রা-চীন
বিস্ফোরণের প্রবল শব্দে ঘুম ভেঙে ধড়মড় করে উঠে বসে কমল। মোবাইলের ঘড়িতে দেখে রাত তখন বারোটা তেত্রিশ। টেনে টেনে কয়েকটা বড়ো শ্বাস নেওয়ার পরও বুক ধড়ফড়ানিটা কমতে চাইছে না কিছুতেই। শব্দের উৎসের সন্ধানে বিছানা ছেড়ে জানলার সামনে এসে দাঁড়াতেই নাকটা কুঁচকে ওঠে কমলের – বাতাসে মিশে আছে বারুদের গন্ধ!
দিনটা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডে-ওয়ান। কেউ জানতেও পারেনি যে চুপিচুপি [আরো পড়ুন]
Read More
হুয়ানের বইটা
কুয়াশায় চারদিক জড়িয়ে থাকলেও সকাল সকাল প্লেন ধরবার তাড়া ছিল। ঘুম থেকে উঠেই তৈরী হয়ে ছুটলাম। ঘুম চোখেই এয়ারপোর্টের তিন নম্বর টার্মিনালের গেট ঠেলে ঢোকবার আগে মনে হল পুরো জায়গাটা আবছা সাদা পর্দায় কেউ ঢেকে দিয়েছে। গেটে আইডেন্টিটি চেক-এর পর ঢুকে পড়লাম ভেতরে। সিকিওরিটি চেক, লাগেজ ফাগেজের ঝামেলা মিটিয়ে লাউঞ্জের দিকে এগোতে থাকলাম। এখন একটা কড়া কফি চাই। ঘুম ঘুম ভাবটা কাটাতে হবে।
Read More
মঙ্গলগ্রহের মিঃ স্কাইগেক
“মঙ্গলগ্রহের মিঃ স্কাইগেক” কমিক স্ট্রিপটির প্রথম আবির্ভাব ১৯০৭ সালের অক্টোবর মাসে সিয়াটেল স্টার (Seattle Star) পত্রিকায়। লেখক ফ্রেড স্কেফের আর কার্টুনিস্ট আরমুন্ড ডি কন্ডের হাতে গড়ে উঠেছিল বিশ্বের প্রথম কল্পবিজ্ঞান কমিক স্ট্রিপ।
প্রায় এক শতাব্দী আগে একটি নিরীহ ভদ্র ভিনগ্রহী মিঃ স্কাইগেক পৃথিবীতে এসেছিল। সাথে এনেছিল শুধুমাত্র একটি নোটবই। সে পৃথিবীর [আরো পড়ুন]
Read More
শেষের সেই দিন (Days of Doom!)
Read More
এইচ পি লাভক্র্যাফট – জীবন ও সাহিত্য
“এই বিশ্বের বিপুল বিষয় বৈচিত্রকে মানুষের মনের ক্ষুদ্র বিস্তার কিছুতেই অনুধাবন করতে পারে না, আর তাই আমার বিশ্বাস, জগতের সবচেয়ে অনুকম্পার বিষয় হলো মানবমনের চিন্তার এই সীমাবদ্ধতা ।” ‘কল অফ খথুলু’ রচনায় এটিই লাভক্র্যাফটের প্রথম বানী বলা চলে। এর থেকে তিনি আমাদের একটা স্পষ্ট ইঙ্গিত দেন, যে তিনি এমন কিছুর একটা সন্ধান দিতে চলেছেন, যার রহস্য [আরো পড়ুন]
Read More
হারানো হ্যালোইন (একটি ফ্যান ফিকশন)
সন্ধ্যে প্রায় হয়ে এল। হাইওয়ের ধার দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে পাশ দিয়ে প্রবল গতিতে ছুটে বেরিয়ে যাওয়া গাড়ি গুলোর আলোয় মাঝে মাঝেই চোখ ধাঁধিয়ে যাচ্ছে অর্কর। অক্টোবরের শেষ। বেশ কনকনে ঠাণ্ডা পড়েছে ম্যাসাচুসেটস-এ – তার ওপর মাউন্ট গ্রেলকের কাছাকাছি বলে এই জায়গাটায় ঠান্ডা আরো বেশি।
আজ প্রায় সাত মাস হল আমেরিকার বস্টন শহরে কাজের সূত্রে এসে রয়েছে অর্ক। এই ক’মাস [আরো পড়ুন]
Read More
শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের সাথে কল্পবিশ্বের আড্ডা
“মঙ্গলে জল আছে কিনা জেনে কী হবে, আগে এই গ্রহটাকে বাঁচাও”
