সাক্ষাতে ড্যান ব্লুম : আবহ-কল্পনা এবং ভবিষ্য-শহরের রূপরেখা
লেখক: সন্তু বাগ
শিল্পী: দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য (চিত্রচোর)
সাম্প্রতিককালে ‘স্ট্রর্ম-টেলার’ উপন্যাসের লেখক ডেভিড থ্রর্প স্মার্ট-সিটি-ড্রাইভ পত্রিকার পক্ষ থেকে একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন, ক্লাই-ফাই ধারার পিতৃপুরুষ ড্যান ব্লুমের।
ড্যান ব্লুম। ফ্রিলান্স লেখক। ১৯৯১ সাল থেকে টোকিয়ো এবং তাইপেই-তে বসবাস করছেন। ইনিই প্রথম আবহাওয়া-কল্পকাহিনি (সংক্ষেপে আবহ-কল্পনা/ক্লাই-ফাই) নামে কল্পবিজ্ঞানের এই নতুন ধারাটিকে স্বতন্ত্রভাবে প্রতিষ্ঠা করার কথা প্রথম ভেবেছিলেন। নতুন এই ধারাটি সাধারণত লেখা হয় আবহাওয়া পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে।
এই সাক্ষাৎকারের বিষয়বস্তু হল এই নতুন ধারা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য। এছাড়াও এই ধারার লেখকরা মানুষের ভবিষ্যতের শহর নিয়ে কী চিন্তা-ভাবনা করছে সেই সম্পর্কে একটা প্রাথমিক ধারণা তৈরি।
আমরা কল্পবিশ্বের পক্ষ থেকে ড্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করি আমাদের ক্লাই-ফাই বিশেষ সংখ্যায় এটি বাংলায় প্রকাশের জন্য। তিনি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছেন ক্লাই-ফাই নিয়ে তাঁর চিন্তা-ভাবনা বাংলা কল্পবিজ্ঞানের পাঠকদের কাছে পৌঁছে দেবার উদ্দেশে।
ড্যান ব্লুম ও ডেভিডের সাক্ষাতকারঃ
ডেভিড : ড্যান, প্রথমে বলুন ‘ক্লাই-ফাই’ কী?
ড্যান : ক্লাই-ফাই হল কল্পবিজ্ঞান গল্প বলার একটি নতুন ধারা,যা মূলত আবহাওয়া পরিবর্তন ও বিশ্ব উষ্ণায়ণের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। এর মধ্যে ‘ক্লাই’ ক্লাইমেট শব্দের প্রথম তিনটি অক্ষর আর ‘ফাই’ ফিকশন শব্দের প্রথম দুটি অক্ষর নিয়ে তৈরি। সায়েন্স ফিকশন যেমন সংক্ষেপে ‘সাই-ফাই’ তেমনই ক্লাইমেট ফিকশনকে সংক্ষেপে ‘ক্লাই-ফাই’ বলা যেতে পারে। কোনও গল্প-উপন্যাস কিংবা সিনেমায় আবহাওয়া পরিবর্তন মুখ্য বিষয় না হয়ে যদি অনেকটা অংশ জুড়ে থাকে ,তাকেও ‘ক্লাই-ফাই’ গোত্রভুক্ত করা যেতে পারে।
ক্লাই-ফাইকে সাইফাই-এর ছোটবোনের মত বলা যেতে পারে। কিন্তু অবশ্যই ক্লাই-ফাই এর ক্ষেত্রে আবহাওয়া সংক্রান্ত বিষয়বস্তুই প্রধান হতে হবে। সায়েন্স ফিকশনের উপরোক্ত বিশেষ ধারাটিই এর মূল উপজীব্য।
যদি না আমরা বাতাসে কার্বন ডাই-অক্সাইড নিক্ষেপ নিয়ন্ত্রণ করি আর সেই সঙ্গে আবহাওয়া পরিবর্তনকে আটকাতে পারি, তাহলে মানবজাতির ভবিষ্যৎ কি হতে চলেছে সেই সম্বন্ধে আজকের পৃথিবীতে বিজ্ঞানী থেকে সাধারণ মানুষ সবাই মোটামুটি সচেতন। এইখানেই ক্লাই-ফাই-এর মূল ভূমিকা লেখক, সাহিত্য-সমালোচক, গ্রন্থ-সমালোচক, চলচিত্র পরিচালক, স্ক্রিপ্ট-লেখক এবং চলচিত্র-সমালোচকদের কাছে।
একবার লন্ডনে জেফ্রি নিউম্যান আমায় বলেছিল, সে মনে করে ক্লাই-ফাই হচ্ছে জলবায়ু-সংক্রান্ত বিভিন্ন জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক আলোচনারই নতুনতর কাঠামো হচ্ছে। লস অ্যাঞ্জেলেন্সের স্কট হিলের মতে ক্লাই-ফাই হল একটি কৃষ্টিগত প্রিজমের মত। গ্লোবাল ওয়ার্মিং-এর মত বিপদের একটি রশ্মি যার মধ্যে দিয়ে গেলে, বর্ণচ্ছটায় দেখিয়ে দেয়আমাদের ভবিষ্যত কতটা ভয়াবহ প্রলয়ঙ্কারী হতে পারে।
ডেভিড : আপনি কী কিছু উদাহরণ দেবেন ভবিষ্যতের শহর কেমনভাবে ক্লাই-ফাই গল্প এবং সিনেমায় চিত্রাঙ্কিত হয়েছে?
