আমার অদ্রীশদা
অনেকদিন আগের কথা। তখন দেব সাহিত্য কুটির থেকে দারুণ দারুণ পূজা সংখ্যা বেরোত – অলকানন্দা, নীহারিকা ইত্যাদি নামে। সেই বইতেই প্রথম অদ্রীশ বর্ধনের কল্পবিজ্ঞান এর গল্প পড়লাম। আমি চিরকালই সায়েন্স ফিকশনের ভক্ত। আইজ্যাক আসিমভের ভক্ত ছিলাম – চিন্তার মৌলিকত্বর জন্য। অদ্রীশ বর্ধনের কল্পবিজ্ঞানের সেই গুণ ছিল।
Read More
আমার চোখে অদ্রীশ বর্ধন
আমি তখন আমেরিকার শিকাগোয়। খুব সম্ভবত ২০০৬ সালের অক্টোবর। একদিন হঠাৎ পত্রভারতীর দপ্তর থেকে ত্রিদিবদার ফোন। অদ্রীশ বর্ধন আমার সঙ্গে কথা বলতে চান। উনি আমার লেখা প্রসঙ্গে ত্রিদিবদাকে ওঁর মুগ্ধতা জানিয়েছেন এবং সে প্রসঙ্গে আমার সঙ্গে কথা বলতে খুব আগ্রহী।
এটা যে সময়ের কথা সে সময় আমি কিশোর ভারতীতে বিজ্ঞানের [আরো পড়ুন]
Read More
প্রফেসর নাটবল্টু চক্র: অমৃতের সন্ধান, না সময়-নষ্ট?
প্রফেসর নাটবল্টু চক্র নামটার সঙ্গে পরিচিত নন, এমন বাঙালি পাঠক খুঁজে পাওয়া ভার।
কিন্তু তাঁকে কেন্দ্রে রেখে অদ্রীশ বর্ধন যে কাহিনিগুলো লিখেছেন, তাঁদের মধ্যে ক’টার নাম মনে করতে পারবেন এই মুহূর্তে?
নাম ছেড়ে দিন। নাটবল্টু চক্রর একটা কল্পকাহিনির কথাও মনে করতে পারছেন কি, যেটা পড়ার পরেও রেশ রেখে গেছে মনে–চিন্তায়–আত্মায়?
Read More
নস্যি, নাটবল্টু এবং …
অদ্রীশ বর্ধন—এই নামটা শুনলেই যেন চোখের সামনে অনেকগুলো ছবি দৃশ্যমান হয়ে ওঠে—কল্পবিজ্ঞান, রহস্য, উদ্ভট পরিস্থিতি, হাস্যরস এবং পরলোক!
কিন্তু, এই লেখার শিরোনামে নস্যি? [আরো পড়ুন]
Read More
অদ্রীশ বর্ধন ও তাঁর কল্পবিজ্ঞানের গল্প “হাঙরের কান্না”
Science Fiction এই আধুনিক সাহিত্য ধারাটির জন্ম পাশ্চাত্যে; ঊনবিংশ শতাব্দীতে৷ Science ও Fiction এই দুই [আরো পড়ুন]
Read More
ডিম
ঘরে ঢুকেই দেখছিলাম পার্শেলটা।
হেঁট হয়ে জাপানী স্ট্যাম্পগুলো দেখছিলেন প্রফেসর নাট–বল্টু–চক্ৰ। আমি আসতেই লিকপিকে বপুটাকে সিধে করে বলেছিলেন—এসেছো?
পার্শেলটার দিকে তাকিয়ে শুধোলাম—এই জন্যেই কি ডেকে পাঠালেন?
হ্যাঁ।
কি আছে এতে?
ডিম।
ডিম নিয়ে আশ্চর্য এই উপাখ্যানের এই হল শুরু।
Read More
কামিনী আসবেই…
কাঁঠাল গাছের ফাঁক দিয়ে জনক, সন্তানের মঙ্গল কামনার জন্য ইস্ট দেবতার কাছে প্রার্থনা করে যায়।
অবিশ্যি ওটা কাঁঠাল না হয়ে আম, জাম বা অন্য কিছু হলেও হতে পারতো, তবে যে বার বিপন্ন ভাব কাটিয়ে বাজারের নাভি থেকে খান চার বিচি ঠাঁই পায়, জানালার তল ঘেঁষে; সে বার জানা যায় নি সেগুলো কতটা গৌরব নিয়ে আসবে!
