour of the skin, ethnicity have no role to play other than in press and I disagree on this marketing strategy. A book should be judged by the story it tells and not by how bleak a background the author came from.
দীপঃ বোধি আমার মনে হয় না আমরা এই ফোরামে কেউ গায়ের রঙের জন্যে কোনও লেখককে আটকে দেওয়ার পক্ষে। কুনাল বা আমার বক্তব্যটা একেবারেই সেটা নয়। আমি হুগোকে দেখছি দারুণ কিছু সাইফি বা ফ্যান্টাসির বেঞ্চমার্ক হিসেবে। সেখানে পলিটিকাল আইডেন্টিটিটা এতটাই চলে আসছে সামনে যে সেই বেঞ্চমার্কটা সামহাউ অবস্কিউওর হয়ে যাচ্ছে আমদের কাছে। গার্ডিয়ানের রিভিউটা কিন্তু আমার ভালো লাগল, আমি ট্রিলোজির প্রথম বইটা কিনলাম ও পড়ার জন্যে। কাল কিন্তু কোনও স্যাড পাপির লেখা ভালো বই পেলেও আমি অবশ্যই পড়ে দেখব, গায়ের রঙ বিচার করব না।
বোধিসত্ত্বঃ As for your long comment, my answer is this: it has come close to happening before with Orson Scott Card. Asimov’s Foundation series won a Hugo as best all-time series. It depends on how well a series is enjoyed rather than anything else. We are all open to our opinions as to whether any book or books deserve a Hugo.
But ethnicity definitely has a role to play in what gets published and read, as does political goodwill. And at least in the US context where this is coming from, it is of prime importance. Race determines that someone like Vox Day can call Jemison an ape, monkey, half-savage etc. When a majority of people hold opinions like that of Day, that means that works like Jemison’s will not be read or published, let alone awarded on “merit”. As someone who is very active in US, UK and European fandoms and academia, and also works on Indian and Bangla sf, I can safely tell you that “merit” is the least important criteria when it comes to getting published for writers, even today.
So yes, thank goodness for political changes and shifts. Keep the pressure up for 20-25 years and the landscape will finally look better. The shifts will ensure that in that future our Indian authors’ works will be read and published and awarded on their own merit (finally!), that toy stores will carry female marvel/Star Wars character toys for our daughters and so on (Dip knows what I am talking about). Political goodwill and sound business acumen are also not mutually exclusive.
দীপঃ বোধি ভক্স ডে কে যারা আগে সিরিয়াসলি নিত তারা কি সবাই দল পালটছে নতুন দিনে? এরকম কিছু এক্সট্রিমিস্ট তো থাকবেই, এরা তো আউটলায়ার। যারা ট্যানকে ইন্সটাগ্রামে গালি দিয়েছে তারাও আউটলায়ার, কিন্তু তা বলে সে এশিয়ান বলে তার ক্যারেক্টারটা দারুণ হয়ে যাবে সেটাও ঠিক না। আর যারা বলছে লাস্ট জেডি খুব খারাপ সিনেমা তারাও সব এবিউজার আর রেসিস্ট হয়ে যাবে সেটাও ঠিক না। এটা কি কোনও আর্টের জন্যে উপযুক্ত পলিটিক্যাল এনভাইরনমেন্ট? আমি কিন্তু গলার জোর লিবারালদেরই বেশি দেখছি কন্সার্ভেটিভদের থেকে। যাই হোক লাস্ট প্যারাতে তুমি কিন্তু স্বীকার করছ নেক্সট ২০-২৫ বছর আমাদের বায়াসড থাকা উচিৎ প্লে ফ্লিড সমান করার জন্যে। আই হোপ তুমি ঠিক বলছো, নইলে নেক্সট ২০-২৫ বছরে অন্য কোনও র্যাডিকাল গ্রুপ লিটারেচার গ্রুপকে দখল করে নিলে খুব খারাপ লাগবে।
বোধিসত্ত্বঃ That’s the whole point, Dip. The racist attacks on Tran are of a different character – quite a bit of the attack and trolling directed at her are because of her race, rather than any attacks on the character itself. I have been on Star Wars panels where people openly say we don’t like XYZ character, whether it’s Tico or Poe or Holdo or any of the other characters. But the race or gender of the character is not an issue.