তিনি হেঁটে আসছেন। দু-হাতে বাজারভরতি ব্যাগ। মাথায় টুপি। পরনে টি শার্ট-পাজামা। আমাদের দেখেই মুখে খেলে গেল হাসি, ‘ও তোমরা এসে গেছ?’ এমন করে বললেন যেন কতদিনের চেনা। আসলে যে সকলকেই প্রথমবার দেখছেন বোঝা মুশকিল। আমরা ক্যাবলার মতো হাসছিলাম আর অবাক চোখে তাকিয়ে ছিলাম তাঁর দিকে। আমাদের সামনে [আরো পড়ুন]
Read More
৪২ এর খপ্পরে – একটি কল্পবিশ্ব ইভেন্ট
৪২ এর খপ্পরে – একটি কল্পবিশ্ব ইভেন্ট
“৪২ আপাতদৃষ্টিতে একটি সামান্য ছোট্ট নম্বর, পাঁচে না থাকলেও সাতে আছে যদিও! তা সেই সংখ্যাকেই দুম করে রাজার আসনে বসিয়ে, ডগ্লাস অ্যাডামস সাহেব তার বিখ্যাত বই ‘দ্যা হিচহাইকারস গাইড টু দ্যা গ্যালাক্সি’তে বলে বসলেন,- প্রাণ, বিশ্বজগৎ আর সমস্ত কিছুকে নিয়ে যে পরম প্রশ্ন তার উত্তর হল ৪২! তারপর বহু বছর ধরে বহু পণ্ডিত খোঁজার [আরো পড়ুন]
Read More
অকাল তমসা পর্ব – ২
পর্ব – ২
এতক্ষণ যা যা লিখেছি তা থেকে নিশ্চয়ই আমার স্বপ্ন তথা দুঃস্বপ্নগুলো কতখানি ভয়ানক ছিল তা বোঝা গেছে। ইতিমধ্যে আমি বেশ টের পাচ্ছিলাম যে বদ্ধ পাগল হবার প্রাথমিক ধাপে আমি প্রবেশ করে ফেলেছি। মাঝে মাঝে ভাবতাম আমার আগে যারা এই ঘটনার শিকার হয়েছে তারাও কি এরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিল? কে জানে! একদিকে এই সচেতন আর [আরো পড়ুন]
Read More
আমি নিশার আতঙ্ক
ঘরে ঢুকতেই প্রথমে নজর পড়ল টেবিলের উপর সুন্দর একটা খাম। চট্ করে তুলে নিলাম। সত্যি, অদ্ভুত মনোগ্রাম করা খাম। গভীর নীল সমুদ্র। লাল প্রবালের স্তূপ এবড়ো খেবড়ো। কিন্তু কি বিশ্ৰী। লাল প্রবাল স্তূপের পাশে রয়েছে একটা বড় ইঁল বা বাণ মাছ। চোখ দুটো চুনি। মুখটা চ্যাপ্টা জোঁকের মত সাকার লাগান। কি জীবন্ত ছবি মনে হয় এক্ষুণি যেন নড়ে উঠবে ইলটা। [আরো পড়ুন]
Read More
মহাকাশযাত্রী বাঙালী
ঘটনার অদ্ভূত যোগাযোগ জীবনে কখনো কখনো আশ্চর্যভাবে দেখা যায়। সকালবেলা কটা বৈজ্ঞানিক পত্রিকা ডাকে এসেছে। তন্ময় হয়ে তারই কয়েকটা নিবন্ধ ও আলোচনা পড়ছিলাম। মার্কিন একটি পত্রিকায় ‘কোয়াসার’ সম্বন্ধে অত্যন্ত চমৎকার একটি আলোচনা বেরিয়েছে। সেটি শেষ করে আরো দুটি পত্রিকার কোন নিবন্ধটি আগে পড়ব তাই নিয়ে তখন দ্বিধায় পড়েছি। একটি নিবন্ধ অ্যান্টিম্যাটার [আরো পড়ুন]
Read More
দ্বিতীয় জগত
অপরূপ সুন্দর একটা সরোবর। আর সেই সরোবর ঘিরে পাথর আর বালি, তারপরে তৃণভূমি। আসলে এটা একটা ছোটো উপত্যকা। পাহাড়ের মালায় ঘেরা। পাহাড়গুলো সব বালিপাথরের পাহাড়, হলুদ বালিপাথর। তাই পাহাড়গুলোকে সোনার পাহাড় বলে মনে হয়।
একটা পাহাড় থেকে নেমেছে ছোটো একটা ঝর্ণা, সেটা নদী হয়ে বয়ে এসে হ্রদে মিশেছে। পাহাড়ের নাম সুবর্ণগিরি, নদীর নাম ভদ্রা আর হ্রদের নাম নীলতারা।
Read More
অদৃশ্য
লোকটা বারবার কেন আসে? সে কী চায়?