তবে এসেছিলো, আর সেই অর্থে ওগুলোর থেকে একটা, পূর্ণাঙ্গ কাঁঠাল গাছের রূপ নেয়;
Read More
জোঁক
অনন্ত মহাশূন্যের ভিতর দিয়ে লক্ষ লক্ষ বছর ধরে ভেসে চলছিল অচেতন বুভুক্ষু জোঁকটা। অগণিত শতাব্দী কেটে গেছে এক নক্ষত্র থেকে আর এক নক্ষত্রের মধ্যবর্তী মহাকাশ অতিক্রম করতে। তারপর এলো সূৰ্য। ধীরে ধীরে সঞ্জীবনী বিকিরণে স্নান করে উঠলো শুকনো আর কঠিন বীজগুটিগুলো। শুরু হলো অভিকর্ষের আকর্ষণ।
অসংখ্য ধূলিকণার সাথে মিশোনো সামান্য এককণা ধুলো বইতো কিছুই নয়। [আরো পড়ুন]
Read More
ড্রাগন প্রেয়সী
কয়েক হপ্তা হয়ে গেছে, ঘর ছেড়ে বেরোয়নি বাসুকি। প্রত্যেক দিন যথাসময়ে দরজার বাইরে খাবার–দাবার রেখে গেছে কলিঙ্গ– [আরো পড়ুন]
Read More
মহাকাল
ধীরে ধীরে বাড়ির সামনের ডেক চেয়ারে বসলেন প্রোঃ প্রিয়লাল বোস। চিন্তা আনন্দ উত্তেজনা সব মিলিয়ে কেমন যেন উত্তেজিত করে তুলেছে ওঁকে। পড়ন্ত বেলায় লনে এসে বসা প্রোঃ বোসের অনেক দিনের অভ্যাস। অনেক জটিল প্রশ্নের সমাধান খুঁজে পেয়েছেন এখানেই। চারপাশে তাকালে পরম শান্তিতে মনটা ভরে ওঠে। [আরো পড়ুন]
Read More
প্রোফেসর চ্যালেঞ্জারের নতুন অভিযানঃ সন্ত্রাস নগরী
এই কাহিনী ১৯১৪ সালের, লণ্ডন শহরের সর্বত্র শুধু যুদ্ধের গুজব। ইউরোপের মূল ভূখণ্ডে সাম্রাজ্যবাদী শক্তির মাথারা তাঁদের সৈন্যসামন্ত জুটিয়ে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে। এমন সময় শহরের দক্ষিণ অঞ্চলে একটি বিস্ফোরণ মানুষের মনে আরও বেশী ভয়ের সঞ্চার করল। সবার মনে একটাই আশঙ্কা, জার্মানি হয়ত অনেক দূর থেকে নিক্ষেপ করা যায় এমন কোন নতুন বোমা আবিষ্কার করেছে।
Read More
একজন দেবতার দিনলিপি
সিবাতারো ফেলিস রো এল ভেত্রো ডোরকাতনা … না এ উচ্চারনে লেখাটা ঠিক হবে না। যদি কোন দিন কোনোক্রমে এ লেখনী পৃথিবীবাসীর হাতে পৌছায় তাহলে তাদের পড়তে অসুবিধা হবে। যদিও এসব উচ্চারনের মানে আমি লিখে রাখছি। কিন্তু যেখানে আর কখনই ফিরে যেতে পারবো না সেখানকার সুবিধা সুবিধার কথা ভেবে লাভই বা কি? চরম সর্বনাশ থেকে সিবাতাদের বাঁচানোটাই আমার প্রথম উদ্দেশ্য ছিল সেটায় কিছুটা হলেও আমি সফল হয়েছি।
Read More
নবজাগরণের মানুষ
সকলে হর্ষধ্বনি করে উঠল, যখন ক্ষুদ্রকায় লোকটি তাদের জানাল, সে একজন বৈজ্ঞানিক।
তাত্ত্বিক পদার্থবিদরা তাদের কম্পিউটারগুলির পাশে দাঁড়িয়ে নৃত্য শুরু করল, ইলেকট্রনিক প্রযুক্তিবিদরা তাদের ইনস্ট্রুমেন্ট প্যানেল ছেড়ে উঠে দাঁড়িয়ে প্রবল উল্লাসে চিৎকার করে উঠল। বিশাল ল্যাবরেটরিটা জমায়েত হওয়া সাংবাদিকদের ঘন ঘন হাততালিতে ফেটে পড়ল। হেরাল্ড পত্রিকার সাংবাদিক [আরো পড়ুন]
Read More
চোঙদার’স ইনইক্যুয়ালিটি
বাসটা ঢিকিয়ে ঢিকিয়ে এগোচ্ছে। স্ট্যান্ড থেকে বেরনো ইস্তক হেল্পার আর কন্ডাক্টর সমানে হাঁকডাক চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু শেষ দশ মিনিটে বাসটা দশ হাত এগিয়েছে কিনা সন্দেহ। তবে এসব হল কথার কথা; সময় আর রাস্তার লম্বাই কি অত সহজ অংক মেনে [আরো পড়ুন]
Read More
সিঁড়ি
