ধেনোদার সময়যাত্রা: দ্য বাটারফ্লাই এফেক্ট
লেখক: মধুমিতা চক্রবর্তী
শিল্পী: টিম কল্পবিশ্ব
হিরামন
‘কালে কালে নাবিক, যাজক,
বণিক আর পরিব্রাজক মিলে
পশ্চিমে মানুষগুলো
দেশটাকে চিবিয়ে থু’লো গিলে।
সেই গামা যে ভাস্কো দা
সে-ই হল পালের গোদা, ধাড়ি!
দেখি গিয়ে একটু যাতে
তার আসা আটকাতে পারি!’
এই বলে তিক্তপ্রাণে
ধেনোদা সময়যানে চড়ে
ধাঁ করে পনেরো শতক
গিয়ে খেল পালটি কতক পড়ে।
চেয়ে দ্যাখে আরব সাগর
ডিঙি যেন দুলছে নাগর দোলা
কোনোমতে বেঁচে গেছে জান
টঙে এক সফেদ নিশান তোলা,
দূরে ওই ওলন্দাজের
বুঝি দেখা যায় জাহাজের টিকি!
চটপট সার এইবার!
কাজ নয় সহজে হবার ঠিকই।
চেঁচিয়ে কয় ধেনোদা,
‘শোন ভাই ও ভাস্কো দা গামা,
নরখেকো দ্বীপ ওদিকে
যাসনে, জাহাজটিকে থামা।’
এই বলে কথার পাকে
ধেনোদা ভাস্কোদাকে ভোলায়,
গামারা ঘাবড়ে বেহাল
তড়িঘড়ি উলটিয়ে পাল তোলায়।
তারপরে কেল্লা ফতে,
ম’ল তারা কোন চুলোতে গিয়ে,
না এল পোর্তুবাসী
ইংরেজ বা ফরাসি টিয়ে।
নেই মহারানির আসন
এ দেশে, জুলুম, শাসন কড়া,
পালটাল তাদের নিয়ে
ছিল যত হিস্ট্রি বইয়ের পড়া।
সে হল আরেক কেলো
কেউ যদি না-ই বা এল, তবে,
মেমোরিয়াল ভিক্টোরিয়া
তৈয়ারি কী করিয়া হবে!
ধেনোদার মা ও বাবার
সেখানেই আলাপ হবার ছিল,
সে আলাপ আর ঘটে নাই
ঘেঁটে সে সব ঘটনাই দিল।
বদলেছে ভাগ্যরেখা
বাবা-মা-র হয়নি দেখা, তাই
সময়ের নিয়মমতে
ধেনোদা এই জগতে নাই।।