ব্যাপারটা অনিন্দ্যকে খুব ভাবিয়ে তুলেছে। একজন শিশিবোতলওয়ালার সাথে রুমেলারই বা এত ঘনঘন কী এমন দরকার থাকতে পারে? রুমেলা যদি তাকে বাড়ির পুরনো শিশি, বোতল, খবরের কাগজ ইত্যাদি বিক্রি করত, তাহলেও বোঝা যেত, কিন্তু তাও তো নয়! যখনই অনিন্দ্য বাড়ি থাকে না, তখনই লোকটা রুমেলার কাছে আসে আর অনিন্দ্যকে দেখলেই তড়িঘড়ি করে চলে যায়। ব্যাপারটা খুবই অদ্ভুত।
Read More
পূর্ণিমা
একটা লালচে ধুলোর ঝড় পেছনে নিয়ে জিপটা চলে গেল বিশাল একটা অশ্বত্থের নিচে তাদের দুজনকে আর তাদের দুটো সুটকেস, এক ক্রেট জলের বোতল আর শুকনো খাবারের প্যাকেটে ঠাসা একটা কার্টন নামিয়ে দিয়ে।
জিপের শব্দটা মিলিয়ে যেতেই এক মুহূর্তের জন্য রাহুলের ভেতরটা ছমছম করে উঠল। একটা অজানা শঙ্কা পলকের জন্য তাকে ছুঁয়ে গেল যেন। এই গহন ঝিম জঙ্গলে আগামী সাত দিনের জন্য তারা [আরো পড়ুন]
Read More
বাঙ্ময়
অ্যাপার্টমেন্টের লিফটের বাঁদিকের দেওয়ালটায় সার দিয়ে লেটারবক্স। রঙ চটে, তুবড়ে তাদের বেশিরভাগেরই দৈন্যদশা। ফ্ল্যাটের নম্বরটুকু শুধু কোনমতে পড়া যায়।
অন্যদিন অরিন্দম এদিকে ফিরেও তাকায় না, সোজা লিফটে উঠে যায়। কিন্তু আজ একটা সরু গলায় ‘অরিন্দম, চিঠি, চিঠি’ ডাকে থমকে দাঁড়িয়ে পড়তে হল তাকে।
আটান্ন তলার বোস সাহেব নিজের লেটারবক্স থেকে চিঠি বের করছিলেন, মাথা ঘুরিয়ে বললেন,
Read More
আঁধারের নিঃশ্বাস
“আগের জীবনটা আমার কাছে এখন ছায়া ছায়া একটা স্বপ্নের মতো। কাউকে বোঝানোর কোন দায় নেই আমার। শুধু এই অসীম নক্ষত্র পথের বিস্তৃতির মাঝখানে দাঁড়িয়ে নিজের খেয়ালেই বলে যাচ্ছি এই কথাগুলো। আজ মনে হয় এ যেন বিগত জীবনের ঘটনা।”
“আমার বিশ্ববরেণ্য শিক্ষক সুনীতিবাবুর নির্দেশে গ্রামগঞ্জের নানা প্রবাদ প্রবচন বিশেষ করে যার মধ্যে ভয় বা আশঙ্কার বীজ লুকিয়ে আছে সেসব নিয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
ভুল
ডক্টর ধৃতিমানের কোয়ার্টারের সামনে দাঁড়িয়ে রয়ের একটু নার্ভাসই লাগছিল।
ইউনিভার্সিটি ছাড়ার পর থেকে ধৃতিমানের, বা ওঁর কাজের সঙ্গে রয়ের সরাসরি কোনো যোগাযোগ ছিল না।
একদা প্রিয় ছাত্র যে গবেষণা বা শিক্ষকতা বা নিদেনপক্ষে মহাকাশবিজ্ঞান নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন মেগা-কর্পোরেশনের চাকরি না করে সাংবাদিকতা করছে, এটা ধৃতিমান কোনোমতেই মেনে নিতে পারেন নি। তাই চাকরি [আরো পড়ুন]
Read More
অদৃশ্য মানুষ
ডক্টর গ্রাহাম স্মিথ প্রাইভেট লিফটের ভিতর থেকে দিগন্তের দিকে একবার চোখ বুলিয়ে নিলেন। ওয়াশিংটন ডিসির এই আশি তলা বাড়ির উপরের দিকের কুড়ি তলাই জিটা কর্পোরেশনের অফিস আর ল্যাবরেটরি। এই লিফটে আশি তলায় উঠতে লাগে ঠিক নয় মিনিট পঁয়তাল্লিশ সেকেন্ড। ওঠার আর নামার এই সময় টুকুই ডঃ স্মিথের জীবনের একমাত্র সময় যখন তিনি কাজ আর কোম্পানি ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
গ্রন্থ পরিচিতি – এ সব আগামীকাল ঘটেছিল
বইঃ এ সব আগামীকাল ঘটেছিল
সম্পাদকঃ বাল ফোণ্ডকে
প্রচ্ছদঃ সুবীর রায়
অনুবাদকঃ নবারুণ ভট্টাচার্য
প্রকাশকঃ ন্যাশানাল বুক ট্রাস্ট, ইন্ডিয়া
প্রথম সংস্করনঃ ১৯৯৬
পরিচায়কঃ অরুন্ধতী সিনহা রয়
সায়েন্স ফিক্শনের গল্প বলতে এখনও অধিকাংশ বাঙালি পাঠককুল বোঝে H.G.Wells, Edgar Allen Poe অথবা Jules Verne। বাংলা ভাষায় প্রথম সায়েন্স ফিক্শন গল্প লেখার সূত্রধর আচার্য জগদীশ [আরো পড়ুন]
Read More
চলচ্চিত্র সমালোচনা – কিন্ জা জা (১৯৮৬)
আমেরিকা আর সোভিয়েত ইউনিয়ন এই দুই সুপার পাওয়ারের মধ্যে ঠান্ডা যুদ্ধের উত্তাপ তখন প্রায় ঠান্ডা হয়ে আসছিল। রেগন সাহেব তার স্ট্র্যাটেজিক ডিফেন্সিভ বা ‘স্টার ওয়র্স’ প্রজেক্ট নিয়ে মানুষের মনে ভয়ের আবহ তৈরী করে দিতে পেরেছিলেন বেশ সাফল্যের সঙ্গে। সেই সময় ১৯৮৬ সাল নাগাদ তদানীন্তন সোভিয়েত আমলে মস ফিল্ম স্টুডিও থেকে ‘কিন্ জা জা’ নামে একটা ছায়াছবি [আরো পড়ুন]
Read More
অগ্নিপথ ২ – আলোকবর্তিকা
স্থান : অজ্ঞাত
কাল: ৮০,০০০ বি.সি.ই.