হরিহর হাজরা সদ্য সরকারী চাকরী থেকে অবসর নিয়েছেন। বছর তিন আগে স্ত্রী গত হয়েছেন। নিঃসন্তান হরিহর বাবুর কোন নিকট আত্মীয়স্বজন নেই। অল্পবয়সে বাবা মা মারা যাওয়ার পর দাদুর কাছে মানুষ হয়েছেন। দাদুও বহুদিন হল গত হয়েছেন। দূর সম্পর্কের এক ভাইপো আছে। আসামে থাকে, মাঝে মাঝে খোঁজ নেয়। তাই হরিহর বাবুর ঝাড়া হাত পা। বই পড়া ও নাটক দেখার অভ্যেস আছে তাই সময় [আরো পড়ুন]
Read More
টাইম মেশিন
হাসছে তারা। কেউ কেউ খুশিতে গলা ছেড়ে নানান রকম অঙ্গভঙ্গি করতে করতে গান করছে। কেউ হাত পা ছাড়িয়ে নাচছে। সবার মুখ খশিতে ঝলমল করছে। আর করবে নাই বা কেন? যে ইতিহাস তারা শুধুমাত্র ডিজি-বুকে পড়ে, আজ তারা সেখান থেকে ঘুরে এসেছে। আজ তারা অতীত ভ্রমণ করেছে। নিঃসন্দেহে ৩৫৫৬ সালের সব থেকে বড় আবিষ্কার এই টাইম মেশিনের আবিষ্কার। তবে সেইসঙ্গে সময় ভ্রমনের [আরো পড়ুন]
Read More
জিটা এবং আণবিক শয়তানি – জেট জন্ট
Read More
অগ্নিপথ ৪ – নিষ্প্রভ অনল
স্থানঃ নৈহাটী
কালঃ ২০১৭
পাত্রঃ প্রফেসর, ছাত্রী
১
কেমন আছো?
ভালো আছি স্যার। আপনি কেমন আছেন?
আমিও ভাল, তারপর বলো, তোমার ছাত্রীকে পড়াতে কেমন লাগছে?
খুবই ভালো স্যার। খুব স্মার্ট আর বুদ্ধিমতী।
তা ওঁকে নাকি আজকাল আগুনের ইতিবৃত্ত নিয়ে গল্প বলছ? (অগ্নিপথ এর আগের পর্বগুলো দ্রষ্টব্য)
হ্যাঁ স্যার, আর ওইজন্যেই আজ আপনার কাছে আসা। আমার কিছু কিছু ব্যাপার জানার আছে আপনার কাছ থেকে।
Read More
গ্রন্থ সমালোচনা – সেরা কল্পবিশ্ব ২০১৬
সেরা কল্পবিশ্ব প্রকাশের দিনকয়েকের মধ্যেই রাত জেগে দম বন্ধ করা গল্প, প্রবন্ধ, সাক্ষাৎকার, [আরো পড়ুন]
Read More
গ্রন্থ সমালোচনা – সব লজিকের বাইরে – অভিজ্ঞান রায়চৌধুরী
২০১৭ কলকাতা আন্তর্জাতিক পুস্তকমেলাতে পত্রভারতী প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত হয়েছে বর্তমান বাংলা কিশোর সাহিত্যের অত্যন্ত জনপ্রিয় লেখক অভিজ্ঞান রায় চৌধুরীর নতুন বই “সব লজিকের বাইরে“। গল্প সংকলনে রয়েছে মোট আঠারোটি গল্প, যার মধ্যে দশটি গল্পই [আরো পড়ুন]
Read More
চলচ্চিত্র আলোচনা – ভিলেজ অফ্ দ্য ড্যামড্ (১৯৬০) [সাইন্স-ফিকশন্ সিনে ক্লাবের উদ্বোধনী ছবি]
ভারতের প্রথম কল্পবিজ্ঞান ম্যাগাজিন ‘আশ্চর্য!’ এর উদ্যোগে স্থাপিত ‘সাইন্স ফিকশন সিনে ক্লাব’ ওই সময়ের নিরিখে একটা অনন্য নিরীক্ষার ফসল ছিল। ‘আশ্চর্য!’ [আরো পড়ুন]
Read More
কুইজ – ৬: অদ্রীশ কুইজ
কল্পবিশ্বের দ্বিতীয় বর্ষ প্রথম সংখ্যার কুইজের সমস্ত সঠিক উত্তর দিয়েছেন
বৈশম্পায়ন শীল
(এই প্রথম বার কেউ কল্পবিশ্বের কুইজের সমস্ত প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিয়েছেন)
এই সংখ্যার কুইজঃ
১. আমেরিকার এক বিখ্যাত কল্পবিজ্ঞান লেখক কলকাতার মার্কিন দূতাবাসে এসেছিলেন কেবলমাত্র অদ্রীশ বর্ধনের সাথে দেখা করতে। যখন অদ্রীশ বর্ধন তাঁকে প্রশ্ন করেন [আরো পড়ুন]
Read More
ভৌতিক প্রাসাদ
Read More
কল্পবিজ্ঞানের কুইজ – ৫
কল্পবিশ্বের তৃতীয় সংখ্যার কুইজের উত্তর কেউ সম্পূর্ণ ঠিক দিতে পারেননি।
১)বিখ্যাত জাপানি কাইজু দানব গড্জিলার স্রষ্টা কে?