And as for some other radical group seizing it and so on, or whether we should replace Anglo centrism with some other centrism, I proposed alternative ways of thinking in a long article (which, incidentally, also won the Strange Horizons readers’s poll, and was one of the most cited articles in the SF field in 2013 and 14):
কুনালঃ এই বছরে যা বই পড়েছি তাতে আমার মনে হয়েছে কিন্তু নিউ ইয়র্ক ২১৪০ এর হুগো পাওয়া উচিৎ ছিল।
ঋজুঃ আমি Bodhisattva Chattopadhyay-এর উদ্দেশে তিনটি কথা সবিনয়ে নিবেদন করতে চাই।
(১) কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যকে সাদা চামড়ার ‘দখল’ থেকে মুক্ত করার ভাবনাচিন্তা যতটা ভালো, সেটাকে সত্যিকারের মুক্তাঙ্গন না বানিয়ে গাত্রবর্ণ, লিঙ্গ, বা জাতির ভিত্তিতে করতে চাওয়ার চেষ্টা ততটাই খারাপ। পুরো আর্টিকল, এবং সাম্প্রতিক পুরস্কার প্রদানের ভিত্তি কিন্তু এক নতুন ‘দখল’ বা খবরদারির কথাই প্রমাণ করছে। সৎ সাহিত্য এর দ্বারা পালিত হয় না।
(২) এই পজিটিভ অ্যাফার্মেশনের নামে তথাকথিত ‘অবহেলিত’ সম্প্রদায়কে অত্যধিক গুরুত্ব দিতে গেলে কী হয়, তা দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দল থেকে শুরু করে ভারতে মেধার বিকাশ, সবকিছু দেখলেই বোঝা যায়।
(৩) আমরা পাঠক। লেখক নারী না পুরুষ, হিস্পানিক না রোমানি, তাতে আমাদের কিস্যু যায় আসে না। কিন্তু এক কৃষ্ণাঙ্গী মহিলা লিখেছেন বলেই সেটা সৎ বা উৎকৃষ্ট সাহিত্য হবে না, হতে পারে না। অলমিতি।
বোধিসত্ত্বঃ
১। সৎ সাহিত্য? সাহিত্য কি সেটা প্রত্যেক জেনারেশন আলাদা ভাবে ডিফাইন করে। Shakespeare wasn’t ‘sahityo’ back in his day, but regular popular entertainment. আর বাংলায় কল্পবিজ্ঞানকেও প্রপার সাহিত্য বলে ভাবে না অনেকে, সৎ সাহিত্য অনেক দূরের কথা।
২। অত্যাধিক গুরুত্ব? যেখানে কোনও গুরুত্বই দেওয়া হয় না বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, সেখানে অত্যাধিক কথাটা আসে না। এটা positive affirmation বা affirmative action-র কথা নয়। দীপকে যে-টা উপরে বলছিলাম সেটাই রিপিট করছি – গুডরিডস এ জেমিসনের লেখা কতটা অ্যাপ্রিসিয়েটেড সেটা দেখতে। See how widely they are read and enjoyed by people of all kinds – ages, genders, ethnicities etc. And then maybe we should rethink that line about ‘positive affirmation’ or ethnicity or other stuff like the media circus is doing, and finally start talking about merit and how actual tastes are changing when it comes to sf or fantasy literature, instead of all this useless discussion. কুনাল কর্মকারের মতো আমারও নিজের মত যে NY2140-র জেতা উচিৎ ছিল। আর আমি নিজে ফ্যান্টাসি পছন্দ করি না। কিন্তু আমরা যদি পাব্লিক ওপিনিয়ান কম্পেয়ার করি, ইউসিং গুডরিডস অ্যাজ অ্যা বেসিস, আমরা দেখব পাবলিক ওপিনিয়ানে জেমিসন অনেক আগে। And Hugo – like most awards – is a lot about general public opinion.