পাত্র: নিও
|| ২ক ||
সমুদ্রের আওয়াজটা বড় মধুর লাগে নিও’র। সে তীরে বসেই অনেকটা সময় কাটিয়ে দেয়। এই সমুদ্রের একটা জায়গায় একটা বড়ো প্রাকৃতিক খাল তৈরী হয়ে মিশে গেছে গভীর অরণ্যের মধ্যে। জোয়ারের সাথে সাথে জল ঢুকে পড়ে খালের মধ্যে। খাল উপচে তীর ছাপিয়ে যায়। অনেক মাছ খেলা করতে করতে উঠে আসে ডাঙায়। মাছরাঙা আসে, আসে আরোও [আরো পড়ুন]
Read More
ক্যুইজ-৪
কল্পবিশ্বের তৃতীয় সংখ্যার কুইজের উত্তর কেউ সম্পূর্ণ ঠিক দিতে পারেননি।
১) লাভক্রাফটিয়ান ইউনিভার্সের বিখ্যাত কাল্পনিক বই নেক্রোনমিকনের লেখক কে?
২) লাভক্রাফটের বহু গল্পের পটভূমি আর্কহ্যাম শহর কোথায় অবস্থিত?
৩) ১৯৮২ সালে নির্মিত বিখ্যাত হরর ছায়াছবি ‘দ্য থিং’ এর লেখক কে?
৪) নিচের ছবিটি কোন ছায়াছবির দৃশ্য?
৫) অনেকের মতে ১৯৭৭ সালে নির্মিত এই ছবিটি বাংলা ভাষায় প্রথম বিজ্ঞানভিত্তিক [আরো পড়ুন]
Read More
সম্পাদকীয়
হেমন্তকাল বরাবরই অবহেলিত। কিন্তু গরমের প্যাচপ্যাচানি আর বৃষ্টির একঘেয়েমির পরে চমৎকার আবহাওয়ার এই ঋতু কেমন করে যেন শীতের আগে একটা প্রিকোয়েলের মতো আসে আর চলে যায়। ভেবে দেখলে, বাঙালির উৎসব পর্বের শেষে হেমন্তই যেন তার মিঠে উপস্থিতিতে আসর জমিয়ে রাখে। এবারও সে এসেছে। আর তার সঙ্গে এসে পড়েছে কল্পবিশ্বও। তার একেবারে নতুন, ধোঁয়া ওঠা এক সংখ্যা নিয়ে।
আমাদের [আরো পড়ুন]
Read More
কল্পবিজ্ঞান কুইজ ৩
কল্পবিশ্বের দ্বিতীয় সংখ্যার কুইজের উত্তর কেউ সম্পূর্ণ ঠিক দিতে পারেননি। আমাদের দুই পাঠক বন্ধু শ্রী সোনাল দাস ও শ্রী সন্দীপন গঙ্গোপাধ্যায় সব থেকে বেশি সংখ্যক সঠিক উত্তর (৯) দিয়েছেন। আশা করছি এই সংখ্যার কুইজের সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর আমরা পাঠকেদের কাছ থেকে পাবো।
কল্পবিজ্ঞান কুইজ-৩
১) ১৯৮২ সালে নির্মিত “স্টার ট্রেক II : দ্য র্যাথ অফ খান” ছবিটির পরিচালক কে?
২) বিখ্যাত কল্পবিজ্ঞান [আরো পড়ুন]
Read More
অগ্নিপথ
স্থান: কেনিয়া
কাল: ৫,০০০,০০০ বি.সি.ই.