২)ইউ-৭ ও ইউ-৯ একটি বিখ্যাত টেলিভিশন সিরিজের দুটি মুখ্য চরিত্রের কোড নম্বর। কোন সিরিজ ও কোন চরিত্র?
৩) নিচের ছবিটি কিসের ছবি?
৪) ইওনাগুনি মনুমেন্ট কি ও কোথায় অবস্থিত?
৫) এস এন ১৮৫, এস এন ১০০৬, এস এন ১০৫৪ – এই সংকেত গুলো কিসের সংকেত?
৬) কল্পবিজ্ঞান সাহিত্য [আরো পড়ুন]
Read More
সাইবারপাঙ্ক ধারা – সাহিত্য ও সমাজ
“সাইবারপাঙ্ক ধারা উত্তর-আধুনিক কল্পবিজ্ঞান সাহিত্যের একটি ধারা।‘উন্নততর প্রযুক্তি ও তার প্রভাবে জীবনের অবমূল্যায়ন’ এই ধারার প্রধান চরিত্রগত বৈশিষ্ট্য। ”
-উইকিপিডিয়া
‘সাইবারপাঙ্ক’ বা ‘অপযান্ত্রিক’ ধারা প্রথম সাহিত্যে উঠে আসে 1983 সালে; আমেরিকান লেখক ব্রুস বেথকে নিজের একটি গল্পের নাম দেন ‘সাইবারপাঙ্ক’। সেটা থেকে এই ধারাটি নিজের নাম পায়। ধারাটিকে [আরো পড়ুন]
Read More
একাদশ মাত্রার সন্ধানে
“প্রকৃতি আমাদের সিংহের লেজের ডগাটা শুধু দেখতে দেন। গোটা সিংহটা আসলে এত বড় যে সেটা একবারে দেখা সম্ভব নয়।”
ইউনিফায়েড ফিল্ড থিওরির অনুসন্ধানে ত্রিশটি ব্যর্থ বছর কাটাবার উপলব্ধির সারসংক্ষেপ বলা যায় এই বহু-চর্চিত উক্তিটাকে। ব্যর্থ বিজ্ঞানীটির নাম আইনস্টাইন। ব্যাপারটা একটু ভেঙে বলা যাক।
একেশ্বরবাদের তত্ত্ব ও বিশ্বাস মানুষের সভ্যতায় পুরোনো দিন [আরো পড়ুন]
Read More
অগ্নিপথ ৩ – আলোকচুল্লি
স্থানঃ হালিশহর
কালঃ ২০১৭
পাত্রঃ ছাত্রী ও শিক্ষিকা
|| ৩ক ||
– আজ কীসের গল্প বলবে?
– আজ কোন গল্প নেই।
– মুসা বা নিমোর মতন কেউ নেই? (অগ্নিপথ ও অগ্নিপথ ২ প্রবন্ধে দ্রষ্টব্য)
– না।
– তুমি ভুলে গেছ?
– কী ভুলব?
– কীসের গল্প আজ শোনাবে সেটা?
– আরে আজ কোন গল্পই বলব না। তোমার কাকা আজ তোমায় নিতে আসবে বলছিলে না?
