Friday, November 1, 2024
প্রবন্ধ

সায়েন্স ফিকশন: রূপকথার রূপান্তর?

8 thoughts on “সায়েন্স ফিকশন: রূপকথার রূপান্তর?

  • Pradip Sengupta

    খুব মনযোগ দিয়ে পুরোটা পড়লাম। কল্পবিজ্ঞানের ইতিহাস নিয়ে এমন একটা গোছানো লেখা আগে পাইনি। তবে একটি সিনেমার উল্লেখ মনে হয় থাকোলে ভাল হত। কল্পবিজ্ঞানে যৌনতাকে উপজীব্য করে রচিত বারবারেলা (১৯৬৮)। তবে বলব, খুব ভালো একটা লেখা। আর এসব লেখা তো একবারে শেষ হয়না, চলতেই থাকে।

    Reply
    • কল্পবিশ্ব পত্রিকা

      ঠিক কথা। সিনেমাটি তো এক অর্থে কাল্ট স্ট্যাটাস পেয়েছে। পরের অংশে এই নিয়ে দু-চার কথা থাকলে খুব ভালো লাগবে।

      Reply
    • পরের পর্বে তাহলে সাইফি-তে যৌনতার ব্যবহার নিয়ে আরেকটু আলোচনা করব। তাতে সিনেমা ‘বারবারেলা’ ও ‘এক্স মাখিনা’ এবং সাহিত্যের মধ্যে ‘ডলি’ আর ‘ভেনাস অন দ্য হাফ-শেল’ নিয়ে কিছু কথা বলার চেষ্টা করব।

      Reply
  • অসাধারণ প্রবন্ধ। অনেক বিশাল ইতিহাস অত্যন্ত সুচারু ভাবে একবারে পড়ে ফেলার মত লেখায় সাজিয়েছেন। রেডিওর জন্য লেখা এবং হিউমারসর্বস্ব সাইফি হিচহাইকার্স গাইডস টু গ্যালাক্সির উল্লেখ থাকলে খুব খুশী হতাম। এটা ছাড়াও একদম পার্ফেক্ট। অনেক বই বা সিনেমার নাম জানতে পারলাম। আর সাইবারনেটিক্স ও সাইবারপাঙ্কের সংজ্ঞাটা খুব ভাল লেগেছে।

    Reply
    • পরের পর্বে সাইফি-র প্যারাডক্স আর হিউমারের ব্যবহার নিয়ে লেখার ইচ্ছে আছে। ‘হিচহাইকার্স গাইড টু গ্যালাক্সি’ ওই পর্বে অবশ্যই আলোচিত হবে। ‘ডক্টর হু’-র প্রসঙ্গও তখন আনতেই হবে।

      Reply
  • Amitabha Rakshit

    খুব সুন্দর একটা প্রবন্ধ লিখেছেন ঋজু বাবু। চমৎকার ইতিহাস পরিবেশন করেছেন। শুধু একটা দুটো কথা বলি – অন্ততঃ পশ্চিম দুনিয়ায় কল্পবিজ্ঞানের গল্প, টিভি ও সিনেমা সমাজে শুধু আমোদই সৃষ্টি করেনি, অনেক ভবিষ্যত বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিবিদ-দের রীতিমতন উদ্বুদ্ধ করেছে নতুন আবিষ্কার করতে। শুধুমাত্র “স্টার ট্রেক” সিরিজ থেকেই অনুপ্রেরণা পেয়ে আজও জলে স্থলে আকাশে ও মহাকাশের বহু নিত্য ব্যবহার্য্য সামগ্রীর সৃষ্টি করে চলেছেন ষাটের দশকের কিশোরেরা – যাঁরা আজকে নাসা, বা বহু প্রযুক্তি ও অন্যান্য গবেষণা সংস্থার সঙ্গে জড়িত। আমি কল্পবিজ্ঞানের এই দিকটা নিয়ে আমাদের দেশে বেশী আলোচনা দেখিনি। এই অনুপ্রেরণার দিকটাও ভেবে দেখবেন – কল্পবিজ্ঞানকে শুধুমাত্র গল্প ভাববেন না। তার গভীরে যে আরও কিছু থাকতে পারে সেটা সচেতনভাবে বিবেচনা করবেন।

    Reply
    • আপনি একদম ঠিক বলেছেন। ভের্ন থেকে গিবসন হয়ে তার পরেও সায়েন্স ফিকশন পশ্চিমে জ্ঞান-বিজ্ঞান চর্চাকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে। মুশকিল হল, ভারতীয় প্রেক্ষাপটে আমি তেমন কিছু পাইনি। হয়তো কোনো ভারতীয় বিজ্ঞানী “বিম মি আপ স্কটি”-কে বাস্তবায়িত করার ইচ্ছেয় গবেষণা করছেন। কিন্তু তার ফল পাচ্ছে এ.টি অ্যান্ড টি বা থ্রিডি প্রিন্টিং নিয়ে কাজ করা বহুজাতিক সংস্থারা। ইসরো বা ডি.আর.ডি.ও-র বিজ্ঞানীরা যে গবেষণা করেন তার প্রেরণা আসে দুর্ভিক্ষ, মহামারী আর দাঙ্গার আতঙ্ক থেকে। ফোর্স ফিল্ড বা ক্লোনিং নিয়ে হওয়া কাজগুলো একান্তভাবেই ক্লাসিফায়েড এলাকার মধ্যে পড়ে। তাই সে-সব নিয়ে লেখার প্রশ্নই ওঠে না।
      তাই আমি সাইফি-র উৎস আর বিবর্তন নিয়েই লিখব। তা আমাদের প্রযুক্তিতে কী পরিবর্তন আনছে, সেটা আমার আলোচ্য বিষয় হবে না।

      Reply
      • কৃশানু নস্কর

        খুব সুন্দর গোছানো এবং কল্পবিজ্ঞানের ইতিহাসের ধারাবাহিক বিবরণ। খুব ভালো লাগল। কিন্তু উপমহাদেশের লেখকদের নিয়েও কিছু আলোচনা থাকলে খুব ভালো হতো। পরবর্তী পর্বে কি থাকবে?

        Reply

Leave a Reply

Connect with

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

error: Content is protected !!
Verified by MonsterInsights