পাত্র: মুসা (পিকিং মানব)
[“Seek wood already touched by fire. It is not then so very hard to set alight” ~ African Proverb]
||১ক||
আকাশ লাল, বাতাস ভারী, ভোর অস্নিগ্ধ। ঝাঁকে ঝাঁকে পাখী উড়ে যাচ্ছে চীৎকার করতে করতে। অনতিদূরের বন থেকে দলে দলে পশুরা ছুটে পালাচ্ছে যতটা দূরে পারা যায়। বাঘের পাশে হরিণ, হাতির পাশে গণ্ডার, খরগোশের মাথার ওপর দিয়ে বন্য কুকুর। আর যে বড় গুহা-শ্রেণীর [আরো পড়ুন]
Read More
চলচ্চিত্র সমালোচনা – ফারেনহিট ৪৫১ (১৯৬৬)
“To learn to read is to light a fire; every syllable that is spelled out is a spark.” — Victor Hugo
ওরা যেন প্রশ্ন না করে? না যেন জানতে চায় এই প্রতিদিনের সামাজিক অস্তিত্বের নিয়ন্তাকে … যদি রাষ্ট্রের ভাবনা এমনই হয়? যদি সে টুঁটি টিপে রাখে মুক্তচিন্তার তাহলে তো স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে বলার জন্য কোন স্বরই অবশিষ্ট থাকবে না। আর বই ছাড়া এই মুক্তবুদ্ধি ছড়াবে না কোনমতেই। তাই পোড়াও বই। এই প্রায় ডিস্টোপিয়ান আবহে রে ব্র্যাডবেরির [আরো পড়ুন]
Read More
চলচ্চিত্র সমালোচনা – দ্য ম্যান ফ্রম আর্থ (২০০৭)
The Man From Earth
Diretor – Richard Schenkman
Written By – Jerome Bixby
Music – Mark Hinton Stewart
কেমন হয়, যদি হঠাৎ আবিষ্কার করেন যে আপনার পুরোনো সহকর্মীটি আপনাকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করাচ্ছেন তিনিই শ্রীমধুসূদন – বা অমর হনুমান? আপনি আজ জানতে পারলেন এতদিন যার সাথে বসে টিফিন খেয়েছেন, এক সাথে সুখ দুঃখ ভাগ করেছেন, তিনি আসলে সেই পরম “তিনি”- তখন অনুভুতিটা কিরকম চরম হবে? ব্যাপারটা হল আপনাকে যদি সরাসরি কেউ এরকম [আরো পড়ুন]
Read More
গ্রন্থ পরিচিতি – দোর্দোবুরুর বাক্স
বইঃ দোর্দোবুরুর বাক্স
লেখকঃ দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য
প্রচ্ছদঃ ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য
প্রকাশকঃ আনন্দ
প্রথম সংস্করনঃ জানুয়ারী ২০১০
পরিচায়কঃ অপরাজিত সেনগুপ্ত
বর্ষাকাল, সন্ধ্যা হব হব করছে। তুমুল বৃষ্টিতে আমার বন্ধুবান্ধবরা কেউই আজ নিজ নিজ কর্মস্থলে পা রাখেনি। সন্ধ্যার দিকে তাই অনেকদিন বাদে আড্ডা জমল পাড়ার ছোট্ট ক্লাবঘরে। ক্লাবের আড্ডার মজাই আলাদা। [আরো পড়ুন]
Read More
গ্রন্থ পরিচিতি – বনদেবী ও পাঁচটি পায়রা
বইঃ বনদেবী ও পাঁচটি পায়রা
লেখকঃ শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
প্রচ্ছদঃ সমীর সরকার
প্রকাশকঃ আনন্দ
প্রথম সংস্করনঃ জানুয়ারী ২০১৩
পরিচায়কঃ অরুন্ধতী সিনহা রয়
বর্তমান মানব সভ্যতা ধীরে ধীরে অনেকটাই যন্ত্রনির্ভর হয়ে উঠেছে। জীবনের প্রায় প্রতি ক্ষেত্রেই আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমবর্ধমান। যেভাবে যান্ত্রিকতা ধীরে ধীরে আমাদের গ্রাস করছে, কি হবে আমাদের [আরো পড়ুন]
Read More
অপারেশন ডার্ক গডেস
র্যাক্সরের ছোঁড়া লাল রঙের লেসার নাইফটা যখন বাতাস কেটে আমার দু পায়ের মাঝ দিয়ে চেয়ারটার সাথে গেঁথে গেলো, সত্যি বলছি ভেনাস-৯-এর অ্যান্ড্রয়েড নর্তকীর মুখটাই মনে পড়ে গেল। আর বোধহয় দেখাই হবে না ভেনাসের প্রাসাদ প্রতিম ড্যান্স বার আর ভার্চুয়াল ডেটিং এরেনাগুলো! লোকে বলে মরণকালে নাকি প্রিয়জনদের মুখ মনে পড়ে! অতএব বুঝতেই পারছেন, আমার জীবনে ওই বস্তুটির যথেষ্ট [আরো পড়ুন]