– হ্যাঁ, সে তো দেরী আছে।
– বেশি দেরী নেই।
Read More
চলচ্চিত্র আলোচনা – Close Encounters of the Third Kind (1977)
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষদিকে ১৯৪৫ সালে হারিয়ে যাওয়া ফ্লাইট ১৯ এর এক ঝাঁক প্লেন খুঁজে পাওয়া গেল প্রায় তিরিশ বছর বাদে মেক্সিকোর কাছাকাছি সোনোরান মরুভূমিতে। ইঞ্জিন সম্পূর্ণ অক্ষত। এমনকি ম্যাপ আর চার্টগুলোও একদম ঠিকঠাক রাখা আছে। যে বৃদ্ধ মেক্সিকান ভদ্রলোক এই প্লেনগুলো রাতের অন্ধকারে নেমে আসতে দেখেছিলেন তার কথায়, ‘আলো জ্বলে উঠল মধ্যরাত্রিতে, [আরো পড়ুন]
Read More
বানভাসি
(洪水Kouzui)
অনেকদিন আগের বা সুদূর ভবিষ্যতের কথা (পাঠকের যা মর্জি ভেবে নিন), এক সৎ, কপর্দকহীন কিন্তু জ্ঞানী ভবঘুরে মহাবিশ্বের রহস্য উদ্ঘাটনের উচ্চাশায় একটা নদীর ধারে নতুন গড়ে ওঠা নীলচে রঙের লঙ্গরখানার ছাদে টেলিস্কোপ বাগিয়ে বসল। স্বাভাবিক ভাবেই টেলিস্কোপে চোখ লাগিয়ে কিছু গোদা গোদা নুড়ি পাথরের অর্থহীন ছোটাছুটি আর হরতাল বা অবরোধে আটকানো ট্রেনের [আরো পড়ুন]
Read More
অকাল তমসা (অন্তিম পর্ব)
[প্রথম পর্ব পড়বার জন্য এখানে ক্লিক করুন]
[দ্বিতীয় পর্ব পড়বার জন্যে এখানে ক্লিক করুন]
পর্ব-৩
মানবসভ্যতার ইতিহাস সম্পর্কে আমি যা যা পড়লাম এখনকার যেকোনো তথাকথিত পণ্ডিতের মাথা ঘুরিয়ে দেবার পক্ষে যথেষ্ট। বেশিরভাগই হায়ারোগ্লিফিকে লেখা থাকলেও আমি সেগুলো বুঝতে পেরেছিলাম ড্রোনিং মেশিনের সাহায্যে। তবে অন্যান্য বেশ কিছু খণ্ড এমন বিটকেল ভাষায় [আরো পড়ুন]
Read More
জীবনদাতা
১৪ই এপ্রিল, ৩০১৬:
আজ অনেকদিন পর আমার মায়ের সঙ্গে খেলতে এলাম পার্কে। তোমরা জিজ্ঞেস করতেই পারো, অনেকদিন পরে কেন? আমার মতন দশ বছরের বাচ্চার তো রোজই পার্কে আসা উচিৎ, তাই না? আসলে মা আমাকে নিয়ে আসতে লজ্জা পায়, তাই আর রোজ আসা হয় না। মা অবশ্য মুখে কিছু বলে না, বলতে পারার কথাও নয়। কিন্তু আমি সব বুঝতে পারি, তাই তো মা বলে আমার হেবি ব্রেইন, কোনও ইনডিউসড ইন্টেলিজেন্স [আরো পড়ুন]
Read More
ব্লু
যেহেতু পায়ের নিচে মেঝেটা সরু একফালি সাদা লিনোলিয়ামের স্ট্রিপ মাত্র, আর ধবধবে সাদা দেওয়ালটাই অর্ধবৃত্তাকারে বাঁক নিয়ে মাথার ওপরে ছাদ হয়ে গেছে, তাই রয়ের মনে হচ্ছিল, ও যেন একটা টানেলের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।
সামনে পড়ে ছিল নিরাপত্তা রক্ষীটির শরীর। হাতে ব্লাস্টার থাকলেও মৃত্যুকে সে ঠেকাতে পারেনি। শুধু তাই নয়, তার যন্ত্রণায় বিকৃত হয়ে যাওয়া মুখটা দেখে, ক’বছরের [আরো পড়ুন]
Read More
সবুজ মানুষ
“চুলে কি রঙ করেছ?”