ড্যান : ক্লাই-ফাই গল্প বা সিনেমা তৈরি হতে পারে বড় বা ছোট শহর এমনকিশহরতলীকে কেন্দ্র করেও। যেমন নাথানিয়েল রিচের লেখা ‘দ্য অডস্ এগেনস্ট টুমরো’ উপন্যাসের পটভূমিতে ভবিষ্যতের ম্যানহাটনকে দেখানো হয়েছে পুরোপুরি জলে ডুবে যাওয়া একটি শহর হিসেবে। সেখানেমানুষ বড় বড় রাস্তায় নৌকা চালাচ্ছ। বারবারা কিংসল্ভার এর লেখা ‘ফ্লাইট বিহেভিয়ার’ গল্পের পটভূমি একটি গ্রামাঞ্চল।যেখানে প্রচুর পরিমাণে প্রজাপতির মৃত্যু বিজ্ঞানীদের শহর থেকেএই ঘটনার কারণ খুঁজতে যেতে বাধ্য করেছিল।
জিম লাফটারের লেখা ‘পোলার সিটি রেড’ গল্পের সময়কাল ২০৭৫ সাল। ক্রমবর্ধমান তাপপ্রবাহ ফলে আমেরিকার নিচের দিকের ৪৮টি রাজ্য বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। এই সব আবহ-উদ্বাস্তুরা আশ্রয় নিয়েছে উত্তর মেরুতে।রয়েছে ইগ্লু কিংবা মাটির নিচে শহর বানিয়ে। যাতে করে ভবিষ্য-প্রজন্মের জন্ম দিতে পারে। এই ধরণের কল্পনা প্রথম করেছিলেন ব্রিটিশ কেমিস্ট জেমস লাভলক।
ড্যান ব্লুম এবং আহ–লিন, অভিনেতা, পোলার সিটি রেড সিনেমার শুটিং এর সময়ে আলস্কায় তোলা ছবি
ডেভিড : আপনার কী মনে হয় ব্লেড রানার সিনেমায় এল-এ তে যেভাবে সবসময়ে বৃষ্টি দেখানো হয়েছে সেটি কি ক্লাই-ফাই এর উপাদান?
ড্যান : হ্যাঁ, ওটা অবশ্যই ক্লাই-ফাই এর একটি অন্যতম উপাদান। আমি নিজে নব্বই-এর দশকে টোকিয়ো শহরে পাঁচ বছর ছিলাম… জনসংখ্যা তিরিশ লক্ষের বেশি… ওই সময়টা আমার কাছে রাত্রিবেলা ব্লেড রানার বলেই মনে হত বিশেষ করে বর্ষামুখর রাতগুলো।
ব্লেড রানার সিনেমার একটি দৃশ্য
কিন্তু ক্লাই-ফাই সিনেমা মানেই পারিপার্শ্বিক পরিবেশ সবসময় অন্ধকার আর বিষণ্ণ হবে তা নয়। আমি আশা রাখি এমন অনেক ক্লাই-ফাই গল্প পড়ব, যেখানে মানবজাতির এখনও অব্দি সবচেয়ে মারাত্মক অস্তিত্বরক্ষার লড়াইয়ে আশাবাদী পথের সন্ধান দেবে। আমি নিজে খুব আশাবাদী। আমি মনে করি ক্লাই-ফাই একদিন পাঠক এবং সিনেমার দর্শককে অনেক ইতিবাচক পথের সন্ধান দেবে। কিন্তু তাকে এখনও অনেকটা পথ অতিক্রম করতে হবে। সেই পথ অনেকটাই হয়ত বন্ধুর হতে পারে।
বিখ্যাত স্কটিশ ঔপন্যাসিক হেমিস ম্যাকডোনাল্ডের লেখা ‘ফিনিচুড’ উপন্যাসে দেখা যায় অজানা এক দেশের অনামী এক শহরের (ব্রিটেনের লন্ডনের মতো) ভবিষ্যতের কল্পনা করা হয়েছে। গল্পে পুরো শহরটি নরকে পরিণত হয়েছে। সেখানের কিছু মানুষ সমস্ত প্রতিকূলতার সম্মুখীন হয়ে এক নিরাপদ স্বর্গের খোঁজ করছে। এটাই মনে হয় প্রথম উপন্যাস যা গে-লেখকের কলমে প্রভুত গে-রোম্যান্স সমৃদ্ধ।
অর্থাৎ ক্লাই-ফাই লেখক এবং সিনেমা পরিচালকদের জন্য একটি মুক্তাঙ্গন। এখানে বিভিন্নভাবে ভবিষ্যৎকে কল্পনা করা যায়, শুধুকল্পবিজ্ঞান নয় মূখ্যতআবহ-কল্পনার নিরিখে।
ডেভিড : অনেক ক্লাই-ফাই গল্প বা সিনেমায় দেখি, শহর জনমানবশূন্য। এটা কী সম্ভব? আপনার কী মনে হয়?