Read More
সবুজ পৃথিবীর জন্য
এখন সদ্য ভোর হয়েছে, ঘড়ির দিকে চেয়ে তিয়া মিলিয়ে নিল। ওর ঘুম ভেঙেছে আর একটু আগেই। ও আস্তে আস্তে ব্যালকনির দরজাটা খুলে প্রায় নিঃশব্দ পদক্ষেপে ব্যালকনিতে এসে দাঁড়াল।
ও রোজই সকালে একবার করে এসে দাঁড়ায় এই অদ্ভুত ব্যালকনিটায়। খুব ছোটোবেলা থেকে, একেবারে তিন-চার বছর বয়স থেকেই এরকম করে। কেন কে জানে। বাইরেটা একবার না দেখলে ওর কেন যেন খুব খালি-খালি লাগে, সারাটা [আরো পড়ুন]
Read More
জলমানুষ
পিনাকের দিকে তাকিয়ে ভারি অবাক হয় সোহম। পিনাক বরাবরই রোগাপাতলার অপোজিট। খুব ফর্সা; উচ্ছ্বল শরীর। ইদানীং মাসলম্যান টাইপ শরীরের রক্তমাংসের পিনাককে কেন যেন জল টলমল চৌবাচ্চা বলে মনে হয় ওর। শীতে যে ঝড়টা হল, তারপর থেকেই এরকম মনে হয়। ডুয়ার্সে বেড়াতে গিয়েছিল ওরা দুজনে। গিয়ে তো যাকে বলে মোহিত পিনাক। ক্লোরোফিলের গন্ধে মাতোয়ারা বনভূমি ওকে আবিষ্ট করে ফেলেছিল। [আরো পড়ুন]
Read More
ফুলস্টপ
আজকের দিনটা শুভর কাছে বেশ অন্যরকম। শুভ মানে শুভব্রত সিনহা, টরন্টোর মাউন্ট সিনাই হসপিটালের সাইকোলজি ডিপার্টমেন্টের আপাতত হেড। আপাতত বলার কারণ হয়ত ডক্টর পল কেলির আচমকা পদত্যাগও হতে পারে। যাই হোক, আজ রুটিন-মাফিক ভিজিট সারতে রাত প্রায় ৮টা বেজে গিয়েছিল শুভর, তাই ডক্টরস কোয়ার্টারে না গিয়ে তার চেম্বার থেকেই কলকাতার বাড়িতে ফোনটা করে স্কাইপিটা অন করতে বলল [আরো পড়ুন]
Read More
টাইম লকার
প্রফেসর পুরকায়স্থ গান শুনতে ভীষণই ভালবাসেন। একজন বৈজ্ঞানিক হলেও গানবাজনার দিকে তাঁর বরাবরই ঝোঁক ছিল। যদিও ইদানীং তিনি বেশির ভাগ সময়টাই আকণ্ঠ খেয়ে থাকেন, তবুও বৈজ্ঞানিক হিসেবে তাঁর কর্মদক্ষতা নেহাত অস্বীকারও করা যায় না। আসলে প্রথাগত পড়াশোনায় তাঁর খুব একটা আগ্রহ ছিল না, তাই ওঁর যুগান্তকারী গবেষণামূলক থিয়োরিগুলোর জন্য বিশেষ কোন সরকারী আর্থিক সাহায্যর [আরো পড়ুন]
Read More
অকাল তমসা পর্ব-১
(এইচ পি লভক্র্যাফটের শ্যাডো আউট অফ টাইম অবলম্বনে)
পর্ব – ১
আমার নাম ন্যাথানিয়েল উইনগেট পিসলি। ছ’সাত বছর আগে যদি কেউ খবরের কাগজ বা বিভিন্ন সাইকোলজিক্যাল জার্নাল নিয়মিত ঘাঁটাঘাঁটি করে থাকেন তাহলে তাঁদের কাছে আমার নামটা চেনা চেনা ঠেকতেও পারে। ১৯০৮ থেকে ১৯১৩ সাল অবধি আমার স্মৃতিবিলোপ তথা স্মৃতিবিভ্রাট নিয়ে ওই সময় কাগজে বিস্তর লেখালিখি হয়েছিল। সাথে [আরো পড়ুন]
Read More
লিমেরেন্স
আজকের এই ডিজিটাল বিশ্বের বিষে প্রচুর মানুষ আছেন যারা স্বনির্ভর ভাবে একলা। প্রেম, সত্যিকারের প্রেম হয়েছে ‘ক্ষ্যাপা খুঁজে খুঁজে ফেরে পরশপাথর’। মনের আকাশে মুষল-কাল আসে ঠিকই, কিন্তু তা ধুয়ে দিতে পারেনা অভিমানের শোণিত দাগকে। বৃষ্টি ধোয়া মুখে শুকিয়ে যাওয়া কান্না আর নদীখাত আঁকে না।
রাই এমনই একটা মেয়ে, যার জীবনের আকাশে মেঘ-ছবি এঁকে গেছে আকাশ নামের এক ছেলে। [আরো পড়ুন]
Read More
অতিমাত্রিক
“অর্ণব বাড়ি আছিস?”
“কীরে, এই অর্ণব – বাড়ি আছিস?”