সাতসকালে গিন্নির প্রশ্নটা শুনে শ্যামলবাবুর মেজাজ গেল সপ্তমে চড়ে। শ্যামলবাবুরা বংশানুক্রমে টাকের ধারক ও বাহক। মাত্র বত্রিশ বছর বয়সেই চকচক করছে জটায়ুর মতো মাথাজোড়া টাক। ঘাড় ও কানের ওপর যে ক’গাছা চুল বিশ্বাসঘাতকের মতো টিমটিম করছে সেগুলি নিয়েই সকাল সন্ধ্যে ঝাড়া কুড়ি মিনিট সময় অতিবাহিত করেন। কানের ওপরের চুল দৈর্ঘ্যে ফুটখানেকের [আরো পড়ুন]
Read More
বহ্ন্শোয়াইগা অ্যাল্পট্হম
গতকাল জিনিসটা মোটা টাকার বিনিময়ে তুলে দিয়েছি মিঃ রঘুনাথান-এর হাতে। সেটি কি জিনিস তা সমঝদার কেউ শুনলে হয় আমাকে পাগল ভাববে নতুবা শুধুই এক শখের কালেক্টর ভেবে নেবে যে কিনা এরকম একটি দুষ্প্রাপ্য, দুর্মূল্য জিনিসের কদর করতে শেখেনি। ভালো দাম পেয়েছি কি বেচে দিয়েছি! আসলে এরকম একটি ‘অ্যান্টিক আইটেম’ নিজের সংগ্রহে রাখার আগে সে সম্বন্ধে যে বেশ খানিকটা [আরো পড়ুন]
Read More
বিকল্প
তার মনে হলো সে হয়ত পথ হারিয়েছে। এতক্ষন ধরে সে নির্দেশিত পথেই চলছিল, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে যে ল্যান্ডমার্কটার কথা তাকে বলা হয়েছিল, সেটা পেরিয়ে এসেছে ভুলে। এই ঘিঞ্জি জায়গায় বেশ কিছুক্ষন এদিক ওদিক করার পর, সে বিরক্ত হয়ে হাল ছেড়ে দিল।
আচ্ছা – এই নোংরা প্যাঁচালো গলিঘুঁজি ছেড়ে বড় রাস্তায় উঠে আবার সেখান থেকে খোঁজ শুরু করলে কেমন হয়? ব্যাপারটা কেঁচে গণ্ডুষ হয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
অস্তিত্ব-বর্ণ
দীর্ঘ দুমাস নিস্তরঙ্গ ভাবে ভেসে আসা বিষ্ণুবাহন-৫ মহাকাশযানটা অবশেষে একটা মৃদুস্পন্দন তুলে হঠাৎ যেন জেগে উঠল। যানের যাত্রী পাঁচজন কিন্তু ইতিমধ্যেই উত্তেজনায় সজাগ। ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এক অভিযানের শরিক এই পাঁচজন। ক্রমশ মহাকাশযানের গতিবেগ কমে এল আর মহাকাশযানের স্বয়ংক্রিয় নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা তার গতিপথ সংশোধন করে তাদের গন্তব্যের [আরো পড়ুন]
Read More
পৈশাচিক খিদে
কোন কারণ নেই।
কেন সবসময় কারণ থাকতেই হবে? মানুষ শুধু কারণ খোঁজে, কিন্তু আসল কারণ গুলোর পেছনের যুক্তিকে কখনোই ব্যাখ্যা করা যায় না। এই যে মানুষের সমস্ত জীবন কেন এরকম? কেন শুধু এইভাবেই চলে, অন্য কোনভাবে কেন নয়?
এই ধরনের প্রশ্নকে কি কেউ কোনদিন ব্যাখ্যা করতে পেরেছে?