ড্যান : হ্যাঁ, আমারও তাই মনে হয়। যদিও আমি ভবিষ্য দেখতে পারি না আর এসব কবে ঘটতে পারে সেটাও বলতে পারবো না। যে কেউ এটা আন্দাজ করতে পারে। আমার নিজের সহজাত বুদ্ধি বলে ৩০০ কিংবা ৫০০ বছরের মধ্যে এরকম কিছু ঘটতে পারে। যদি আমরা এই আবহাওয়া-পরিবর্তনকিংবা মনুষ্যসৃষ্ট বিশ্ব-উষ্ণায়ন সমস্যার সমাধান করতে না পারি, তাহলে শহরের পর শহর হয়তো পরিত্যক্ত হবে। উদ্বাস্তুরা খাদ্য-বস্ত্র-জ্বালানীর খোঁজে আশ্রয় নেবে উত্তর মেরুর বিভিন্ন অঞ্চলে। একে একে বিদায় জানাতে হবে ম্যানহাটন, লন্ডন, প্যারিস, বেজিং কিংবা সিডনিকে।
কিছু সম্ভাব্য উদ্বাস্তু যেতে পারে নিউজিল্যান্ড, তাসমানিয়া, সমস্ত উত্তর মেরুর অঞ্চলে। বিশেষ করে আলাস্কা থেকে কানাডা, কিংবা গ্রিনল্যান্ড, স্ক্যান্ডেনেভিয়া, রাশিয়া কিংবা উত্তর চিনে। লেখকরা বিভিন্ন গল্প ফাঁদতে পারেন এইরকম ক্লাই-ফাই প্লাটফর্ম ব্যবহার করে।
ডেভিড : সব ক্লাই-ফাই উপন্যাস আর সিনেমাই কি ডিসটোপিয়া? নাকি কিছু উদাহরণ আছে যেখানে মানুষ ভবিষ্যতের আবহবিদ্যার পরিবর্তনে নিজেকে মানিয়ে নেবে?
ড্যান : ক্লাই-ফাই সিনেমা আর উপন্যাস আস্তে আস্তে নতুন ধারা হিসেবে উদীয়মান হচ্ছে। সেটা হচ্ছে মূলত কল্পবিজ্ঞান সিনেমা আর উপন্যাসের জাঁকজমকপূর্ণ পৃথিবীর শেষদিনের পরিকল্পনা করে। এরা চাইছে পরিবেশবিষয়ে মানুষকে সচেতন করে তুলতে। তবে ক্লাই-ফাই-কে সব সময় ডিসটোপিয়ান হতে হবে এমন ব্যাপার নেই। আমি আশাবাদী যে কিছু ইউটোপিয়ান ক্লাই-ফাই লেখা হবে।
মার্গারেট অ্যাটাউড (এখন আমি তাঁর ‘ইয়ার অফ ফ্লাড’ বইটা পড়ছি) ‘উসটোপিয়ান’ শব্দটি উদ্ভাবন করেছেন। সেই সব গল্প আর সিনেমার জন্য যারা ‘ইউ’-টোপিয়ান আর ‘ডিস’-টোপিয়ান দুই রকম বিষয় মিলে তৈরি হয়েছে। আমার পড়া আর দেখা এখনও অব্দি সবই ডিসটোপিয়া শ্রেণীভুক্ত। কিন্তু আমি আশা রাখি ক্লাই-ফাই নিয়ে আশাবাদী দৃষ্টিভঙ্গিতে কিছু অবশ্যই লেখা হবে ভবিষ্যতে।
বিখ্যাত সমুদ্রবিদ জ্যাক কুস্ত-র নাতি চিত্রপরিচালক ফ্যাবিয়েন কুস্ত-র মতে ক্লাই-ফাই সিনেমা মানুষকে এক পরিবর্তনশীল পৃথিবীর মধ্যে দিয়ে নিয়ে যায়—তাই এর নাম তিনি দিয়েছেন ‘দ্য প্রিজম অফ অ্যান অ্যানেকডোট’।
কোনও একটি ক্লাই-ফাই গল্পে বৈজ্ঞানিক তথ্য এমনভাবে দেওয়া যেতে পারে যে গল্পটি পড়ে পাঠকলেখকের বিশ্বাসকে নিজের করে নেবে। এই রকম কাহিনী পড়তে আমি খুব পছন্দ করি।