ভাগ্যিস এ পাড়ায় লোকজন বিশেষ থাকে না, আর যে দু-চার ঘর ছেলেছোকরা থাকে, তারাও কাল কালীপুজোর আনন্দে কারণবারি গিলে এখন মধ্যযামে বিচরণ করছে। অনেকক্ষণ দরজা খটখট, চেঁচামেচি আর ঘণ্টি বাজানোর পর, চোখ রগড়াতে রগড়াতে দরজা খুলল অর্ণব। চোখ লাল, মুখে কাঁচা ঘুম ভেঙে যাওয়ার একরাশ বিরক্তি। তবে দরজা খুলে কিংশুকের মুখ দেখেই [আরো পড়ুন]
Read More
টিট্টিভ
কর্মে তীব্র অনীহাই শশিশেখরের কাল হইল।
সেই হেতু তিনি তাঁহার রোবট, শ্রীমান তড়িৎ তর্পণ তান্ত্রিকের হাতে কর্মভার সমর্পণ করিয়া, আত্মানন্দে বশীভূত হইয়া স্থির রহিলেন। তড়িৎ তর্পণ তান্ত্রিক বা টিটিটি, অর্থাৎ আমি নাটবল্টু ও প্লাস্টিক লোহার সমাহারমাত্র নহি। আমি পুরাদস্তুর প্রোগ্রামায়িত। আমার ভিতরে যুগ যুগ ধরিয়া শশিশেখরের বিদ্যা বুদ্ধি সব সমাহৃত।
আর শশিশেখর আপাতত [আরো পড়ুন]
Read More
টিথোনাস
গায়ের চামড়া আস্তে আস্তে কুঁচকিয়ে শিথিল হয়ে আসে। মাথার চুল পেকে সাদা হয়ে যায়। হাতের আঙুলের গাঁটগুলো ক্রমে শক্ত হয়ে কর্মক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। চোখের দৃষ্টি ক্ষীণ হয়ে আসে। দেহের হাড়গুলো ঘুণ ধরা কাঠের মত ভঙ্গুর হয়ে পড়ে। তারপর জীবনী শক্তির অভাবে রোগের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা ধীরে ধীরে লুপ্ত হয়ে যায় সাধারণ ব্যাধিও তখন মারাত্মক হয়ে পড়ে।
[আরো পড়ুন]
Read More
ভবিষ্যতের খবর
একটি কল্পবিশ্ব ইভেন্ট
ভবিষ্যতের খবর
টাইম মেশিনে চড়ে ভবিষ্যৎ থেকে সিদ্ধার্থ ঘোষ চুরি করে এনেছিলেন আগামী দিনের সংবাদপত্রের পাতা এবং সেগুলি প্রকাশিত হয়েছিল ফ্যান্টাস্টিকের পাতায়। এর সাথে ভবিষ্যতের একটি বিখ্যাত পত্রিকার কিছু পাতাও ওনার কাছে এসেছিল, যা অপ্রকাশিতই থেকে গেছিলো। সম্প্রতি আমাদের এক টিমমেম্বার আবিষ্কার করেছে সেই পাতাগুলো। কি আশ্চর্য!! ওগুলো যে কল্পবিশ্বেরই পৃষ্ঠা! আমাদের [আরো পড়ুন]
Read More
রণেন ঘোষের সঙ্গে একটি দুপুর
আকাশ বেশ কালো। বর্ষার নিচু মেঘের ছায়া গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনের ওপর ঝুঁকে পড়েছে। যখন তখন বৃষ্টি নামবে। অথচ আমরা বাড়িটা খুঁজে পাচ্ছি না!
এদিকে ফোনেও পাওয়া যাচ্ছে না। মোবাইল সুইচড অফ। ভিজিটিং কার্ডে লেখা ল্যান্ডলাইন নম্বরেও কানেকশন হচ্ছে না। কী করা যায়? তাহলে কি রণেন ঘোষের সঙ্গে দেখা হবে না? কার্ডে যে রাস্তার নাম লেখা সেখানেই চক্কর খাচ্ছি। নির্দিষ্ট নম্বরের বাড়িটা খুঁজছি।
Read More
সায়েন্স ফিকশন – সির্দ্ধাথ ঘোষের কলমে
শেষ পর্ব
বাংলা সায়েন্স ফিকশনের ঐতিহ্য
বিক্ষুব্ধ সমুদ্রকে শাসনের জন্য ভাগ্নে এইচ. বোসের (হেমেন্দ্রমোহন বসুর) তৈরি এক শিশি ‘কুন্তলীন’ তেল ঢেলে অদ্ভুত ফল পেয়েছিলেন জগদীশ্চন্দ্র বসু। একটি অনবদ্য এস.এফ কাহিনী। বাংলা ছোটগল্পের জন্য প্রতি বছর ‘কুন্তলীন’ পুরস্কার প্রবর্তনের প্রথম বর্ষেই, ১৩০৩ সালে ‘কুন্তলীন পুরস্কার’ গ্রন্থে ‘নিরুদ্দেশের কাহিনী’ মুদ্রিত [আরো পড়ুন]
Read More
ক্ষিতীন্দ্রনারায়ণ ভট্টাচার্য – বাংলা কল্পবিজ্ঞানের এক বিস্মৃত অধ্যয়