****
প্রচন্ড আক্রোশে দাঁতে দাঁত চেপে জানলার বাইরে তাকিয়ে মানুষটা ঠায় দাঁড়িয়ে রইল। কখনো [আরো পড়ুন]
Read More
চন্দ্রকুমারী
জাপানের এই উপকথাটা খুব আশ্চর্যরকমের সুন্দর। অনেকে বলে থাকেন আধুনিক কল্পবিজ্ঞানের গল্পের আদিরূপ এই উপকথাতেই প্রথম পাওয়া যায়। অনেকে আরো বলেন, উপন্যাস ইত্যাদির বীজও লুকোনো ছিল এই উপকথায়।
এক দেশে এক গরীব কাঠুরিয়া থাকতো। গ্রামপ্রান্তের ছোটো এক কুটিরে কাঠুরিয়া আর তার স্ত্রী বাস করতো। সকালবেলা দু’টি খেয়ে নিয়ে কাঠুরিয়া নিজের কুড়ুলটি আর ঝোলাটি নিয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
যাত্রাশুরু ‘সেরা কল্পবিশ্ব-২০১৬’
প্রিয় পাঠক,
আপনাদের প্রিয় পত্রিকা ‘কল্পবিশ্ব’২০১৬-এর জানুয়ারি মাসে পথচলা শুরু করে আজ অনেকটা পথ অতিক্রম করে এসেছে। আমাদের এই চলার পথে এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন ও আনন্দের পর্যায় আমরা পার করে এসেছি কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা ২০১৭-এ। এই বইমেলায় আমরা প্রথম আত্মপ্রকাশ করেছি বৈদ্যুতিন আকার-এর পাশাপাশি ছাপার হরফেও। প্রকাশিত হয়েছে কল্পবিশ্ব ওয়েব-ম্যাগাজিনের [আরো পড়ুন]
Read More
কার্লোস সুচলওস্কি কন-এর সঙ্গে এক অমলিন সন্ধ্যা
খবরটা দিয়েছিলেন শ্রদ্ধেয় শ্রী রণেন ঘোষ। গত ২রা জানুয়ারি, ২০১৭ তারিখ নাগাদ টাইমস্ অফ ইন্ডিয়ার ওই ছোট্ট খবরে উল্লেখ ছিল যে স্পেনীয় কল্পবিজ্ঞান লেখক কার্লোস সুচলওস্কি কন কলকাতায় বেড়াতে এসে ট্যাক্সিতে ফেলে আসা কিছু মালপত্র আবার ফিরে পেয়েছেন। রণেনবাবুর একান্ত ইচ্ছে ছিল যে আমরা কল্পবিশ্বের পক্ষ থেকে যেন ওঁর একটা সাক্ষাৎকার নিই। কিন্তু [আরো পড়ুন]
Read More
এক কল্প দুনিয়ার গ্রিনরুম
‘সেই বিষাক্ত জঙ্গলে তখন নতুন একটা নির্বিষ অঙ্কুর জেগে উঠছে ঠিক নউসকা’র হারানো গগলসের পাশে। ভয়ংকর ওহমেরাও জেনে গেছে যে তাদের এক নতুন বন্ধু হয়েছে যে তাদের এই অভিশাপ থেকে মুক্তি দেবে’। এভাবেই শেষ হয় অ্যানিমে (জাপানী ভাষায় অ্যানিমেশন) ছায়াছবি ‘নউসকা অফ্ দ্য ভ্যালি অফ্ দ্য উইন্ড’। এই শেষ কিন্তু আসলে একটা স্বপ্ন গড়ার কারখানার সূত্রপাত। [আরো পড়ুন]
Read More
জাপানি লাইট নভেল ও সায়েন্স ফিকশন
নদীর যেমন শাখা প্রশাখার মতই সাহিত্যেরও অনেক শাখা প্রশাখা থাকে। তার অনেকগুলিকেই আমরা বাংলা সাহিত্যে খুঁজে পাই, তারপরেও কয়েকটা শাখা আমাদের চোখ এড়িয়ে যায়। তেমনি একটা শাখার নাম হচ্ছে ‘লাইট নভেল’।
‘লাইট নভেল’-কে মূলত ইয়াং অ্যাল্ডাট ফিকশন বলা যায়। সাহিত্যের এই শাখার মূল উদ্ভাবক হচ্ছেন জাপানিরা। তারা ইয়াং অ্যাডাল্ট ফিকশনকে নিজেদের ভাষায় ভেঙে লাইট নভেল [আরো পড়ুন]
Read More
পরিকল্পিত ভবিষ্যৎ
অন্যান্য সমস্ত দেশের থেকে, জাপানের সহজাত ভাবে চির-অগ্রসর ও আধুনিক হওয়ার কারণ কি? আমি যখন ছোট ছিলাম, আমেরিকাই তখন ছিল ভবিষ্যতের পথপ্রদর্শক। আর জাপানের নাম শোনা যেত পুরনো টিনের রোবট আর নরম প্লাস্টিকের খেলনা মহাকাশচারী পুতুল বানানোর জন্যে। কিন্তু গত চার দশক ধরে, ভবিষ্যতের পৃথিবীর সাথে আমেরিকার বিশেষ সম্পর্কটি বিনষ্ট হয়েছে।