আমি ভবিষ্যতে ১৯৫৭ সালে নেভিলি শুতের লেখা উপন্যাস ‘অন দ্য বিচ’ এর মতো কিছু ক্লাই-ফাই সিনেমা এবং গল্প দেখতে চাই। ওখানে পরমাণু যুদ্ধ এবং পরবর্তী শীতকালের বিপদ নিয়ে একটি বাস্তবচিত্র অঙ্কিত আছে। আমাদের এখন প্রয়োজন ‘অন দ্য বিচ’-এর মতো আবহাওয়ার পরিবর্তন নিয়ে কিছু লেখা। তবে আশা রাখব সেখানে আশাবাদী কিছু ইতিবাচক সমাপ্তি ঘটবে, যা মানুষকে প্রেরণা দেবে কিছু করে দেখানোর।
আমাদের প্রয়োজন সংক্ষিপ্ত, বৈজ্ঞানিক ভবিষ্যবাণী আর সরকারি সংখ্যাতত্ত্বের গণ্ডি পেরিয়ে আরও বেশি ভাবার। আর সিনেমায় কিংবা গল্পে দেখানো প্রয়োজন পৃথিবীর আবহাওয়া পরিবর্তন হলে কিভাবে একটি বেদনাদায়ক, সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ তৈরী হতে পারে। আমি মনে করি ক্লাই-ফাই এমনই একটি খাঁটি সাংস্কৃতিক প্রিজম, বেশ শক্তিশালী, যা আমাদের কল্পনাপ্রবণ শিল্পী এবং লেখকদের মধ্যে সযত্নে লালন পালনের প্রয়োজন। সময়ে বলবে এর উপকারিতা।
ডেভিড : আপনার প্রিয় লেখা কোনগুলি?
ড্যান : আমি ‘ফিনিচুড’ আর ‘পোলার সিটি রেড’ দেখে গভীরভাবে অনুরণিত হয়েছি। দুটির একটিও কিন্তু সেরকম জনপ্রিয়তা অর্জন করেনি। লন্ডন, নিউইয়ার্ক কিংবা লস অ্যাঞ্জেলেস থেকে মূলধারার কোনও সমালোচকের পর্যালোচনাও পায়নি।দুটি উপন্যাসই ছোট প্রকাশনা থেকে বের হয়েছিল। উপন্যাস দুটি আমি প্রায় তিন বছর আগে পড়েছি, কিন্তু আজও আমার মনে দাগ কেটে রেখেছে ওগুলি।ওই দুটি থেকে সিনেমা হলে আমি খুবই আনন্দিত হব। হলিউড, শুনছ?
ডেভিড : উপন্যাসদুটি কতটা জনপ্রিয়তা পেয়েছে আর কারা পড়ছে সেই সম্পর্কে কিছু বলতে পারবেন?
ড্যান : ক্লাই-ফাই এখনও একটি নতুন প্রতিশব্দ। মাত্র দশ শতাংশ মানুষ হয়তো এটা শুনেছে। ক্লাই-ফাই গোত্রের সিনেমা কিংবা গল্প আজও কিন্তু মূলধারার সিনেমা কিংবা উপন্যাসের সমালোচকদের নজরে আজও আসেনি।তাই এখনও অব্দি প্রকাশক কিংবা সিনেমা পরিচালকরা এটাকে অবহেলা করে এসেছেন।
তবে আমি মনে করি জনসাধারণ ক্লাই-ফাই গল্প কিংবা সিনেমায় খুবই আগ্রহী। কিন্তু তাদের কাছে কিভাবে আরও বেশি মাত্রায় এটাকে পৌঁছে দেওয়া যায় সেটার উত্তর আমার জানা নেই। আমি এর উত্তর খুঁজে চলেছি কিন্তু এখনও অব্দি সেটা আমার নাগালের বাইরে রয়ে গেছে।
মূল ইন্টারভিউটির লিঙ্ক নিচে দেওয়া হলঃ
Tags: ইন্টারভিউ, ড্যান ব্লুম, তৃতীয় বর্ষ দ্বিতীয় সংখ্যা, দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য (চিত্রচোর), বিশেষ আকর্ষণ, সন্তু বাগ
Thank you for this splendid translation, sir.
Full of hope and enthusiasm! Good one! And thanks to both Dan and the translator!