৩। কিন্তু এক কৃষ্ণাঙ্গী মহিলা লিখছেন বলেই সেটা তিন বার হুগো পেতে পারে না, বা সেটা সৎ সাহিত্য হতে পারে না, সেটাই কি আপনি বলছেন? আর আপনার কিছু না এসে যেতে পারে, কিন্তু আপনি বলছেন সব পাঠকদেরই (“আমরা পাঠক”) কিচ্ছু এসে যায় না – সেটা একটু প্রব্লেমেটিক হয়ে গেল না?
Anyway, I have been in the sf field long enough to know we won’t change each other’s opinions on this. So I’m done.
সোহমঃ বাড়ি ফিরে এতক্ষণে দেখছি, তাও,
১) জেমিসিনের 5th season পড়ার পর আমি দীপদাকে পড়তে বলেছিলাম। দীপদার মনে পড়ছে হয়তো। ভদ্রমহিলা কি এথনিক গ্রুপ কিচ্ছু জানতাম না তখন। পরে জেনেছি। তার জন্য লেখা পড়া, না পড়া আটকায়নি।
এবার আসি খুব সাম্প্রতিক nat Geo ম্যাগাজিনে বেরোনো একটা আর্টিকল। (vol 5, ইস্যু 9 – এপ্রিল 2018). সেটার কথা অনুযায়ী 2060 সালের মধ্যে সাদা চামড়া আমেরিকাতে মাইনরিটি হয়ে যাবে। সেটা প্রবন্ধটা না পড়ে ওখানকার রাস্তায় দাঁড়ালেই বোঝা যাচ্ছে। বর্ণবিদ্বেষ যে ছিল সেটার প্রমাণ হল ট্রাম্প। Diverse voice বলতে লেখাকে বোঝানো হোক, লেখকের ব্যাকগ্রাউন্ডকে না। হ্যাঁ, হয়তো বইয়ের পেছনের জ্যাকেট পড়ে লেখক/লেখিকার জীবনসংগ্রামের সঙ্গে কিছুটা সহমর্মী হতে পারবো, কিন্তু একজন পাঠক হিসেবে আমার কাছে তাঁর লেখার প্রথম প্যারাগ্রাফ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যে কারণে রেমন্ড ফেইস্ট এর লেখার সঙ্গে মার্টিনকে এক আসনে বসানো যায় না। তেমনি রবিনসন আর জেমিসিনকেও যাবে না। সাইফাই সবার জন্য নয়। কিন্তু ফ্যান্টাসি, তা সে যদি সুচারুভাবে সম্পন্ন হয়, অনেক বেশি পাঠকগ্রাহ্য। ক্লার্ক থেকে নিউম্যান, Tolkien থেকে সারাহ মাস ঘুরে এসে কথাটা মনে হয়েছে আমার। হয়তো ঠিক, হয়তো ভুল। ব্যাক্তিবিশেষে পরিবর্তনশীল।
দীপঃ খুব সুন্দর বললে সোহম।
দীপঃ সবাইকে বলি, হয়তো এত সহজে আমরা একে অপরকে কনভিন্স করতে পারব না, তবে এই ডিস্কাশন থেকে অনেক চিন্তা ভাবনা উঠে এল যার অনেক কিছুই আমি ভাবিনি, সেটা স্বীকার করতে আমার লজ্জা নেই। সুতরাং আমি কিন্তু এটা অনেক ফলপ্রসু হিসেবেই দেখছি। বোধি এই টপিকে একজন পায়োনিয়ার স্কলার সেটা আমরা অনেকেই জানি, তাও আমাদের সঙ্গে আলোচনা আর বোঝানোর জন্যে এতক্ষণ সময় দেবার জন্যে তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। আমার মনে হয় একে অপরের ভিউ জানা বা বোঝার জন্যে আমাদের মধ্যে এরকম আলোচনা হওয়ার দরকার আছে। এই আলোচনাটা যদি গুছিয়ে লিখে পূজাসংখ্যায় নিরপেক্ষ ভাবে দেওয়া হয় তাহলে কি কারও আপত্তি থাকবে? সবাইকেই একবার দেখিয়ে নেওয়া হবে দেবার আগে।
সবাইঃ আমাদের কোনও আপত্তি নেই।
Tags: তৃতীয় বর্ষ তৃতীয় সংখ্যা, দীপ ঘোষ, দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য্য, পূজাবার্ষিকী, বিতর্ক, বিশেষ আকর্ষণ