বাংলা ভাষায় শিশুকিশোর সাহিত্যের প্রথম যুগে বিজ্ঞান ভাবনার প্রচলন করে গিয়েছেন যে রথীমহারথীরা তাদের মধ্যে ক্ষিতীন্দ্রনারায়ণ ভট্টাচার্য এক উল্লেখযোগ্য নাম। জীবনের বেশীর ভাগ লেখাই তিনি লিখেছেন ছোটদের জন্য। শিশুদের মধ্যে বিজ্ঞানচেতনা বাড়ানোর জন্য বিজ্ঞানের কঠিন বিষয়কে সুন্দর ও সরস করে প্রবন্ধ বা গল্পাকারে পরিবেশনায় আজও তাঁর জুড়ি মেলা ভার।
ক্ষিতীন্দ্রানারায়ণের [আরো পড়ুন]
Read More
হাঁস ছিল শজারু
“হাঁস ছিল শজারু (ব্যাকরণ মানি না)
হয়ে গেল হাঁসজারু কেমনে তা জানি না।”
ছেলেবেলায় সুকুমার রায়ের ‘খিচুড়ি’ পড়তে বসে বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর ধড়ে মুড়োয় সন্ধির কথা পড়ে বা তাঁর আঁকা সেই সব খিচুড়ি জানোয়ারের অনবদ্য সব ছবি দেখে, এক জানোয়ারের সাথে অন্যের জোড়াতালি নিয়ে নানান অলীক কল্পনাবিলাস করে অবাক হয়নি এরকম বাঙালী পাঠক বা পাঠিকা পাওয়া খুব শক্ত। কিন্তু এই এক জানোয়ারের [আরো পড়ুন]
Read More
জিন মহাপুরাণ
সারাদিন ধরে একরাশ পেপার আর বই চর্চা করার পরে সূর্য ডোবার আগে আগেই মাথাটা বিগড়ে গেল। তা মাথার খুব একটা দোষ ছিলনা। একে তো জুলাই মাসের ভ্যাপসা গরম, তার উপরে প্রতিবেশীদের মধ্যে কে যেন ভর দুপুরে শখ করে মহালয়া চালিয়েছে কম্পিউটারে। তাও আবার লুপ ফর্মে। একবার শেষ হলেই আবার বেজে উঠছে “জাগো চণ্ডী”। ছাইবর্ণ আকাশের সাথে সাথে আমার মস্তিষ্ককেও ক্রমাগত ত্রিশূলে বিদ্ধ [আরো পড়ুন]
Read More
স্মৃতিপথের নির্মাল্য
বইপোকা ও সাহিত্য সরণি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা নির্মাল্য চট্টোপাধ্যায়ের অকাল প্রয়াণে আমরা শোকস্তব্ধ। আদ্যন্ত বইপাগল এক তরতাজা প্রাণ এভাবে সকলকে ছেড়ে চলে যেতে পারে এ সত্যিই অকল্পনীয়। আমরা কল্পবিশ্বের তৃতীয় সংখ্যা নির্মাল্যর স্মৃতির উদ্দেশে উৎসর্গ করছি।
কিছু স্মৃতিচারণা, কিছু অনুভুতি
১) যে সময়ে বাংলা বই ক্রমশ প্রান্তিক হয়ে পড়ছিল, সেই সময়ে দাঁড়িয়ে [আরো পড়ুন]
Read More
সম্পাদকীয়
প্রিয় পাঠক,
মন একদম ভালো নেই আমাদের কারও। বইপোকা ও সাহিত্য সরণি ফেসবুক গ্রুপের স্রষ্টা ছাব্বিশ বছরের তরতাজা তরুণ নির্মাল্য চট্টোপাধ্যায় আর নেই। তার অকালপ্রয়াণে আমরা শোকস্তব্ধ। অনলাইনে বাংলা বইয়ের প্রচার ও প্রসারে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য। লাজুক চেহারার একটা ছেলে কেমন করে যেন বাংলার লেখক ও পাঠকদের মধ্যে একটা সুদৃশ্য সেতুবন্ধনের কাজ করে গেছে। নির্মাল্য [আরো পড়ুন]
Read More
অর্থতৃষ্ণা
য়ুরোপের যুদ্ধের সময় নানা টানাপোড়েনের দরুন কলকাতায় দ্রব্যমূল্য অত্যধিক বৃদ্ধি পায়। তার উপর আবার চাকরির বাজারেও মন্দার ভাঁটা লেগে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে। এই দুয়ের ধাক্কায় বহু লোকে তাদের কলকাতার পাট চুকিয়ে দেশের বাড়িতে পাড়ি দিলে, কলকাতার অনেক ভাড়াবাড়ি খালি হয়ে পড়ে। আমি আর ধূর্জটি সেই সময়ে আমাদের আমহার্স্ট স্ট্রীটের পুরনো মেসবাড়িটা [আরো পড়ুন]
Read More