আশির দশকে, আমি এক বিশেষ [আরো পড়ুন]
Read More
সাইজ ডাজ ম্যাটার
ঘুমটা আচমকাই ভেঙে গেল। দেখলাম সামনে রাখা জলের গ্লাসটা কাঁপছে। কাচের ভিতরে এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে জলের শরীর। ক্রমশ বাড়ছে কম্পনটা।
ধড়মড় করে উঠে বসলাম বিছানায়। একটা কম্পন ছড়িয়ে যাচ্ছে বাড়িময়। কেমন যেন আশঙ্কায় সারা শরীরে শিহরণ খেলে গেল। ঘর থেকে বেরিয়ে বারান্দায় গেলাম। আর মুহূর্তের জন্য যেন আমার হৃৎস্পন্দন থমকে দাঁড়াল। একটা অতিকায় অমানুষিক পায়ের থাবা [আরো পড়ুন]
Read More
সম্পাদকীয়
প্রিয় পাঠক, বসন্ত এসে গেছে। না, কেবল বাংলা সিনেমার গান হয়ে ভেসে আসা নয়, একেবারে সশরীরে ল্যান্ডিং! যদিও শীত চলে যাওয়া আর গরম পড়ে যাওয়ার মাঝের এই সময়টা আগের মতো নেই, বদলেছে অনেকটাই। তবু বসন্ত তো বসন্তই। তার এলোমেলো মনকেমন হাওয়া আর একটু একটু করে বাড়তে থাকা দিনের বেলার ভিতর সে জাঁকিয়ে বসতে শুরু করেছে। আর সেই সময়েই আপনাদের সামনে এসে হাজির কল্পবিশ্ব। তার পঞ্চম সংখ্যা নিয়ে।
Read More
কল্পবিজ্ঞানের কুইজ – ১
নিয়মাবলী – প্রথম ১০ জন সম্পূর্ণ সঠিক উত্তরদাতার নাম পরবর্তী সংখ্যায় প্রকাশ করা হবে।
১) এইচ জি ওয়েলস্ এর টাইম মেশিন গল্পে সময় যাত্রী ভবিষ্যতে কতদূর গিয়ে মর্লকদের দেখা পেয়েছিল?
২) ১৯০২ সালে নির্মিত ছায়াছবি ল্যে ভয়াজে দঁস লা ল্যুন কার লেখা গল্পের চলচ্চিত্রায়িত রূপ?
৩) কোন গ্রহে টেরাফর্মিং এর কাহিনী নিয়ে কিম স্ট্যানলি রবিন্সন একটি ট্রিলজি লিখেছিলেন?
8) কল্পবিজ্ঞানে [আরো পড়ুন]
Read More
এ অনন্ত চরাচরে
“নাহং মনো সুবেদেতি নো ন বেদেতি বেদ চ।
যো নস্তদ্বেদ তদ্বেদ নো ন বেদেতি বেদ চ।।”
সম্যক জেনেছি এমন কথা মনে করি না। জানি না তাও নয়, আবার জানি – তাও বলতে পারি না। উপরিউক্ত বাক্যের অর্থ যিনি জানেন তিনিই সঠিক জানেন।
– কেনোপনিষদ (দ্বিতীয় খণ্ড, দ্বিতীয় শ্লোক)
এই অনন্ত চরাচরে, স্বর্গ মর্ত্য ছেয়ে কোন অমৃতের বরপুত্র এ মহাবিশ্বকে প্রত্যক্ষ করেছে? [আরো পড়ুন]
Read More
ছায়াশরীর
১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৩১, নিউ ইয়র্ক শহর। আবার একটা বড়ো লাইন সারি সারি মাথার। এই ধরনের সমারোহে অবশ্য এই শহরের নাড়ির যোগ হয়ে গেছে সেই দু-বছর আগে থেকে। অর্থনৈতিক মন্দার কারণে একের পর এক কলকারখানাগুলো বন্ধ। সরকারি উদ্যোগে রুটি বিতরণ চলেছে প্রায়ই, যার জন্য এই ধরনের লম্বা আর সর্পিল জন-অরণ্য! হয়তো সেই রকম কোনও এক লাইনই হবে এটা। আর একটু কাছে গিয়ে দেখে [আরো পড়ুন]
Read More
গ্রন্থ সমালোচনা- প্রফেসর শঙ্কুর শেষ ডাইরি
বইয়ের নাম: প্রফেসর শঙ্কুর শেষ ডাইরি
লেখক: বিশ্বজিৎ রায়
প্রকাশক: লালমাটি
মূল্য: ১০০/-
“প্রফেসর শঙ্কু” এই নামটা শুনলে সাহিত্যপ্রেমী বাঙালী মানসে নানা রকমের ভালোলাগার একটা মিশ্রণ হয়ত অজান্তেই ফুটে ওঠে। এই মিশ্রণের উপাদান কতকটা শঙ্কুর স্রষ্টা ক্ষণজন্মা এক বহুমুখী এক প্রতিভাবান পুরুষ শ্রেষ্ঠের প্রতি অবচেতন শ্রদ্ধা, কতকটা শৈশব-কৈশোরের সোনালী দিন গুলোকে [আরো পড়ুন]
Read More